defects of basic welding joints with electrode - বেসিক ওয়েল্ডিং জোড়ার ত্রুটি

 defects of basic welding joints with electrode - বেসিক ওয়েল্ডিং জোড়ার ত্রুটি
defects of basic welding joints with electrode - বেসিক ওয়েল্ডিং জোড়ার ত্রুটি

defects of basic welding joints with electrode - বেসিক ওয়েল্ডিং জোড়ার ত্রুটি

বেসিক ওয়েল্ডিং জোড়ার ত্রুটি Defects of Basic Welding Joints

বর্তমান বিশ্বে এমন কোনো শিল্পকারখানা নেই যেখানে ওয়েন্ডিং জোড় ব্যবহার করা হয় না। ধাতব দ্রব্যাদি এবং মেরামতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ওয়েল্ডিং। আমরা দৈনন্দিন জীবনে বাসা বাড়িতে বিভিন্ন ধাতব দ্রব্যাদি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি যেমন- ধাতব দরজা, জানালা, দা-কাঁচি, ইত্যাদি। এ সকল ধাতব দ্রব্যাদি ব্যবহারের ফলে ভেঙ্গে যেতে পারে। এই ভেঙ্গে যাওয়া দ্রব্যাদি ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে জোড়া দেওয়া হয়। ওয়েন্ডিং জোড়ে অনেক সময় ত্রুটি থাকে। ওয়েল্ডিং জোড়ে কোন ত্রুটি থাকা কাম্য নয়। ওয়েন্ডিং জোড় অবশ্যই শক্তিশালী ও মজবুত হতে হয়। জোড় নিখুঁত ও শক্তিশালী না হলে ওয়েল্ডিং এর আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। ওয়েল্ডিং ধাতুর (Welding Metal) গঠনগত ত্রুটি ও ওয়েন্ডারের ব্যর্থতার কারণে জোড়াস্থানে ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। যার ফলে জোড়া স্থান কম শক্তিশালী হয়, জোড় দুর্বল হয় এবং জোড়া স্থান ভেঙ্গে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ওয়েল্ডি জোড় ত্রুটিপূর্ণ হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক। তাই জোড়া ত্রুটিমুক্ত হওয়া খুবই জরুরি। এ কারণে একজন দক্ষ ওয়েল্ডারের জোড়ের ত্রুটি, সম্ভাব্য কারণ ও তার প্রতিকার জানা আবশ্যক।

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (Occupational Health and Safety)

ওয়ার্কশপে জোড়ের ত্রুটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিধান অতিব জরুরি। কারণ নিজের জীবনকে নিরাপদ করতে না পারলে কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌছানোর পরিবর্তে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়; যার প্রভাব ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সংসার, সমাজ, দেশ ও জাতির উপর পড়ে। তাই ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি পর্যবেক্ষণ করার পূর্বে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সাথে সাথে ওয়ার্কশপ বিষয়ক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে গেলে এ সকল নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা এবং যথাযথভাবে তা অনুসরণ করা উচিত।

ওয়েন্ডিং জোড়ের ত্রুটি শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় সর্তকতা
• কাজ করার পূর্বে অবশ্যই অ্যাপ্রন, হ্যান্ড গ্লোভস্, চশমা, সেফটি সু ও হেলমেট ইত্যাদি পরিধান করতে হবে।
• ত্রুটি শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় টুলস ও যন্ত্রপাতি সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে এবং কাজে তাড়াহুড়া করা যাবে না।
• কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকতে হবে।
কাজের সময় বিশেষ কোনো প্রয়োজন ব্যতীত অন্য কারো সাথে কথা বলা উচিত নয়।
কাপড়ের জুতা বা চটি জুতা পরা উচিত নয়।
• সর্বদা চামড়ার সু এর তলা শক্ত হওয়া উচিত।
• ওয়ার্কশপ বা কারখানার মেঝে সবসময় তৈল বা গ্রিজমুক্ত হওয়া উচিত।

ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (Personal Prorective Equipment required to detect defects in welding joints)
লেদার এপ্রোন (Leather Apron) / বয়লার স্যুট (Boiler Suit)
এটি একজন ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি পর্যবেক্ষকের দেহে উড়ন্ত চিপস, অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, উচ্চ তাপমাত্রা, আগুন, খারাপ আবহাওয়া, তরল রাসায়নিক দ্রাব, গলিত ধাত কণা, স্লাগ, দূষিত ধূলিকণা, বাষ্প চাপ, বিস্ফোরক দ্রব তীক্ষ্ণ বস্তুর অনুপ্রবেশ ও বিদ্যুৎ এর হাত হতে রক্ষা করে।

defects of basic welding joints with electrode - বেসিক ওয়েল্ডিং জোড়ার ত্রুটি

হ্যান্ড গ্লোভস্ (Hand Gloves)
এটি পুরু এবং অগ্নি প্রতিরোধ পদার্থ দিয়ে তৈরি হওয়ায় অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, উচ্চ তাপমাত্রা, আগুন, তীক্ষ্ণ বস্তুর অনুপ্রবেশ ও বিদ্যুৎ এর হতে হাতের তালু এবং আঙ্গুলগুলোকে রক্ষা করে।

সেফটি গগলস (Safety Googles)
ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি পর্যবেক্ষকের চোখের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গগলস ব্যবহার করে।

সেফটি সুজ (Safety Shoes)
চামড়ার তৈরি জুতা, যার তলা রাবারের তৈরি হওয়ায় ধারালো কোনো বস্তু বা উচ্চস্থান হতে পতিত কোন বস্তু ও বৈদ্যুতিক শক হতে ত্রুটি পর্যবেক্ষকের পা কে রক্ষা করে।

রেস্পিরেটর (Respirator)
এটা এমন এক ধরনের যন্ত্র যার সাহায্যে ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি পর্যবেক্ষকের প্রতিকূল স্থানেও বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে কাজ চালাতে পারে। বদ্ধ কোন স্থানে বা কোন ক্ষতিকারক গ্যাস সৃষ্টিকারী স্থানেও ওয়েন্ডিং জোড়ের ত্রুটি পর্যবেক্ষণ এর সময় স্বাভাবিক শ্বাস- প্রশ্বাস নিয়ে কাজ চালাতে পারে।

র্থ গার্ড (Arm Guard)

হাতের বাহুকে অধিক তাপমাত্রা, সুঁচালো কোনো বন্ধ, ভারী কোনো যন্ত্র, বৈদ্যুতিক শক, রাসায়নিক পদার্থ, চর্ম সংক্রামক কাজ নিরাপদে করার জন্য চামড়ার আর্যগার্ড ব্যবহৃত হয়।

এয়ার প্লাগ (Air Ping)
শব্দ দূষণ থেকে কানকে নিরাপদ রাখার জন্য ইয়ার প্লাগ ব্যবহৃত হয়।

স্কাল ক্যাপ (Seul Cup) / হেলমেট (Helmet)
উপর থেকে কোনো বন্ধু মাথায় পড়ে অথবা আঘাত লেগে যাতে আহত না করতে পারে বা ঘূর্ণায়মান কোন যন্ত্রাংশের সাথে পেচিয়ে আঘাতথেকে মাধাকে সুরক্ষার জন্য মোটা ফাল ক্যাপ বা হেলমেট ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কোন বৈদ্যুতিক শক থেকেও ওয়েগুছোড় ত্রুটি পর্যবেক্ষক কে নিরাপদ রাখে।

ফার্স্ট এইড বক্স (First Ald Box)
ওয়েন্ডজোড় ত্রুটি পর্যবেক্ষণকালীন সময় পর্যবেক্ষকের শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় / কেঁটে যায় / কোন আঘাত পাওয়া অথবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে তখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ায় জন্য ফার্স্ট এইড বক্স (প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী) ব্যবহার করা

টর্চ লাইট (Torch Light)
ওয়েন্ডজোড় ত্রুটি পর্যবেক্ষণকালীন সময়ে ঘোড়া স্থানে ও চলাচলের পথে বদি পর্যাপ্ত আলো না থাকলে তখন এ টর্চ লাইট। (Torch Light) ব্যবহার করা হয়।

ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি এবং ত্রুটির কারণ
ওয়েল্ডিং এর সময় ওয়েল্ড মেটালের গঠনগত অপ্রত্যাশিত আচরণ ও সঠিক ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার ফলে জোড় স্থানে ত্রুটি দেখা দেয়। এ ছাড়াও নানাবিধ কারণে জোড়স্থানে ত্রুটি হতে পারে। যেমন-
• ওয়েল্ডিং এর জন্য প্রয়োজনীয় স্পেসিফিকেশন অনুসরণে ব্যর্থতা।
• কারেন্ট এবং ভোল্টেজ এর মান সঠিক নির্বাচন করতে না পারা।
• ইলেকট্রোড এবং বেজ মেটালের মাঝে কোণ ঠিক না হওয়া
• ইলেকট্রোড চালানোর গতি ঠিক না হওয়া করা।
• সঠিক মানের ম্যাটেরিয়াল এর পরিবর্তে নিম্নমানের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার।
• ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ডিং সরঞ্জাম ব্যবহার।
• ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়া।
• মুলধাতু ঠিকমত পরিষ্কার না করা।
• জোড়ার পার্শ্বদেশ ঠিকমত তৈরি করতে না পারা।
• সঠিক ইলেকট্রোড ব্যবহার না করা।
বেস মেটালে প্রিহিটিং ও পোস্টহিটিং না করা ওয়েল্ডারের দক্ষতার অভাব।
• অসতর্ক হওয়া ও অবহেলা করা।

defects of basic welding joints with electrode - বেসিক ওয়েল্ডিং জোড়ার ত্রুটি

ওয়েন্ডিং জোড়ের ত্রুটির প্রকারভেদ 

ওয়েল্ডিং জোড়ের সকল ত্রুটি সমূহকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা-
ক) বাহ্যিক ত্রুটি (External Defects)
খ) অভ্যন্তরীণ ত্রুটি (Internal Defects)
ওয়েল্ডিং ত্রুটি সমূহকে আবার বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায়-

পরিমাণগত ত্রুটি সমূহ (Dimensional Defects)
ক) বিকৃতি (Distortion)
খ) ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ড সাইজ (Incorrect weld Size)
গ) ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ড প্রোফাইল (Incorrect weld Profile)

কাঠামোগত ত্রুটিসমুহ (Structural Defects)
ক) ছিদ্রময়তা ও ব্রো-হোল (Porosity and Blowhole)
খ) স্বল্প পেনিট্রেশন (Poor Penetration)
গ) অপর্যাপ্ত গলন (Poor Fusion)
ঘ) আন্ডারকাট (Undercut)
ঙ) দৃশ্য ফাটল ও অদৃশ্য ফাটল (Visible Cracking and Invisible Cracking)
চ) স্প্যাটার (Spatter) 

ছ) ত্রুটিপূর্ণ চেহারা (Poor Appearance)
জ) প্লাগ ইনকুশানস (Slag Inclusions)
ঝ) উত্তল আকৃতি ওয়েল্ড (Convex Shape Weld)
ঞ) অবতল আকৃতি ওয়েল্ড (Concave Shape Weld ) চ) ওভার ল্যাপ (Over Lapping)

গুণগত ত্রুটিসমূহ (Property Defects)
(ক) স্বল্প টানা শক্তি (Low Tensile Strengh)
(খ) স্বল্প ইয়েল্ড শক্তি (Low Yield Strengh)
(গ) কম ডাকটিলিটি (Low Ductility)
(ঘ) অনুপযুক্ত শক্ততা (Improper Hardness)
(ঙ) কম ইম্প্যাক্ট শক্তি (Less Impact Strength)
(চ) অপর্যাপ্ত ক্ষয়রোধক ( Insufficient Corrosion Resistance)

কর্মক্ষেত্রে ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটির প্রভাব 

কর্মক্ষেত্রে ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ডিং জোড়ের কারণে কর্মক্ষেত্রে যে সকল প্রভাব পরে তা হলো-
• ওয়েল্ডিংকৃত যন্ত্রাংশটি সম্পূর্ণ বাদ হয়ে যেতে পারে
• শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে
• ওয়েন্ডিং জোড়ের শক্তি কমে যেতে পারে

ওয়েল্ডিংকৃত যন্ত্রাংশটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হতে পারে
• আর্থিক ব্যয় বেড়ে যেতে পারে
• ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশটি ব্যবহারের উপযোগী করতে সময় বেশি লাগতে পারে।
জব এর মাপের সূক্ষ্মতা থাকে না।
জবকে অসুন্দর করে।
জবের আকৃতির পরিবর্তন ঘটায় ওয়েল্ডারের মানসম্মানের হানি ঘটায়।

কর্মক্ষেত্রে জোড়ের ত্রুটি প্রতিকারের প্রয়োজনীয়তা

ওয়েল্ডিং প্রযুক্তিবিদের মতে ত্রুটি মুক্ত কোন নিখুঁত ওয়েল্ডিং, বেস মেটালের চেয়ে প্রায় তিনগুন শক্তিশালী জোড় তৈরি করে। একজন ওয়েল্ডার যখন ওয়েল্ডিং করে তখন বিভিন্ন কারণে ত্রুটি হতে পারে। ত্রুটির ফলে ওয়েল্ডিং জোড় সহজেই ভেঙ্গে যায় বা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওয়েল্ডিং এর জোড় ত্রুটিযুক্ত অবস্থায় রাখা উচিত নয়, এতে ওয়েল্ডিং এর আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। ওয়েল্ডিং এর ত্রুটির ধরনগুলো বিবেচনা করে সাথে সাথে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ ওয়েল্ডিং ত্রুটিগুলো প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ত্রুটিপূর্ণ জবটি পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা সম্ভব।

বেসিক ওয়েল্ডিং জোড়ার ত্রুটি

বাহ্যিক ত্রুটি (External Defeets)
ওয়েল্ডিং জোড়ের উপরিতলে দৃশ্যমান যে ত্রুটিগুলো দেখা যায় তাকে বাহ্যিক ত্রুটি (External Defects) বলে। যেমন-স্প্যাটার, আন্ডারকাট, বিকৃতি, ওয়েল্ড তলের ছিদ্রময়তা, ওয়েল্ড তলের দৃশ্যমান ফাটল, উত্তল আকৃতি ওয়েল্ড, অবতল আকৃতি ওয়েল্ড, ব্লো-হোল, ওভার ল্যাপ ও বেশি পেনিট্রেশন ইত্যাদি।

বাহ্যিক ত্রুটিগুলো শনাক্তকরণ

১) বিকৃতি (Distortion) 

ওয়েল্ডিং এর সময় মূল ধাতু অসমভাবে উত্তপ্ত হওয়ার ফলে এবং পরবর্তীতে ঠান্ডা হওয়ার সময় সংকোচন ও প্রসারণজনিত কারণে বেঁকে, মোচড়িয়ে কিংবা কুচকিয়ে যায় তাই বিকৃতি। ফলে ওয়েল্ড কাজের অনুপযোগী হয়ে যায়, এই কারণে বিকৃতি রোধ অত্যাবশ্যক। কাঠামোতে তিন ধরনের বিকৃতি (Distortion) দেখা যায়। যেমন-
(ক) কৌণিক বিকৃতি (Angular distortion)
দুটি প্লেট সরলকোণে (১৮০°) রেখে একদিকে ওয়েল্ড করলে ঠান্ডা হওয়ার পর উক্ত প্লেট সরলকোণে থাকবে না। সংকোচনজনিত স্ট্রেস প্লেটকে ওয়েন্ডের দিকে একে অপরকে টানবে। অনুরূপভাবে সিঙ্গেল-ডি বাট জোড়া একে অপরের দিকে টেনে অক্ষচ্যুত করবে। একে কৌণিক বিকৃতি বলে।

(খ) লম্বালম্বি বিকৃতি (Longitudinal Distortion) শুরুতে ট্যাগ না করে একটি সমতল সরু শীট মেটালের উপর ওয়েল্ড করলে উক্ত টুকরা উভয় দিকে বেঁকে উঠে একে লম্বালম্বি বিকৃতি বলে এবং এটি ওয়েল্ড মেটালের দৈর্ঘ্য বরাবর ঠান্ডা ও সংকুচিত হওয়ার দরুণ হয়ে থাকে।

(গ) আড়াআড়ি বিকৃতি (Transverse Distortion)
যখন দুটি প্লেট ট্যাগ ওয়েল্ড না করে একত্রে বাট জোড় দেওয়া হয় তখন ওয়েল্ড মেটালে সংকোচনের দরুণ উক্ত প্লেটদ্বয় পরস্পরের দিকে টেনে নিকটবর্তী হতে থাকবে। এটি আড়াআড়ি বিকৃতি নামে পরিচিত।

২) আন্ডারকাট (Undercut)
ওয়েল্ডিং করার সময় মাত্রাতিরিক্ত তাপ এবং অসম ওয়েল্ডিং গতির কারণে মূল ধাতুর পার্শ্বদেশ কিংবা ওয়েল্ড ধাতু কেটে গিয়ে যে অসম কর্তন রেখার সৃষ্টি করে এটাই আন্ডারকাট।

৩) স্প্যার্টার (Spatter)
কার্যবস্তু অথবা ইলেকট্রোড অত্যধিক উত্তপ্ত হওয়ায় তাপের প্রভাবে গলিত ধাতু পুরোপুরিভাবে নির্দিষ্ট স্থানে না জমা হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে জোড়ের চারিদিক ছড়িয়ে পরে তাই স্প্যাটার।

৪) মাত্রাতিরিক্ত পেনিট্রেশন (Excessive Penetration)
জোড়ের রুটে মাত্রাতিরিক্ত ধাতু জমানোই মাত্রাতিরিক্ত পেনিট্রেশনের লক্ষণ। মাত্রাতিরিক্ত পেনিট্রেশনে জোড় এর বিকৃতি বেশিহয়, খরচ বাড়ে এবং পাইপ ওয়েল্ডিং এ ভিতরের ব্যাস হ্রাস পায়।

৫) ব্লো-হোল (Blowhole)
ওয়েল্ড মেটাল তরল অবস্থা হতে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার সময় গ্যাস আটকে গর্তের সৃষ্টি করে, যার ব্যাস ২-৩ মি.মি. হয়ে থাকে। এটাকে ব্রো-হোল বলে। এটা ওয়েল্ড তলের উপরে বা অভ্যন্তরে হতে পারে। এতে ওয়েল্ড মেটালের শক্তি ও গুণাগুণের মান হ্রাস করে।

৬) পুড়ে ছেল হওয়া (Burn Through)

অত্যধিক পেনিট্রেশনের দরুণ জোড়স্থানে গর্ত হয়ে যায়, ফলে গলিত ধাতু জোড়স্থানে জমা না হয়ে বাহিরে পড়ে যায়।

৭) ওভার ল্যাপ (Over lap)
বেসমেটাল পুরাপুরি না গলে মাত্রাতিরিক্ত ওয়েল্ড ধাতু তার উপর জমে থাকলে ওভার ল্যাপের সৃষ্টি হয়। জোড়স্থান কাংক্ষিত শক্তি সম্পন্ন হয় না।

৮) মাত্রাতিরিক্ত উত্তল আকৃতি ওয়েল্ড (Convex Shape Weld)
জোড়ে অনেক সময় প্রয়োজনের অধিক ওয়েল্ড মেটাল জমা হয়। ইহা মাত্রাতিরিক্ত উত্তল। ওয়েল্ডিং এর গতি অত্যধিক মন্থর কিংবা ইলেকট্রোড কোণ যথাযথভাবে বজায় না রাখার দরুণ এরূপ ত্রুটি সংঘটিত হয়ে থাকে ।

৯) অবতল আকৃতি ওয়েল্ড (Concave Shape Weld)
অনুরূপভাবে জোড় প্রয়োজনের তুলনায় কম ধাতু (যা দেখিতে অনেকটা ইংরেজি 'সি' অক্ষরের আকৃতির ন্যায়) জমা হয়। ওয়েন্ডিং এর গতি অত্যধিক দ্রুত কিংবা ইলেকট্রোড কোণ সঠিক না হলে এই ত্রুটি সংঘটিত হয়

১০) ছিদ্রময়তা (Porosity)
ইলেকট্রোড আবরণের আর্দ্রতা এবং ইলেকট্রোড ও মূল ধাতুর গুণাগুণের এক না হলে ওয়েল্ড মেটালে অসংখ্য ছিদ্র দেখা দেয়। এটা ছিদ্রময়তা। এটা অনেক সময় ওয়েন্ড ধাতুর উপরে প্রকাশ পায় আবার কখনো ভিতরেই থেকে যায়।

১১) বাহ্যিক ফাটল (External Cracks)
ইলেকট্রোড বা ফিলার মেটাল ও মূল ধাতুর গুণাগুণ একই না হলে এবং অনিয়ন্ত্রিত কারেন্ট প্রবাহে ওয়েল্ডিং করার পর ওয়েল্ড মেটাল কিংবা মূলধাতুতে (Base Metal) তাপ প্রবাহিত জোনে (Heat affected zone) অথবা উভয় অংশেই ফাটল হতে পারে। এই ফাটল যা খালি চোখে দেখা যায় তাকে ম্যাক্রো ক্র্যাকিং (Macro-cracking) বলে।

বাহ্যিক ত্রুটির (External Defects)
কারণ ও প্রতিকার

ক) বিকৃতি (Distortion)
কারণ
• ধাতুর অসম প্রসারণ ও সংকোচন।
প্রতিকার
• ট্রেস উপশমকরণ (Stress relief)
• প্রি-হিটিং
• পিনিং ষ্টেপ ব্যাক পদ্ধতি
• ওয়ান্ডারিং বা স্কিপ (skip) পদ্ধতি
• জিগ এবং ফিকচার দ্বারা।

খ) আন্ডারকাট (Undercut )
কারণ
• অধিক ওয়েল্ডিং কারেন্ট।
প্রতিকার
• কারেন্ট সঠিক মাত্রায় রাখা।

গ) পুঁড়ে ছেদ হওয়া (Burn through)
কারণ
• অতি দীর্ঘ আর্ক, অত্যধিক কারেন্ট ও অতি মন্থর গতি।
প্রতিকার
• যথাযথ আর্কলেংথ রক্ষা করা এবং আর্কের দৈর্ঘ্য একই রাখা।
• ধাতু যথাযথভাবে পরিষ্কার করা।
• সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালানো।
• ঠিক সাইজের ইলেকট্রোড ব্যবহার করা।

ওভার ল্যাপ (Over lap)
কারণ
• কারেন্ট অতি কম।
• অতিরিক্ত ময়লাযুক্ত ধাতু।
প্রতিকার
• ওয়েল্ডিং এর গতি অত্যধিক মন্থর ও ইলেকট্রোড সঠিক মাপের নয়।
• সঠিক কারেন্ট ব্যবহার করা
• ধাতু যথাযথভাবে পরিষ্কার করা
• সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালানো ও সঠিক সাইজের ইলেকট্রোড ব্যবহার করা।

৩) মাত্রাতিরিক্ত অবতল আকৃতি (Convex Shape Weld)
কারণ
কারেন্ট খুব বেশি।
ইলেকট্রোড চালনার কোণ সঠিক নয়।
ইলেকট্রোড সাইজ সঠিক নয়।
প্রতিকার
সঠিক কারেন্ট ব্যবহার করা।
সঠিক কোণে ইলেকট্রোড চালনা করা।
সঠিক সাইজের ইলেকট্রোড ব্যবহার করা।

চ) মাত্রাতিরিক্ত উত্তল আকৃতি (Concave Shape Weld)
কারণ
কারেন্ট খুব কম ব্যবহার।
ইলেকট্রোড চালনার কোণ সঠিক নয়।
ইলেকট্রোড সাইজ কার্যবস্তুর পুরুত্বের তুলনায় বেশী।
প্রতিকার
সঠিক কারেন্ট ব্যবহার করা।
সঠিক কোণে ইলেকট্রোড চালানো।
সঠিক সাইজের ইলেকট্রোড ব্যবহার করা।

ছ) মিতা ( Porosity)
কারণ
মূল ধাতু যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হয় নাই। ইলেকট্রোড আবরণে আর্দ্রতা থাকায় অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ আর্ক অধিক আর্ক গতি ও সঠিক কারেন্ট ব্যবহৃত হয় নাই।
প্রতিকার
মূল ধাতুকে যথাযথভাবে পরিষ্কার করা শুষ্ক ইলেকট্রোড ব্যবহার করা সঠিক আর্ক লেংথ বজায় রাখা ও সঠিক আর্ক গতি রক্ষা করা
সঠিক কারেন্ট ব্যবহার করা।

জ) বাহ্যিক ফাটল (External Cracks)
কারণ
• সঠিক ধরনের ইলেকট্রোড ব্যবহার না করলে।
• ওয়েল্ডিং এর পর্যায়ক্রম সঠিক না হলে।
• ওয়েল্ডিং তাপমাত্রা অত্যধিক হলে।
প্রতিকার
• সঠিক ধরনের আকৃতির ইলেকট্রোড ব্যবহার করা।
ওয়েল্ডিং এর পর্যায়ক্রম সঠিক বজায় রাখা।
• সঠিক তাপমাত্রায় ওয়েল্ডিং করা।

) উত্তপ্ত ধাতু ছড়ানো (Spatter)
কারণ
• কারেন্ট খুব বেশি।
• আর্কের দৈর্ঘ্য খুব বেশি।
• ইলেকট্রোড চালনার গতি অত্যধিক বেশি।
• ইলেকট্রোড চালনার কোণ সঠিক নয়।

প্রতিকার
• সঠিক কারেন্ট ব্যবহার করা।
সঠিক আর্ক লেংথ বজায় রাখা।
• সঠিক আর্ক গতি রক্ষা করা।
সঠিক কোণে ইলেকট্রোড চালানো।

ঞ) অতিরিক্ত পেনিট্রেশন (Excessive Penetration)
কারণ
জোড়ের প্রস্তুতি সঠিক নয়
• কারেন্ট খুব বেশি
• রুট ফাঁকা খুব বেশি
• জোড়ের তুলনায় ইলেকট্রোড সাইজ খুব ছোট
• ইলেকট্রোড চালনার গতি খুব মন্থর।
প্রতিকার
• সঠিকভাবে জোড় প্রস্তুত করা
• সঠিক কারেন্ট ব্যবহার করা
• সঠিক রুট ফাঁকা বজায় রাখা
সঠিক ধরনের ইলেকট্রোড ব্যবহার করা
• সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালনা করা।

ট) ব্রো-হোল (Blowhole)
কারণ
• অতি দীর্ঘ আর্ক।
প্রতিকার
• যথাযথ আর্ক দৈর্ঘ্য বজায় রাখা।

অভ্যন্তরীণ ত্রুটি (Internal Defects)
ওয়েল্ডিং জোড়ের বাহির হতে যে ত্রুটি গুলো দেখা যায় না কিন্তু জোড়ের ভিতরে অবস্থান করে সেই ত্রুটিগুলোকে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি (Internal Defects) বলে। যেমন- ধাতুমল অন্তর্ভুক্ত, স্বল্প পেনিট্রেশন, কম গলন, অভ্যন্তরীণ ফাটল ইত্যাদি

কম বা অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন (Incomplete or Poor Penetration)
মূল ধাতুর অভ্যন্তরে মেটালের কম অনুপ্রবেশই অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন নামে পরিচিত। এতে জোড় দূর্বল হয় এবং জোড় স্থান পূর্ণ নাও হতে পারে।

কম গলন (Lack of Fusion) :
মূল ধাতু ওয়েল্ড মেটালের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে মিশ্রনের অভাবকেই কমগলন বলা হয়। ইলেকট্রোড এবং মূল ধাতুর মধ্যে কম বা অসম্পূর্ণ গলনের ফলে জোড় দূর্বল হওয়ায় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

অভ্যন্তরীণ ফাটল (Internal Cracking)
যা খালি চোখে দেখা যায় না অর্থাৎ এমন ফাটলকে মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে দেখতে হয় তাকে মাইক্রো ক্র্যাকিং (Micro-cracking) বলে। যে সমস্ত ফাটল সলিডাস তাপের (Solidus temperatures) উপরে ঘটে তাকে হট ক্র্যাকিং (Hot cracking) বলে। আর যে সমস্ত ফাটল সলিডাসের নিচে ঘটে অর্থাৎ যে তাপমাত্রায় ধাতু তরল থেকে কঠিন হতে শুরু করে তার উপরের তাপমাত্রায় ঘটে তাকে কোল্ড ক্র্যাকিং (Cold cracking) বলা হয়।

অভ্যন্তরীণ ত্রুটির (Internal Defects)
কারণ ও প্রতিকার 

ক) ধাতুমল অন্তর্ভূক্তি (Stag Inclusion)
কারণ
• অপরিষ্কার ধাতু।
• ইলেকট্রোড চালনা সঠিক নয়।
• কারেন্টের মান খুব বেশি কিংবা খুব কম।
• ইলেকট্রোড নির্বাচন সঠিক নয়।
পূর্ববর্তী রানের প্লাগ যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হয়নি।

প্রতিকার
• ধাতু যথাযথভাবে পরিষ্কার করা।
সঠিক কোণে ইলেকট্রোড চালনা করা।
• সঠিক কারেন্ট ওয়েল্ডিং করা।
• সঠিক ইলেকট্রোড নির্বাচন করা।
• পূর্ববর্তী রানের স্লাগ যথাযথভাবে পরিষ্কার করা।

খ) অভ্যন্তরীণ ফাটল (Internal Cracking)
কারণ
• সঠিক ধরনের ইলেকট্রোড ব্যবহার না করলে।
• ওয়েল্ডিং পর্যায়ক্রম সঠিক না হলে।
ওয়েল্ডিং তাপমাত্রা অত্যধিক হলে।
প্রতিকার
• সঠিক ধরনের আকৃতির ইলেকট্রোড ব্যবহার করা।
• ওয়েল্ডিং এর পর্যায়ক্রম সঠিক বজায় রাখা।
• সঠিক তাপমাত্রায় ওয়েল্ডিং করা।

গ) অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন (Incomplete or Poor Penetration)
কারণ
• জোড়ের প্রস্তুতি সঠিক নয়।
• ইলেকট্রোড ওভার সাইজ।
• কারেন্ট খুব কম।
• রুট ফাঁকা খুব কম।
• ইলেকট্রোড কোণ সঠিক নয়।
• আর্কলেন্থ খুব বেশি দীর্ঘ।
প্রতিকার
• সঠিক ভাবে জোড় প্রস্তুত করা।
• সঠিক আকৃতির ইলেকট্রোড বাছাই করা।
• সঠিক কারেন্ট ব্যবহার করা।
• সঠিক রুট ফাঁকা বজায় রাখা।
• সঠিক কোণে ইলেকট্রোড চালনা করা।
• সঠিক আর্ক লেন্থ রক্ষা করা।

ঘ) কম গলন (Lack of Fusion)
কারণ
• কার্যবস্তুর পুরুত্বের তুলনায় ইলেকট্রোড ব্যাস খুব ছোট
• কারেন্ট খুব কম।
• ইলেকট্রোড কোণ সঠিক নয়।
• ইলেকট্রোড চালানোর গতি সঠিক নয়।
প্রতিকার
• অপেক্ষাকৃত বড় ব্যাসের ইলেকট্রোড ব্যবহার করা
• সঠিক কারেন্টে ওয়েন্ডিং করা
• সঠিক কোণে ইলেকট্রোড চালনা করা
• ওয়েল্ডিং এর জোড়স্থান ভালভাবে পরিষ্কার করা
• ওয়েল্ডিং এর পর্যায়ক্রমে কিংবা ধাপ সমূহ সঠিকভাবে বজায় রাখা।

ওয়েন্ডিং ত্রুটিসমুহের সীমাবদ্ধতা

ওয়েল্ডিং স্থানটি নিখুঁত ও শক্তিশালী হলো কি না বা ওয়েল্ড ধাতুর মধ্যে কোন ত্রুটি আছে কি তা পরীক্ষা ছাড়া বোঝা যায় না। ওয়েল্ডিং জোড়ের ধরণ, ব্যবহার এবং ব্যবহারকালে এর উপর চাপের প্রকৃতি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে পরীক্ষা বা বিশ্লেষণ করে ওয়েল্ডিং এর ত্রুটির সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করা যায়। আসবাবপত্র, গ্রিল, সাধারণ বিল্ডিং স্ট্রাকচার ইত্যাদিতে ওয়েল্ডিং এর ছোটখাটো ত্রুটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে। কিন্তু শিল্পকারখানা, জাহাজ নির্মাণ, বয়লার টিউব ইত্যাদিতে সামান্যতম ত্রুটিও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ওয়েল্ডিং এর দোষত্রুটির সীমাবদ্ধতার উপর লক্ষ্য রেখে কাজ করা উচিত।

কাজের ধারা

১. প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসমূহ, প্রয়োজনীয় টুলস ও যন্ত্রপাতি স্টোর হতে সংগ্রহ করো।
২. তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি যথানিয়মে পরিধান করো 

৩. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিরীক্ষা করো।
৪. ওয়েন্ডিং স্থান ভালভাবে ওয়ার ব্রাশ দিয়ে ঘসে স্লাগ বা ময়লা দূর করো।
৫. ওয়েল্ড ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করো।
৬. ওয়েল্ডিং স্থানে কোন প্রকার ত্রুটি আছে কিনা বের করো।
৭. জোড়া স্থানে ক্র্যাক বিকৃতি আন্ডারকাট, স্প্যাটার, রো-হোল, ওভার ল্যাপিং ইত্যাদি আছে কিনা শনাক্ত করো।
৮. প্রয়োজনে আতশ কাঁচের সাহায্য নাও।
৯. কোন রকম ত্রুটি শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিক নোট কর।
১০. চিহ্নিত ত্রুটিগুলো রিপোর্ট আকারে সেকশন ইনচার্জকে জানাও।
১১. পরবর্তীতে সেকশন ইনচার্জের অনুমতি নিয়ে ত্রুটিগুলো সমাধান করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলো।
১২. কাজ শেষে টুলস্ ও যন্ত্রপাতি যথাস্থানে রাখ।
১৩. কাজের স্থান যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করে কর।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url