how select electrode for welding - রোবোটিক্স কাকে বলে - Polarity

 how select electrode for welding - রোবোটিক্স কাকে বলে - Polarity 
how select electrode for welding - রোবোটিক্স কাকে বলে - Polarity

how select electrode for welding - রোবোটিক্স কাকে বলে - Polarity 

ইলেকট্রোড নির্বাচন করো (Select Electrode)

  • ইলেকট্রোড নির্বাচনে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তবে জবের পুরত্ব, অবস্থান এবং কাজের গুরুত্ব অনুসারে নির্বাচন করো।
  • অধিক পুরুত্বের ধাতু ওয়েল্ডিং করতে অপেক্ষাকৃত বড় ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়। খরচ কম রাখার জন্য সর্বোচ্চ ব্যাসের ইলেকট্রোড নির্বাচন করো।
  • জোড়ের রুট রানের জন্য সাধারণত কম ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে ১০ গেজি ইলেকট্রোড বা ৩.২০ মি মি ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করো।

ওয়ার্ক পিস সংযোগ করো (Connect the Workpice)

• কার্যবস্তুকে কাম্পের সাথে আটকাও মেশিনের পজিটিভ টর্মিনাল কার্যবস্তুর সাথে এবং নেগেটিভ টার্মিনাল ইলেকট্রোড হোল্ডারের সাথে সংযোগ করো (ডিসি মেশিনের ক্ষেত্রে)।
• এসি মেশিনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড হোল্ডার এবং গ্রাইন ক্যাবল যে কোন টার্মিনালে লাগানো যায়।

ইলেকট্রোড আটকাও (Hold the Electrode)

ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ইলেকট্রোড হোল্ডারের ভিতর চাপ দাও। বাম হাত দিয়ে ইলেকট্রোড এর সাথে ভাল ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য হোল্ডারের 'চোয়াল' সর্বদা পরিষ্কার রাখবে
• বাহুতে চাপ দিয়ে ইলেকট্রোড হোল্ডার ধরো, যাতে সহজ এবং আরামদায়ক ভাবে কাজ করা যায়, সম্ভব হলে ক্যাবল কাঁধে কিংবা কনুইয়ে ক্যাবল জড়িয়ে নিবে, এত ক্যাবল হতে সৃষ্ট অসুবিধা এড়ানো যায়।
• ইলেকট্রোড হোল্ডার হালকাভাবে ধরো, অন্যথায় কম্পন হবে এবং তাড়াতাড়ি ক্লান্তি আসবে।

how select electrode for welding - রোবোটিক্স কাকে বলে - Polarity 

কারেন্ট সেট কর (Set Current)

  • কারেন্ট নিরুপন করতে ইলেকট্রোড ব্যাস মূল বিবেচ্য বিষয়। ইলেকট্রোড ব্যাস যত বেশি কারেন্ট তত বেশি হবে। 
  • মেশিনের সুইচ অন করো এবং ১৩০ হতে ১৫০ অ্যাম্পিয়ার সেট করো।
  • মেশিন প্রস্তুতকারকের নিদের্শনাবলী অনুসরণ করো।
  • প্রত্যেক ইলেকট্রোডের জন্য কারেন্ট এর উচ্চ এবং নিম্ন ধাপ দেওয়া থাকে।
  • ওয়েল্ডিং অবস্থানভেদ ও ইলেকট্রোডের ধরনের উপর ভিত্তি করে কারেন্ট সেট করো।

কার্যবস্তুতে ট্যাকওয়েন্ড কর (Tack weld on the Workpice)

• কার্যবস্তুর সাথে ইলেকট্রোড ৭০° হতে ৮০° কোণে ধরো।
• কার্যবস্তুর দুইপাশে দুটি এবং মাঝখানে একটি ট্যাগ ওয়েল্ড করো। তবে জবের দৈর্ঘ্য এবং পুরুত্বের উপর ট্যাগ ওয়েন্ডের সংখ্যা নির্ভরশীল। দুটি কার্যবস্তুর মধ্যবর্তী গ্যাপ ১.৫ মি.মি হতে ৩ মি.মি রাখো।

কার্যবস্তুকে প্রি-হিট কর (Preheat the Workpice)

  • বিকৃতি দমনের জন্য কার্যবস্তুতে প্রি-হিটিং করো।
  •  কার্যবস্তুকে ২° হতে ৬° কোণে হেলিয়ে স্থাপন করো।
  •  ওয়েল্ডিং করার পর সঠিক অবস্থানে আসবে।

কার্যবস্তু উল্লম্ব অবস্থানে সেট কর (Set the Workpice in Vertical Position)

কার্যবস্তুতে সুবিধামত উচ্চতায় উল্লম্ব অবস্থানে ৯০° কোণ এ আটকাও। তবে ক্লাম্পিং করে মজবুত ভাবে উল্লম্ব অবস্থানে কার্যবস্তুকে আটকাতে পারলে নিরাপদ ভাবে ধাতুর জোড় সম্পন্ন করা যায়।

জোড়ার ওয়েল্ড সম্পন্ন কর (Weld the joint)

প্রথম রান বা রুট টানার সময় রুটের সাথে ইলেকট্রোড ৯০° হতে ১০০° কোণে ধর এবং জবের দুই পৃষ্ঠ হতে ইলেকট্রোডকে ৯০° কোণে ধরো।
• কোনরূপ বুনন ছাড়া সম আর্ক লেন্থ বজায় রেখে সম গতিতে ওয়ার্কপিসের শেষ প্রাপ্ত বিট টান এবং জোড়ের শেষ পর্যন্ত সামান্য অপেক্ষা করে ওয়েন্ড সম্পন্ন করো।
খানিকটা বুনন কৌশলে এবং কারেন্ট বাড়িয়ে ইলেকট্রোড এর মাথাকে দুলিয়ে দুলিয়ে দ্বিতীয় রান শেষ করো।
এতে কোন জোড়ে ত্রুটি থাকলে সেরে যাবে।
• ক্যাপিং বা শেষ রান টানার জন্য 'ভি' আকৃতির সামান্য অংশ ফাকা রাখ ।
• ক্যাপিং রান টানার টানার সময় বিডের দুই প্রাপ্ত বুনন কৌশল অবলম্বন করে ওয়েল্ডিং শেষ করো।

শিল্ডিং মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে ওভারহেড অবস্থানে সিঙ্গেল ভি বাট তৈরিকরণ।

ওয়ার্কপিস নির্বাচন (Select workpice)

• ৫ হতে ৬ মি.মি. পুরু, ১০০ মি.মি. প্রস্থ ও ১৫০ মি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট দুই খন্ড এমএস প্লেট নাও।

প্রাকপিস প্রস্তুত করো (Prepare Workpice)
• প্লেট হতে গ্রিজ, অথবা তৈল জাতীয় পদার্থ মরিচা, ময়লা ইত্যাদি উত্তম রূপে পরিষ্কার করো।
• বাঁকা কিংবা মোচড়ানো কার্যকর এ্যানভিল / ডাইলে রেখে হাতুড়ির সাহায্যে সোজা ও সমতল করো।
• প্লেটঘয়ের প্রাতভাগে ফ্রেম কাটিং এবং এইভার এর সাহায্যে ৩০° কোণে বিভেল করো।
• প্রাইভার এবং ফাইল দিয়ে ১.৫ হতে ৩ মি.মি. রুট ফেস তৈরি করো।

how select electrode for welding - রোবোটিক্স কাকে বলে - Polarity 

ইলেকট্রোড নির্বাচন করো (Select the Electrode)

  • ইলেকট্রোড নির্বাচনে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তবে জবের পুরত্ব, অবস্থান এবং অনুসারে নির্বাচন করো ।
  • অধিক পুরুত্বের ঝাড়ু ওয়েন্ডিং করতে অপেক্ষাকৃত বড় ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রো ব্যবহৃত হয়।কম রাখার জন্য সর্বোচ্চ ব্যাসের ইলেকট্রোড নির্বাচন করো।
  • জোড়ের রুট রানের জন্য সাধারণত কম ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে ১০ গেজ ইলেকট্রোভ বা ৩.২০ মি.মি ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করো।

ওয়ার্ক পিস সংযোগ করো (Connect the Workplce)
• কার্যককে রাম্পের সাথে আটকাও। মেশিনের পজিটিভ টর্মিনাল কার্যকর সাথে এবং নেগেটিভ টার্মিনাল ইলেকট্রোড হোল্ডারের সাথে সংযোগ করো (ডিসি মেশিনের ক্ষেত্রে)।
• এসি মেশিনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড হোল্ডার এবং গ্রাইন ক্যাবল যেকোন টার্মিনালে লাগানো যায়।

ইলেকট্রোড আটকাও (Hold the Electrode)

• ডান হাতের বৃদ্ধাগুলি দিয়ে ইলেকট্রোড হোল্ডারের ভিতর চাপ দাও। বাম হাত দিয়ে ইলেকট্রোড এর সাথে ভাল ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য হোল্ডারের 'চোঁয়া' সর্বদা পরিষ্কার রাখবে।
• বাহুতে চাপ দিয়ে ইলেকট্রোড হোল্ডার ধরো, যাতে সহজ এবং আরামদায়ক ভাবে কাজ করা যায়, লভব হলে ক্যাবল কাঁধে কিংবা কনুইয়ে ক্যাবল জড়িয়ে নিবো। এতে ক্যাবল হতে সৃষ্ট অসুবিধা এড়ানো যায়।

কারেন্ট সেট করো (Set Current)

• কারেন্ট নিরুপন করতে ইলেকট্রোড ব্যাস মূল বিবেচ্য বিষয় ইলেকট্রোড ব্যাস যত বেশি কারেন্ট  বেশি হবে। মেশিনের সুইচ অন করো এবং কারেন্ট সেটাপ করো।
• মেশিন প্রস্তুতকারকের নির্দেশনাবলী অনুসরণ করো।
• প্রত্যেক ইলেকট্রোডের অন্য কারেন্টের উচ্চ এবং নিম্নধাপ দেওয়া থাকে।
• ওয়েন্ডিং অবস্থানভেদ ও ইলেকট্রোডের ধরনের উপর ভিত্তি করে কারেন্ট সেট করো।

কার্যবস্তুতে ট্যাঙ্ক ওয়েল্ড করা (Tack  weld the workpice)
• প্লেটদ্বয় ব্যাকিং বাড়ের উপর স্থাপন করো।
• কার্যকর সাথে ইলেকট্রোড (৮০- ৯০") কোপে ধরো।
• কার্যবস্তুর দুই পাশে দুটি এবং মাঝখানে একটি ট্যাক ওয়েল্ড করো।
• দুইটি কার্যবস্তুর মধ্যবর্তী গ্যাপ ১.৫ মি.মি-৩ মি.মি রাখ।
• ট্যাক প্ররেন্ডের প্রাণ চিপিং করো এবং ওয়ারপ্রাণ দিয়ে পরিষ্কার করো।

কার্যবস্তুকে প্রি-হিট করো (Preheat the Workpice)
• বিকৃতি দমনের জন্য কার্যবস্তুকে প্রি-হিট করো।
• কার্যবস্তুকে ২° হতে ও° কোণে হেলিয়ে স্থাপন করো। ওয়েল্ডিং করার পর সঠিক অবস্থানে আসবে।

কার্যবস্তু ওভারহেড অবস্থানে সেট করো (Set the workpice in Overhead Position)
• কার্যবস্তুতে সুবিধামত উচ্চতায় ওভারহেড অবস্থানে আটকাও। তবে ক্লাম্পিং করে মজবুত ভাবে ওভারহেড অবস্থানে কার্যবস্তুকে আটকাতে পারলে নিরাপদভাবে ধাতুর জোড় সম্পন্ন করা যায়।

জোড়ার ওয়েল্ড সম্পন্ন করো (Weld the joint)
• ইলেকট্রোড কাজের তলের সাথে ১০ এবং ১০ লিড কোণ রেখে রুট রান টান।
• আর্ক লেন্থ খুব ছোট রাখ এবং ইলেকট্রোডের মাথা যেন জোড়ের প্রান্তের সাথে আলতোভাবে স্পর্শ করাও। এমন গতিতে ওয়েল্ড করতে থাকে যাতে ইলেকট্রোডের মাথা গলিত ধাতুর অগ্রে গমন করে।
ওয়েল্ড হতে প্লাগ পরিষ্কার করো।
• রুট রান ভাল ভাবে পরিষ্কারের পর রুট রানের উপর দ্বিতীয় রান টান।
প্রাগ ভালোভাবে পরিষ্কার করো।
তৃতীয় এবং চতুর্থ রান টেনে জোড়ের ওয়েল্ড সম্পন্ন করে প্লাগ পরিষ্কার করে ফেলবে।

ওয়েল্ড জোড়ের বিকৃতির কারণসমূহ

বিকৃতি ওয়েল্ড জোড়ের একটি অন্যতম দোষ। এটি দমন করা ওয়েল্ডারের প্রধান কর্তব্য। এ বিকৃতির কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায় এবং, সময় ও অর্থের অপচয় হয়। বিকৃতির কারণ, প্রতিকার ইত্যাদি সঠিকভাবে জেনে তা প্রতিকারের জন্য ওয়েল্ডারকে সঠিক কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। বিকৃতির কারণ হলো ওয়েল্ডিং চলাকালীন ভাপের কারণে ধাতুর অসম প্রসারণ ও সংকোচন। ধাতুর প্রসারণ ও সংকোচনজনিত বল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বিকৃতি ঘটে।

ওয়েল্ড জোড়ের বিকৃতির প্রতিক্রিয়া ওয়েল্ড জোড়ের বিকৃতির প্রতিক্রিয়া নিম্নে দেওয়া হলো-
ওয়েল্ড জোড়ের রৈখিক ও কৌণিক কোণের মাপ ঠিক থাকে না।
• কার্যবস্তু ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।
• প্রতিষ্ঠানিক আর্থিক ব্যয় বাড়ায়।
• সর্বোপরি প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

ওয়েল্ড জোড়ের বিকৃতি দমনের উপায়

নিম্নে বিকৃতি দমনের উপায়গুলোর নাম প্রদত্ত হলো-

• স্ট্রেস বিস্তৃতিকরণ (Enlargement of stress)
একটি সংকোচনজনিত বল অন্যটির বিরুদ্ধে সমন্বয় করাই স্টেটস বিস্তৃতিকরণ। ওয়েল্ডিং এর ধারাবাহিকতা সঠিকভাবে বজায় রেখে এটি করা হয়ে থাকে।

• প্রি-সেটিং (Pre-Setting)
এ পদ্ধতিতে ওয়েল্ড সংকোচনের জন্য অ্যালাউন্স রাখা হয়। অভিজ্ঞতার আলোকে ধারণা করা সম্ভব জোড়া কতখানি সংকোচিত হবে এবং জবকে সেটিং করতে কতখানি বিপরীত দিকে তাকে হেলাতে হবে।

• পিনিং (Peening)
ধাতু ঠান্ডা হয়ে ওয়েল্ড মেটাল সংকুচিত হয়। ঠান্ডা হওয়ার সময় যদি হাতুড়ির আঘাত (পিনিং) করা হয় তবে ওয়েল্ড মেটাল বিস্তৃত হবে এবং সংকোচনের বিপক্ষে কাজ করবে।

• স্টেপ ব্যাক মেথড (Step Back Method)
ওয়েল্ডিং
জিগ এবং ফিকচার দ্বারা (By Jig and Fixture) জিগ এবং ফিকচার ব্যবহার করে বিকৃতি দমন করা যায়।

পোলারিটির গুরুত্ব (Importance of Polarity)

আর্ক ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে ধাতুকে জোড়া লাগাতে তড়িৎ বা বিদ্যুৎ শক্তিকে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হয়ে থাকে। এ বিদ্যুৎ প্রবাহ বা চলাচলের পথে দুটি টার্মিনাল নেগেটিভ (-) ও পজেটিভ (+) পোল (Pole) থাকে। এই উভয় পোলের ভিতর দিয়ে বিভব পার্থক্যের করণে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়। কোন একটি বর্তনীর বিদ্যুত বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক নির্দেশনাকে পোলারিটি (Polarity) বলা হয়। এ পোলারিটির কারণেই বর্তনীর দুপ্রান্তে তাপের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। কাজেই উত্তম ওয়েল্ডিং করার জন্য পোলারিটির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ডাইরেক্ট কারেন্ট ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে এ পোলারিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিম্নলিখিত কারণে আর্ক ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে পোলারিটি পরিবর্তন করে ইলেকট্রোড এবং ওয়ার্কপিসের মধ্যে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যথা-
• ইলেকট্রোডের ধরন।
• ওয়েল্ডিং এর অবস্থান।

অলৌহজাত ধাতুর প্রকারভেদ।

পোলারিটির প্রকারভেদ (Classification of Polarity)
পোলারিটি দু' প্রকার। যথা-
• স্ট্রেইট পোলারিটি (Straight Polarity)
• রিভার্স পোলারিটি (Reverse Polarity)
কখনও কখনও স্ট্রেইট পোলারিটিকে নেগেটিভ (-) পোলারিটি এবং রিভার্স পোলারিটিকে পজেটিভ (+) পোলারিটি বলে।

স্ট্রেইট পোলারিটি (Straight Polarity)

ইলেকট্রোড হোল্ডার যখন নেগেটিভ (-) মেরুতে সংযুক্ত হয় তা স্ট্রেইট পোলারিটি। এতে ইলেকট্রোড হতে প্লেটের দিকে ইলেকট্রন প্রবাহ প্লেটে পর্যাপ্ত তাপ সৃষ্টি করে (প্লেটে ৬৬.৬৬% এবং ইলেকট্রোডে ৩৩.৩৩%)। ডাইরেক্ট কারেন্ট স্ট্রেইট পোলারিটি ভারী ও মোটা ওয়েল্ডিং তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।

রিভার্স পোলারিটি (Reverse Polarity)

ইলেকট্রোড হোল্ডার যখন পজিটিভ (+) মেরুতে সংযুক্ত হয় তা রিভার্স পোলারিটি এক্ষেত্রে প্লেট হতে ইলেকট্রোডের দিকে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়। ফলে ইলেকট্রোডে ৬৬.৬৬% এবং প্লেটে ৩৩.৩৩% তাপ উৎপন্ন হয়ে ইলেকট্রোডের প্রান্ত গলে পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। সুতরাং কম পুরুত্বের জব ওয়েল্ডিং করতে এ পোলারিটি ব্যবহার করা হয়।

পোলারিটির ব্যবহার (The Uses of Polarity)

পোলারিটি ডিসি সরবরাহে ওয়েল্ডিং করার সময় ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে সার্কিট বা বর্তনীর পজিটিভ মেরু ও নেগেটিভ মেরুতে ভাপের তারতম্য হয় বলে প্রয়োজন মোতাবেক অনেক সময় কাজকে পজিটিভ মেরুর সাথে এবং ইলেকট্রোডকে নেগেটিভ মেরুর সাথে কিংবা এর বিপরীতভাবে সংযোজন করে ওয়েল্ডিং করা হয়। ডিসি সার্কিটে চলবিদ্যুৎ একই দিকে প্রবাহিত হয়। যে লাইন সাপ্লাই হতে কারেন্ট বহন করে তাকে ঐ বর্তনীর পজিটিভ সাইড এবং বিপরীত লাইনকে নেগেটিভ সাইড বলে। পজিটিভ সাইডে সাধারণত শতকরা ৬০-৭৫ ভাগ তাপ এবং নেগেটিভ সাইডে শতকরা ৪০-২৫ ভাগ তাপ সঞ্চারিত হয়। কাজেই জব বা কাজের পুরুত্ব বেশি হলে তা গলাতে বেশি তাপের প্রয়োজনহেতু ডিসি সার্কিটের বেলায় কাজকে বর্তনীর পজিটিভ সাইডে এবং ইলেকট্রোডকে উহার নেগেটিভ সাইডে সংযোগ করা হয়। অতএব ধাতুর পুরুত্ব, ধাতুর গুণাগুণ ও ইলেকট্রোড কোটিং এর প্রকারভেদ এর আলোকে পোলারিটি ব্যবহার নির্ধারিত হয়।

রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং (Robotics Welding)

রোবট একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত, কৃত্রিম কার্যসম্পাদক। রোবট সাধারণত একটি ইলেক্ট্রো-যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা প্রায় মানুষের মত কাজকর্ম করতে পারে। রোবট শব্দটির উৎপত্তি চেক শব্দ রোবোটা থেকে যার অর্থ ফোর্স লেবার বা মানুষের দাসত্ব কিংবা এক ঘেয়েমি খাটুনি পরিশ্রম করতে পারে এমন যন্ত্র। রোবট হল একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। রোবটকে ওয়েল্ডিং শিল্পে ব্যবহার করা হয় বিধায় ইহা রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং নামে পরিচিত। রোবটিক্স ওয়েল্ডিং হল কম্পিউটার প্রোগামযোগ্য সরঞ্জামের ব্যবহার করে ওয়েল্ডিং সম্পাদন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করে একটি ওয়েন্ডিং প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করে তোলে। রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং তুলনামূলকভাবে নতুন প্রয়োগ, যদিও ১৯৬০ এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক যন্ত্রশিল্পে প্রথম রোবট চালু হয়েছিল। ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত ওয়েল্ডিং এ রোবটের ব্যবহার শুরু হয়নি, যখন স্বয়ংচালিত শিল্প স্পট ওয়েল্ডিং এর জন্য রোবটের ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু করে। তারপর থেকে শিল্পে ব্যবহৃত রোবটের সংখ্যা এবং এর প্রয়োগের সংখ্যা উভয়ই বেড়েছে।

রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং এর প্রয়োগ ক্ষেত্রসমূহ-
• রেজিস্ট্যান্স ওয়েল্ডিং (Resistance Welding)
লেজার ওয়েল্ডিং (Laser Welding)
গ্যাস-মেটাল-আর্ক-ওয়েল্ডিং-(Gas-Metal-Are-Welding-)

রোবট যেভাবে কাজ করে
রোবট হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র যা মানুষের নির্দেশ মত কাজ করে। রোবটের যান্ত্রিক সংগঠনের সংঙ্গে একটি চিপ সংযুক্ত করা থাকে। এই চিপে প্রোগ্রাম সেট করে দেওয়া হয়। এসব প্রোগ্রাম অনুসারেই রোবটের দেহের বিভিন্ন অংশ গতিশীল হয় এবং নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে থাকে।

রোবটিক ওয়েল্ডিং এর ব্যবহার
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবোটিক ওয়েল্ডিং ব্যবহার করা হয়। যেমন-
• শিল্পের বিপজ্জনক এবং কঠিন কাজে
• বৃহৎ মেশিনের কষ্টদায়ক যন্ত্রপাতির সংযোজনে।
• শিল্প কারখানায় দ্রুত উৎপাদন কার্য সম্পাদনে।
• ব্যাপকভাবে অটোমোবাইল শিল্পে।
• শিপবিল্ডিং, তেল ও গ্যাস শিল্পে।

রোবটিক ওয়েল্ডিং এর গুরুত্ব
• রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং অটোমেশনে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ্লিকেশন জুড়ে উৎপাদনশীলতা এবং ওয়েল্ডিং এর গুণগতমানকে বাড়িয়ে তোলে।
• রোবেটিক্স ওয়েল্ডিং স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া যা দক্ষতা, ধারাবাহিকতায় কাজ করায় প্রতিষ্ঠানিক মুনাফা অর্জনে ভূমিকা রাখে।
• রোবোটিক্স অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়াটিতে কম সময় নেয়।
• রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং নির্মাতাদের সরাসরি শ্রম ও নিরাপত্তা খরচ এবং উপকরণ ব্যয় কমায়।
• বিরক্তিকর ও একঘেয়েমি কাজের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ হয়।
• বিপদজনক ওয়েল্ডিং এর স্থানে যেখানে মানুষের পক্ষে কাজ করা কঠিন এবং অসম্ভব সেক্ষেত্রে রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং প্রয়োগ হয়।
• বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংযোজনে ও মেরামতে রোবটিক্স ওয়েল্ডিং এর গুরুত্ব অপরিসীম।

রোবটিক্স ওয়েল্ডিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
রোবটিক ওয়েন্ডিং এর সুবিধা

• ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ওয়েল্ডিং এর কার্য, দক্ষতার সাথে সম্পাদন করতে পারে।
• রোবোটিক্স ওয়েল্ডার ওয়েন্ডিং কার্যে সময় বাঁচায়।
• ওয়েল্ডিং কাজের দোষত্রুটির নির্ভুলতা কমায়।
রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং কাজের সামজস্যতা নিশ্চিত করে কাজের কর্মদক্ষতা ও ওয়েন্ডিং এর গুণগত মান নিশ্চিত করে।
• উৎপাদনের কাঁচামালের যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
• ওয়েল্ডিং কাজের নিরাপত্তা ও শ্রমিক ব্যয় কমায়।
রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং উৎপাদন ব্যয় কমায়।

রোবটিক ওয়েল্ডিং এর অসুবিধা
• মানুষের মত পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে পারে না।
ফলে একটি রোবট দিয়ে ইচ্ছেমত বিভিন্ন কাজ করা যায় না।
• রোবটিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়।
• রোবট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ লোক প্রয়োজন হয়, ফলে এটি ব্যয়বহুল।

রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং এর যন্ত্রপাতি
রোবোটিক্স ওয়েল্ডিং এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশসমুহ-

• পিসি বেইজ কন্ট্রোলার (PC-Based Controller)
• পাওয়ার কন্ট্রোলার (Power Controller)
সেন্সর ( Sensor)
ওয়্যার ফিডার (Wire Feeder)
• টর্চ/গান (Troch/Gun)
• ক্যামেরা (Camera)
• লেজার (Laser)
• সারভো ফিডার (Servo Feeder)
ওয়্যার ফিডিং টিউব (Wire Feeding Tube)

কাজের ধারা

১. নিরাপত্তামূলক পোশাক পরিধান করো এবং কাজে মনোনিবেশ করো।
২. তারের ব্রাশ দিয়ে ওয়ার্ক পিসের উপরিতল পরিষ্কার করে নাও।
৩. ওয়ার্ক পিস বাঁকা থাকলে অ্যানভিলের উপর রেখে হাতুড়ির আঘাতে সোজা করে নাও।
৪. প্লেটের প্রান্ত গুলো ফাইলিং বা গ্রাইন্ডিং করে ৯০ ডিগ্রী করে নাও।
৫. ফাইলিং অথবা গ্রাইন্ডিং করে ৩০ বিভেল এঙ্গেল তৈরি করো।
৬. ফাইলিং রুটফেস ১.৫ হতে ২ মিলিমিটার পুরুত্ব বের করো।
৭. জোড়াটিকে এমনভাবে স্থাপন করো যেন এদের উপরের অংশে একটি 'ভি' তৈরি হয় এবং এদের মাঝে রুট গ্যাপ ১.৫ হতে ২ মিলিমিটার পর্যন্ত রাখ।
৮. স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ইলেকট্রোড নির্বাচন করো ৯. ইলেকট্রোড হোল্ডারের সাথে সংযোগ করো।
১০. ওয়েল্ডিং মেশিনে কারেন্ট সেট করো ।
১১. জবের দুই পার্শ্বে দুটি ট্যাক ওয়েল্ড করো।
১২. জবটি ওয়েল্ডিং টেবিলের পজিশনারের সাথে নিজের দেহের উচ্চতা বিবেচনা সহ আরামদায়ক অবস্থানে আটকাও।
১৩. রুট পাস/রুট রান (Root pass) টানার সময় রুটের সাথে ইলেকট্রোডকে ৮০° হতে ৯০° কোণে ধরো এবং জবের দুই পৃষ্টদেশ হতে ইলেকট্রোডকে ৯০° কোণে ধর।
১৪, রুট পাস/রুট রান টানার পর বিডের উপর হতে চিপিং হ্যামার ও ওয়্যার ব্রাশের সাহায্যে জোড় স্থান ভালভাবে পরিষ্কার করো।
১৫. খানিকটা কারেন্ট বাড়িয়ে হট রান/পাস (Hot pass) সম্পন্ন করো । (কারেন্ট বাড়াবার ফলে জোড়ে কোন ত্রুটি থাকলে সংশোধন হবে)।
১৬. চিত্রে দেখানো ইলেকট্রোড এবং প্লেটের মধ্যে বিভিন্ন কোন অনুসরণপূর্বক ফিলিং রান/পাস (Filling pass) ক্যাপিং রান/পাস (Caping pass) বা ফিনিসিং রান টানব এবং লেকট্রোড চালনার সময় জোড়ের।
১৬. মাঝে অপেক্ষা না করে জোড়ের প্রান্তে সামান্য অপেক্ষা করে বিড টান।
১৭. চিপিং হ্যামার ও ওয়্যার ব্রাশের সাহায্যে জোড়স্থান ভালভাবে পরিষ্কার করো।
১৮. বাহ্যিক ত্রুটি গুলো শনাক্ত করে ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান করো এবং জব জমা দাও।
১৯. সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করো। ২০. কাজ শেষে কর্মস্থল পরিষ্কার করো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url