alloys of non ferrous মেতালস - ওয়েল্ডিং করার পদ্ধতি - bearing metals

 alloys of non ferrous মেতালস - ওয়েল্ডিং করার পদ্ধতি - bearing metals
alloys of non ferrous মেতালস - ওয়েল্ডিং করার পদ্ধতি - bearing metals

alloys of non ferrous মেতালস - ওয়েল্ডিং করার পদ্ধতি - bearing metals

অলৌহজ ধাতুর এ্যালয়সমূহ ( Alloys of Non-Ferrous Metals)

তামার এ্যালয় (Copper Alloys) তামার সঙ্গে অন্য অলৌহজ এক বা একাধিক ধাতুর মিশ্রণে তামার এ্যালয় প্রস্তুত করা হয়। নিম্নে তামার বিভিন্ন প্রকার এ্যালয়ের নাম দেয়া হল।
  • পিতল (Brass)
  • কাঁসা ( Bronze )
  • কিউপ্রোনিক্যাল (Cupronickel)
  • নিকেল সিলভার (Nickel Silver )
  • কাস্ট ব্রাস (Cast brass)
  • পিতল (Brass)
তামা ও দস্তাকে ৯৩০ হতে ১১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ক্রসিবল ফার্নেসে পিতল তৈরী করা হয়। ৬৭ ভাগ তামা এবং ৩৩ ভাগ দপ্তা বিশিষ্ট পিতল বেশি ব্যবহৃত হয়। মেশিনিং এর সময় আঠালোভাব দূর করার জন্য এবং খোদাইকার্যের সুবিধার জন্য বিগলনের সময় এতে অল্প পরিমাণ সীসা এবং টিন (Tin) মিশ্রিত করা হয়ে থাকে। নিম্নলিখিত কারণে পিতল গুরুত্বপূর্ণ
>> পিতল ঠান্ডা অবস্থায় ঘাতসহ
>> এর উপরিভাগ আবহাওয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়না বলে উজ্জ্বল থাকে।
>> পিতল দ্বারা উন্নতমানের ঢালাই সম্ভব।
>> পিতলের তলদেশে উন্নতমানের খোদাই করা যায়।
৬০/৪০ পিতল শক্তি সম্পন্ন, নমনীয় এবং লবণাক্ত জলে আক্রান্ত হয় না।
>> এটা ক্ষয়রোধী এবং এর তার তৈরির গুণাগুণ বেশি।

alloys of non ferrous মেতালস - ওয়েল্ডিং করার পদ্ধতি - bearing metals

ওয়েন্ডিং পদ্ধতি

• অক্সি এসিটিলিন গ্যাস ওয়েল্ডিং ব্রেজিং
ব্যবহার:
পিতল এক প্রকার মিশ্র তাম্র ধাতু। বিভিন্ন প্রকারের পিতল নানাবিধ কার্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন- পাইপ, পিতলের নেমপ্লেট, পিন, রিভেট, রেডিয়েটর, গিয়ার, তালা ও চাবি, র‍্যাচেট হ্যান্ডেল, পাওয়ার হেড কনডেনসার টিউব, ফায়ার এক্সটিংগুইসার শেল, প্রভৃতি তৈরী করতে পিতল ব্যবহার করা হয়।

পিতল ও এর উপাদান
ধাতুর নাম

তামা
গিন্ডিং মেটাল ( Guilding metal)
কার্টিজ ব্রাস (Cartidge Brass)
লীডেড হাই ব্রাস (Leaded High Brass)
হাই ব্রাস (High Brass)
মন্টিজ মেটাল (Montiz Metal )
আর্কিটেকচারাল ব্রাস (Architectural Brass)
কাঁসা (Bronze)
৮০ হতে ৯০ ভাগ তামা এবং ১০ ভাগ হতে ২০ ভাগ টিন ক্রসিবল ফার্নেস অথবা অয়েল ফার্নেস অথবা পিট ফার্নেসে ১০০০ সেলসিয়াস হতে ১২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলিয়ে কাঁসা তৈরী করা হয়। বিগলনের সময় সীসা মিশালে কাঁসা মসৃণ হয় এবং দত্তা মিশালে গলিত অবস্থায় কাঁসার তারল্য বৃদ্ধি পায় এবং ঢালাই কার্যে
সুবিধা হয়। কাঁসা পিতল অপেক্ষা শক্ত ও উজ্জ্বল সোনালী বর্ণের হয় এবং ধাতু হিসেবে পিতলের চেয়ে
অপেক্ষাকৃত মূল্যবান। নিম্নলিখিত কারণে কাঁসা গুরুত্বপূর্ণ-
• গলিত অবস্থায় তারল্য বেশি থাকে বলে ঢালাই করা সহজ।
• কাঁসা পিতল অপেক্ষা শক্ত।
ফসফর ব্রোঞ্জ লবণাক্ত অবস্থায় থাকলে সহজে আক্রান্ত হয় না।
• আকস্মিক কম্পন সহ্য করে।
• সিলিকন ব্রোঞ্জ বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
• অ্যালুমিনিয়াম ব্রোঞ্জের স্থিতিস্থাপকতা এবং ঘর্ষণরোধী শক্তি বেশি।
• এটা দ্বারা ওয়েল্ডিং করা যায়।

ব্যবহার:
কাঁসা এক প্রকার মিশ্র তাম্র ধাতু। নানাবিধ দ্রব্যাদি যেমন- স্প্রিং, বিয়ারিং, ক্ষয়রোধী ট্র্যাংক, বোল্ট, স্কু, চেইন, লোকোমোটিভ হার্ডলাইনার, ওয়েল্ডিং রড, কনডেনসার টিউব, বাসনপত্র, উপহার সামগ্রী ও সৌখিন
কৃত্রিম গহনাদি তৈরি করতে কাঁসা ব্যবহৃত হয়।

alloys of non ferrous মেতালস - ওয়েল্ডিং করার পদ্ধতি - bearing metals

বিয়ারিং মেটাল (Bearing Metals)

যন্ত্রাংশের যে অংশ ঘুর্ণায়মান অবস্থায় থাকে সেই অংশ ঘর্ষণজনিত ক্ষয়ের সম্মুখীন হয়। এ ছাড়াও যন্ত্রাংশের মাঝে ঘর্ষণের জন্য সঞ্চালিত শক্তির অপচয় হয় এবং যন্ত্রাংশের আয়ু হ্রাস পায় । এ রূপ শক্তির অপচয় হ্রাস এবং যন্ত্রাংশের আয়ু বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক। এসব ক্ষেত্রে ধর্ষণরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন বিয়ারিং বা কোন কোন ক্ষেত্রে বল বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়। ঘর্ষণরোধ এবং ভালো চাপবহণ ক্ষমতাসম্পন্ন পদার্থসমূহকে বিয়ারিং মেটাল বলা হয়। বিয়ারিং মেটালের মধ্যে কতগুলো ধাতব সংকর ব্যবহার করা হয়। এই সংকরগুলো কপার, সীসা ও টিনের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। এই সংকর মেটাল গুলোর মধ্যে হেয়াইট মেটাল ও গান মেটাল উল্লেখযোগ্য।

বিয়ারিং মেটালের প্রয়োজনীয় গুণাবলী

• এই প্রকার ধাতু বা সংকরের অবশ্যই উচ্চচাপ শক্তিসম্পন্ন হতে হবে।
• এটা পিচ্ছিল গুণসম্পন্ন হতে হবে।
এতে আঘাত সহ্যকারী ও ফাটলরোধী ক্ষমতা থাকতে হবে।
• এই প্রকার ধাতু বা সংকরের ঘর্ষণাংক নিম্নমাত্রায় থাকতে হবে। এতে ঢালাই ক্ষমতা থাকতে হবে।
• এটা শক্ত অথচ ক্ষয়রোধী হতে হবে।
• এটা উচ্চতাপ পরিবাহিতা গুণসম্পন্ন হতে হবে। এটা তাপরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন হতে হবে।
• এই প্রকার ধাতব বা সংকর টেকসই গুণসম্পন্ন হতে হবে।

হোয়াইট মেটাল (White Metal)

হোয়াইট মেটাল একটি ঘর্ষণরোধী মিশ্র ধাতু। সীসা বা টিনকে মূল ধাতু হিসেবে রেখে এন্টিমনি ও তামা ব্যারেল
কনভার্টারে গলিয়ে হোয়াইট মেটাল তৈরী করা হয়। হোয়াইট মেটাল বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যে সমস্ত
হোয়াইট মেটালে অধিক টিন মিশ্রিত থাকে তাকে ব্যাবিট মেটাল (Babbitt Metal) বলে। নিম্ন লিখিত
কারণে হোয়াইট মেটাল গুরুত্বপূর্ণ-
এর রং হলুদ আভাযুক্ত ও খুব নরম।
• এটি ২২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়। এটি সহজে ঢালাই করা যায়।
• এটা পিতল ও গান মেটালের তুলনায় ঘর্ষণরোধী।

ব্যবহার:
বিগ এন্ড বিয়ারিং, অটো ও অ্যারো ইঞ্জিন, প্রধান বিয়ারিং, স্টিম ইঞ্জিন ডায়নামো প্রভৃতি তৈরিতে এর ব্যবহার ব্যাপক। এটা ছাড়াও এর উপরে পাতলা আবরণ দেয়ার জন্য হোয়াইট মেটাল ব্যবহার করা হয় যা ধর্ষণ প্রতিরোধ করে।

গান মেটাল (Gun Metal)

গান মেটাল এক প্রকার কাঁসা যাতে সর্বোচ্চ ৮% দস্তা মিশিয়ে ক্রসিবল ফার্নেসে গলিয়ে প্রস্তুত করা হয়। যে সমস্ত গান মেটাল দ্বারা বিয়ারিং তৈরি করা হয় ঐ সমস্ত গান মেটালের বিগলনের সময়ে কিছু সীসা মিশিয়ে এর শক্ততা বৃদ্ধি করা হয়। নিম্নলিখিত কারণে গান মেটাল গুরুত্বপূর্ণ এটা শক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী মিশ্র তাম্র ধাতু
• এর উপর কোন মরিচা পড়ে না।
• লবণাক্ততা দ্বারা আক্রান্ত হয়না।
এটা সহজে ফোর্জিং করা হয় (৬২০ ডিগ্রি সে.)

ব্যবহার:
অল্প পরিমাণ সীসা মিশ্রিত গান মেটাল দ্বারা বিয়ারিং তৈরি করা হয়। ৩% নিকেল মিশ্রিত গান মেটাল গিয়ার পাম্প প্রভৃতি তৈরির জন্য উপযুক্ত। গলিত অবস্থায় দত্তা মিশ্রিত গান মেটালের তারল্য বেশি থাকে বলে ঢালাই কার্যে এটা বিশেষ উপযোগী।

অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয়সমূহ (Aluminium Alloys )

বিশুদ্ধ অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম এ্যালয়ের ব্যবহার অধিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এতে তামা, নিকেল, দস্তা, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি উপাদান বিভিন্ন অনুপাতে মিশ্রিত করে নানাবিধ অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় তৈরি করা হয়। এটা ছাড়াও গুণগতমান উন্নয়নের জন্য ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, টিন, নিকেল ইত্যাদির সংমিশ্রণে অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। নিম্নে অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয়ের উপাদানের একটি তালিকা এবং এদের ধর্ম ও ব্যবহারের বর্ণনা দেওয়া হলো-

ডুরালুমিন (Duralumin)

এটি অতি পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত একটি অ্যালুমিনিয়াম এ্যালয়। উড়োজাহাজ নির্মাণে ডুরেলুমিন সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর কম্পোজিশন নিম্নরূপ-
তামা 3.5% - ৪.৫%
ম্যাঙ্গানিজ 3.8℅ - 0.7%
সিলিকন ০.৪% (সর্বোচ্চ)
এটা ব্যতীত কখনও কখনও ০.৪% হতে ০.৭% ম্যাগনেশিয়াম এবং ৩.৫% (সর্বোচ্চ) আয়রন মিশ্রিত করা হয়।

স্ট্রাকচারাল মেটাল (Structural Metal)

স্ট্রাকচারাল মেটাল হল বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাঠামো তৈরিতে ব্যবহৃত একক উপাংশ (Single Structural Member) যা লৌহ বা অলৌহজাত উভয় ধাতুর হতে পারে। যেমন- আই বীম, এইচ বীম, অ্যাঙ্গেল, চ্যানেল, টি, ফ্লাট বার ইত্যাদি। এ সকল স্ট্রাকচারাল মেটাল শক্তিশালী ও মজবুত হয়। স্ট্রাকচারাল মেটালে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন স্টিল ব্যবহার করা হয় বলে এর নির্ভরযোগ্যতা বেশি। তাই বর্তমানে বহুতল ভবন, শিল্পকারখানা, ব্রিজ, বিভিন্ন টাওয়ার, টার্মিনাল, এয়ারপোর্ট, শিপিং সেক্টর, শেড বিল্ডিং (Shade Building) ইত্যাদি নির্মাণে স্ট্রাকচারাল মেটাল ব্যবহৃত হচ্ছে।

মেটাল স্ট্রাকচার (Metal Structur):

স্ট্রাকচারাল মেটালের উপাংশসমূহকে (Structural Member) যেমন- আই বীম, এইচ বীম অ্যাঙ্গেল ইত্যাদি একত্রে ধারাবাহিকভাবে সংযুক্ত করে পরস্পরের সমন্বয়ে বহিস্থ লোড বহন এবং দৃঢ়ভাবে অবস্থান করতে যে ধাতুনির্মিত কাঠামো তৈরি করা হয় তাকে মেটাল স্ট্রাকচার বলে। যেমন- ফ্রেম স্ট্রাকচার গ্রিড স্ট্রাকচার, ট্রান্স স্ট্রাকচার ইত্যাদি।

স্ট্রাকচারাল মেটালের আকার (Shape of Structural Metal) :

স্ট্রাকচারাল মেটাল এক ধরনের সমবৈশিষ্ট্যপূর্ণ মেটাল থেকে বিভিন্ন আকার-আকৃতির নির্মাণ সামগ্রী তৈরি করা হয়। পরিবহণ ও নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে স্ট্রাকচারাল মেটালের আকার-আকৃতি ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

নিম্নে কয়েকটি স্ট্রাকচারাল মেটালের আকার-আকৃতির চিত্রসহ সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো- আই-বিম (I-Beam: I Shaped Cross-Section, Such as Colum, Beam etc.)
আই-বিষ আকৃতি সর্বাধিক প্রচলিত এবং ব্যবহৃত স্টিল। আকৃতিদান করা সহজ ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ার আই-বিম বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি দেখতে ইংরেজি (1) অক্ষরের ন্যায়। আই-বিম আকৃতি যেটাল সাধারণত যে কোন কাঠামোর বীম ও কলাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি দেখতে ইংরেজি (H) অক্ষরের ন্যায়। এইচ-মি আকৃতি সাধারণত যে কোন কাঠামোর বীম ও কলাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

জেড আকৃতি (Z-Shape)

কাঠামোর একটা কমন মেটাল হলো জেড আকৃতি। সাধারণত সাপোর্ট হিসেবে কন্ট্রাকশন, পরিবহন উৎপাদন শিল্পে ব্যবহার হয়ে থাকে।

হলো স্ট্রাকচারাল সেকশন (Hollow Structural Section HSS)

ফাঁপা ইট্রাকচারাল সেকশন সাধারণত (Square) আয়তাকার (Rectangular) গোলাকার অথবা পাইপ বর্গাকৃতি (Circular or Pipe) এবং উপবৃত্তাকার (Elliptical) আকৃতির হয়ে থাকে। ফাঁপা স্ট্রাকচারাল সাধারণত ওয়েল্ডিং করে বা নাট-বোল্ট দিয়ে নির্মিত কন্সট্রাকশন বিল্ডিং, ব্রিজ বা অন্যান্য কাঠামো নির্মাণে ব্যবহার করা হয়।

অ্যাসেল আকৃতি (Angle-Shaped):

রোল্ড স্টিলের সেকশনকে সাধারণত 'L' আকৃতি প্রদান করা হয় (চিত্র-১. যা কাঠামোর শক্তি বৃদ্ধি করে। এধরনের মেটাল গৃহনির্মাণ, ভারী আসবাবপত্র ইত্যাদি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।

সি চ্যানেল বা ইউ-চ্যানেল (C Channel or - u Channel
C আকৃতিটি মূলত একটি ওয়েড এবং দুটি প্যারালাল ফ্লা (Flango) এর সমন্বয়ে গঠিত হয়। এই সেপটিকে আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড চ্যানেলও বলা হয়। সাধারণত মেটাল বিল্ডিং ওয়াল, ছাদ, জানালা ও দরজার ফ্রেম তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়।

টি আকৃতি (T-Shaped Cross-Section)

আকৃতির বিমকে মাথা কর্তন করালে T বিষ পাওয়া যায়। টি- আকৃতি ক্রস সেকশন বিন নির্মাণ কাজে ব্যাপক ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত যে সকল স্থানে অধিক লোড বা চাপ পরে এমন স্থানে ব্যবহার করা হয়।

ফ্লাটবার (Flat Bar)

ফ্লাট বারের একটি সমতল পৃষ্ঠ এবং আয়তক্ষেত্রাকার মুখ রয়েছে তাই একে বিভিন্ন কাজে সহজে ব্যবহার করা যায় । এটি ফ্রেম, বিল্ডিং সাপোর্ট ইত্যাनি কাজে অধিক ব্যবহৃত হয়।

রেল প্রোফাইল

(I beam Cross-section of Flat Bottomed Rail, Bullhead Rail, Groove Rail, Barlow Rail) : রেল প্রোফাইল বিভিন্ন রেল লাইনে ব্যবহার করা হয়। অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেকসময় বৃত্তাকার ও আয়তাকার রঙ ও বার ব্যবহৃত হয়। সাধারণত গোলাকার প্রস্থচ্ছেদবিশিষ্ট সেকশনকে 'রড', এবং আয়তাকার ও বর্গাকৃতি বিশিষ্ট সেকশনকে 'বার' বলে।

প্লেট (Plate- Flat plate) :

সমতল আকৃতির বিভিন্ন পুরুত্বের শিট নির্মাণ কাজে ব্যাপক হারে ব্যবহার হয়ে থাকে।

ওপেন ওয়েব পিট অ (Open web sheet-Joint) :

ছাদ বা মেঝে বা ডেক নির্মাণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখিত স্ট্রাকচার মেটালগুলো সংযুক্ত করে সাধারণত নিম্ন লিখিত মেটাল স্ট্রাকচারগুলো তৈরি করা হয়। যেমন-

  • ফ্রেম স্ট্রাকচার (Frame Structure)
  • গ্রিড স্ট্রাকচার (Grid Structure)
  • 'প্রি-স্ট্রেসড স্ট্রাকচার (Pre-Stressed Structure) ।
  • ট্রাস স্ট্রাকচার (Truss Structure)
  • আর্চ স্ট্রাকচার (Arch Structure)। 
  • আর্ড ব্রিজ (Arch Bridge)।
  • বীম ব্রিজ (Beam Bridge)।
  • ক্যাবল-টোইড ব্রিজ (Cable Stayed Bridge) ।
  • ঝুলন্ত ব্ৰিজ (Suspension Bridge)।
  • ট্রাস ব্রিজ (Truss Bridge)।
  • বক্স গাভার ব্রিজ (Box Ginder Bridge)

স্ট্রাকচারাল মেটাল সংযুক্তিকরণ পদ্ধতি 

বর্তমানে উপাংশসমূহ (Structural Member)
সংযুক্তকরণের জন্য তিনটি পদ্ধতি ব্যপকহারে প্রচলিত আছে।
পদ্ধতি তিনটি হলো-

  • রিভেট পদ্ধতি (Rivet Process)।
  • বোল্ট পদ্ধতি (Bolt Process)।
  • ওয়েল্ডিং পদ্ধতি (Welding Process)।

স্ট্রাকচারাল মেটাল ব্যবহারের সুবিধা

স্ট্রাকচারাল মেটাল ব্যবহারের বিশেষ কয়েকটি সুবিধা নিম্নে দেওয়া হলো-
  • উপাংশসমূহ (Structarul Member) সহজ প্রাপ্যতা
  • ওজনে হালকা ও স্থানান্তরযোগ্য
  • কার্যোপযোগীতা গুণসম্পন্ন
  • থার্মাল ইনসুলেশন গুণসম্পন্ন
  • সেকশন এবং আকার-আকৃতি সীমিত পর্যায়ে রাখা যায়। যেকোন আবহাওয়ায় টেকসই।
  • নির্মাণ খরচ কম।

ওয়েল্ডিং হিট অ্যাফেক্টেড জোন (Welding Hent Affected Zone)

দুটি কার্যবস্তুকে পাশাপাশি ওয়েন্ডিং করার সময় ইলেকট্রোড এবং ভস্মাকপিস এর মধ্যে স্পর্শ করলে উক্ত স্থানে স্পার্কের সৃষ্টি হয়। ফলে উক্ত ওরেন্ড রুটে তীব্র আলো ও উত্তাপ সহকারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। এ সময় ইলেকট্রোড ও ধাতুর মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানটি ভাপকুন্ডলীতে পরিণত হয়। ইলেকট্রোড চালনার সাথে সাথে কার্যবস্তুর চারদিকে তাপ ছড়িয়ে পড়ে এবং ধাতু ও ইলেকট্রোড গলে ওয়েল্ড বিড তৈরি হয়। ওয়েন্ড বিড তৈরী হওয়ার সাথে ওয়েন্ড বিড এর চারদিকে সমভাবে তাপ সঞ্চালিত হয়। ওয়েল্ড বিড এর কাছাকাছি যে স্থানের তাপমাত্রা খুব বেশি ঐ স্থান 'ওরেন্ড হিট অ্যাফেক্টেড জোন' নামে পরিচিত। ওয়েল্ডিং করার সময় অসমভাবে তাপ সঞ্চালনের কারণে 'ওয়েড হিট এ্যাফেক্টেড জোন' এবং ওয়েল্ড জোনে বিভিন্ন দোষত্রুটি দেখা দেয়। যেমন- বিকৃতি, ফাটল ইত্যাদি। এ দোষত্রুটি দূর করার জন্য ওয়েন্ডিং আরম্ভ করার আগে কার্যবস্তুতে প্রি-হিটিং এবং পরে কার্যবস্তুতে পোস্ট হিটিং করা হয়।

H = KIRT সুত্রের ব্যাখ্যা

কোনো বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের সময় পদার্থে বিদ্যুৎ প্রবাহের কিছুটা বাধা দেয় একে বৈদ্যুতিক রোধ বা রেজিট্যান্স বলে উক্ত রোধের কারণে পরিবাহী পদার্থের ভিতরে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে তাপের সৃষ্টি হয়। এই তাপের পরিমাণ প্রবাহিত বিদ্যুতের বর্ণানুপাতিক এবং রোধ ও সমরের সমানুপাতিক।

অর্থাৎ-
HolRT_বা, H= KIRT [ K একটি ধ্রুব সংখ্যা]

এখানে,
H = উৎপাদিত মোট তাপ (ওয়াট- সেকেন্ড)।
I = বিদ্যুৎ প্রবাহ (অ্যাম্পিয়ার) (Ampere)।
R = বৈদ্যুতিক রোধ (ওম)। একে গ্রীক শব্দ ওমেগা (52) দ্বারা প্রকাশ করা হয় । T = বিদ্যুৎ প্রবাহের সময় (সেকেন্ড)।
K = পরিবহন, পরিচলন এবং বিকিরণ এর মাধ্যমে তাপ হ্রাসের ফ্যাক্টর, K এর মান ০.২৪ ধরা হয়। [ K এর মান নির্ভর করে ধাতুর উপাদান, ওয়েল্ডিং এরিয়া, ধাতুর পুরুত্বের উপর |

ধাতু শনাক্তকরণ কৌশল

পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরণের ধাতু রয়েছে। তাদের গঠন, আকৃতি, রং ও ব্যবহার ভিন্ন ভিন্ন। তাই এ সব ধাতু সহজে
চেনা খুব কষ্টকর। আমরা ওয়েল্ডিং কার্যে বহুল ব্যবহৃত কতকগুলো ধাতুর নাম এবং এগুলি শনাক্তকরণপদ্ধতি উল্লেখ করা হলো। যথা-
  • প্রস্তুতকারক কর্তৃক স্পেসিফিকেশন হতে (From Manufacturers Specification)
  • স্পার্ক টেস্ট এর মাধ্যমে ( By Spark Test )
  • অক্সি-এ্যাসিটিলিন টর্চ টেস্ট এর মাধ্যমে (Oxy-acetylene Torch Test)
  • ভাঙ্গিয়ে পরিক্ষা (Fracture Test)
  • রং পরীক্ষা (Colour Test)
  • ধাতুর ঘনত্ব বা আপেক্ষিক গুরুত্ব পরীক্ষা (Density or Specific Gravity Test)
  • ধ্বনি বা ধাতুর শব্দ দ্বারা পরীক্ষা (Ring or Sound of the Metal)
  • ম্যাগনেটিক পরীক্ষা (Magnatic Test)
  • চিপ টেস্ট এর মাধ্যমে পরীক্ষা (Chip Test)

ধাতু শনাক্তকরণ পদ্ধতি

নিম্নে ধাতুর শনাক্তকরণ পদ্ধতিগুলোর বর্ণনা দেওয়া হলো-
স্পার্ক টেস্ট (Spark Test) : ধাতু শনাক্তকরণের এই পদ্ধতি আয়রণ এবং স্টিল শনাক্তকরণের জন্য ওয়েল্ডারগণ ব্যাপক হারে ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত স্পার্কের চারটি বৈশিষ্ট্য, স্টীলের ধরন ও অবস্থা ব্যক্ত করে, যথা-
> স্পার্কের রং (Colour of Spark)
> স্পার্কের দৈর্ঘ্য (Length of Spark)
> প্রত্যেকটি স্পার্কের দৈর্ঘ্য বরাবর বিস্ফোরণের সংখ্যা (Number of Explosions the Length of the Individul Spark)
> বিস্ফোরণের আকৃতি (Shape of Explosion)

নিম্নের চার্ট অনুসারে ধাতুর স্পার্ক পর্যবেক্ষণ করলে আমরা খুব সহজেই ধাতু চিনতে পারবো।
ভেঙ্গে পরীক্ষা (Fracture Test) ধাতুর ভাঙ্গা অংশ যার ধরণ নির্দেশ করে যেমন- প্রেইনের আকৃতি এবং রং।

অক্সি-এ্যাসিটিলিন টর্চ টেস্ট (Oxy-acetylene Torch Test)

যদি ধাতুর ভৌত ডাটা জানা থাকে তবে অবশ্যই এর ওয়েন্ডিং উপযোগীতাও জানা থাকবে। ধাতুর পশনের' এর ধরন নির্দেশ করবে।

চিপ টেস্ট এর মাধ্যমে পরীক্ষা (Chip Test)
চিজেন যারা কর্তন ক্রিয়ার ধাতুর গঠন ও তাপ প্রক্রিয়া নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ কাস্ট আয়রণ চিপিং করলে এটা ভেঙ্গে ছোট ছোট টুকরা হবে কিন্তু মাইন্ড স্টিল পি মূলধাতুর সাথে বেঁকে লেগে থাকবে।

কাজের ধারা
১. প্রয়োজনীয় পিপিই পরে কাজ করো।
২. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিরীক্ষা করো।
৩. স্টোর হতে প্রয়োজনীয় হ্যান্ডটুলস, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে করো।
৪. হ্যান্ড গ্রাইন্ডিং এর সাথে গ্রাইন্ডিং ডিস্ক শক্ত করে লাগাও।
৫. একখন্ড ধাতু নির্বাচন করো।
৬. ধাতুর খন্ডটিকে ভাইসের সাথে ভালো ভাবে আটকে রাখবে। এর পর হ্যান্ড গ্রাইন্ডিং মেশিন চালু করে ধাতুর খন্ডটির সাথে ঘর্ষণ করাতে হবে। ঘর্ষন করানোর সাথে সাথে স্পার্ক এর সৃষ্টি হবে। সৃষ্টিকৃত স্পার্কের রং, স্পার্কের দৈর্ঘ্য, প্রত্যেকটি স্পার্কের দৈর্ঘ্য বরাবর বিস্ফোরণের সংখ্যা এবং বিস্ফোরণের আকৃতি পর্যবেক্ষণ করো।
৭. পর্যবেক্ষণ করে স্পার্কের রং, স্পার্কের দৈর্ঘ্য, দৈর্ঘ্য বরাবরে বিস্ফোরণের সংখ্যা এবং আকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তা খাতায় লিপিবদ্ধ করো।
৮. লিপিবদ্ধকৃত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে ধাতুর নাম নির্বাচন করো
বিশেষ নির্দেশনাঃ প্রয়োজনে একাধিক বার পরীক্ষা করা যেতে পারে।

সতর্কতা
• ব্যক্তিগত ও পেশাগত নিরাপত্তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
• কর্মক্ষেত্রের কাছাকাছি কোন দাহ্য পদার্থ রাখা যাবে না।
• ফ্লোরে যেন কোন প্রকার তৈল, গ্রিজ জাতীয় পদার্থ না থাকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url