Shielded Metal Are Wekding - শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং - ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

 Shielded Metal Are Wekding - শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং - ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
Shielded Metal Are Wekding - শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং - ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

Shielded Metal Are Wekding - শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং - ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং (৩জি ও ৪জি) Shielded Metal Are Wekding (3G and 4G )

বর্তমান যুগ আধুনিক যন্ত্রশিল্পের যুগ। এ যুগে ওয়েন্ডিং এনেছে যুগান্তর। ওয়েন্ডিং হচ্ছে থাতুর সাথে ধাতুর জোড়া দেয়া। একটা ধাতুর সঙ্গে আর একটা ধাতুর এমন বিজ্ঞানসম্মত জোড় দেখা যায় যে, পূর্ব অবস্থার চেয়েও ধাতুটি জোড় স্থানের শক্তিবেশি ছাড়া কম হয় না এবং জোড়া দেওয়ার কৌশলে তার সৌন্দর্যেরও কোন ব্যাখাত হয় না। যাতৰ প্ৰৰাদি তৈরি এবং মেরামতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েন্ডিং। এই পদ্ধতি সহজ, সুন্দর, শক্তিশালী জোড় তৈরি করতে অদ্বিতীয়। আজকাল বিভিন্ন কলকারখানার কাঠামো (Structure) বরলার ও রেলওয়ের ওয়াগন, ভারী যন্ত্রশিল্প, মোটর গাড়ির কারখানা থেকে শুরু করে বাবতীয় কলকারখানা, গৃহের ইস্পাতের কাঠামো, বড় বড় পানির ট্যাংক, তেলের ট্যাংক, গ্যাস কিংবা তেলের পাইপ লাইন, ভারী ব্রিজ, মহাকাশ যান, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং এর ভূমিকা অপরিসীম।

ওয়েন্ডারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

ওয়েন্ডিং কাজে ওয়েন্ডারকে নানাবিধ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ব্যক্তিগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই অনেকাংশে বেশি। আর এরূপ দুর্ঘটনা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। ওরেস্তারের ব্যক্তিলাভ নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জনিত নাম প্রয়োজন। ওয়েল্ডারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত সাজসরঞ্জাম বলতে এমন কতগুলো সাা সরঞ্জামকে বুঝার যেগুলো ব্যবহার করলে একখান ওয়েল্ডার ওয়েন্ডিং কার্যকালীন ব্যক্তিগতভাবে নিরাপদ থাকে। শিন্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েডিং (৩জি এবং ৪জি) ওয়েভিং করার সময় যেসব ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরাম ব্যবহৃত হয় তা নিয়ে নেওয়া হলো-
১. লেদার অ্যান ( Leather Apron)
২. হ্যান্ড গ্লোভস্ (Hand Gloves)
৩. হেড শিশু (Head Sheild)
৪. ওয়েল্ডিং পাস (Safety Googles)
৫. সেফটি সুভা (Safety Shoes)
৬. রেস্পিরেটর (Respirator)
৭. আর্য গার্ড (Arm Guard)
৮. ফার্স্ট এইড বক্স (First Aid Box)

Shielded Metal Are Wekding - শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং - ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামসমুহের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

• লেদার অ্যাক্সন (Leather Apron) 

এটি চামড়ার তৈরি দেহের সামনের অংশকে আবৃত রাখে, সুতরাং ওয়েল্ডারের জামা কাপড়, উড়ন্ত চিপস্ অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হতে রক্ষা পায়। এছাড়া এটি ধুলাবালি, ময়লা বা কালি হতে জামা কাপড়কে

• হ্যান্ড গ্লেভস্ (Hand Gloves) এটি পুরু এবং অগ্নি প্রতিরোধক পদার্থ দিয়ে তৈরি। হাতের তালু এবং আনুলগুলোকে উত্তপ্ত ধাতু হতে ওয়েন্ডারকে রক্ষা করে।

• হেড শেইল্ড (Head Sheild)
হেড শেইল্ড হাতে ধরতে হয় না। মাথায় আটকিয়ে দিয়ে সুবিধাজনকভাবে ব্যবহার করা যায়। এটি হ্যান্ডপিন্ডের মত ওয়েল্ডার এর মাথা, চোখ এবং মুখমণ্ডলকে ক্ষতিকর আর্ক রশ্মি কতে বাঁচায়।

• সেফটি সুজ (Safety Shoes)
এটি এক ধরনের চামড়ার তৈরি জুতা, যার তলা রাবারের তৈরি। বৈদ্যুতিক শক হতে রক্ষা পাওয়া এবং ধারালো কোন বন্ধ বা উচ্চ স্থান হতে পতিত কোন বন্ধ হতে পা-কে রক্ষা করার জন্য এ ধরনের সু বা জুতা ব্যবহার করা হয়।

• রেস্পিরেটর (Respirator)
এটি এমন এক ধরণের যন্ত্র যার সাহায্যে প্রতিকূল মানেও ওয়েল্ডার বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে কাজ চালাতে পারে। বন্ধ কোন স্থানে বা কোন ক্ষতিকারক গ্যাস সৃষ্টিকারী ধাতু ওয়েল্ডিং এর সময় স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসে ভরেন্ডারের যখন কষ্ট হয় তখন রেস্পিরেটর ব্যবহার করা হয়।

• আর্ম গার্ড (Arm Guard)
ওয়েন্ডিং করার সময় উত্তপ্ত গলিত ধাতু যাতে সরাসরি হাতে না লাগে সে জন্য আর্ম গার্ড ব্যবহার করা হয়।

• ফাস্ট এইড বক্স (First Aid Box)
ওয়েন্ডিং চলাকালীন ওয়েল্ডারের শরীরে কোথাও পুড়ে বা ফেটে পেলে প্রাথমিক চিকিত্সা করার জন্য ফাস্ট এইড বক্স ব্যবহার করা হয়।

আর্ক ওয়েল্ডিং এ নিরাপত্তা

যে কোনো ব্যবহারিক কাজ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ওয়ার্কশপের নিরাপত্তা বিধি এবং সঠিক কার্যপদ্ধতি অনুসরণপূর্বক কার্যসম্পাদন করা উচিত। কথায় আছে "Safety First” অর্থাৎ নিরাপত্তাই প্রথম। তাই নিরাপত্তার গুরুত্ব অপরিসীম। ওয়েল্ডিং করার সময় কয়েকটি বিষয়ে সাবধান থাকতে হয়। একজন ওয়েল্ডার বিদ্যুৎ, উত্তপ্ত ধাতু, তীব্র আর্ক রশ্মি, ধোয়া, গ্যাস এবং বিভিন্ন টুলস ও ইকুইপমেন্ট নিয়ে ওয়েল্ডিং করে থাকে। সুতরাং উল্লিখিত বিষয়গুলোই দুর্ঘটনার উৎস হিসেবে কাজ করে। আর্ক ওয়েল্ডিং এর সময় একজন ওয়েল্ডাররের নিরাপত্তা সহকারে কাজ করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো স্মরণ রাখা আবশ্যক। যথা-
• বৈদ্যুতিক শক বা তড়িতাহত হওয়া।
• আর্ক রশ্মি থেকে উদ্ভূত বিপদ
• অগ্নি দগ্ধ হওয়া।
উড়ন্ত চিপস থেকে উদ্ভূত বিপদ।
• ধোঁয়া থেকে উদ্ভুত বিপদ।

উত্তম ওয়েল্ড এর বৈশিষ্ট্য

ওয়েল্ডিং একটি জটিল এবং কঠিন কাজ। ভালো ওয়েল্ডিং করা মোটেও সহজ নয়। তাই ওয়েল্ডারকে ধাতুর গুণাগুণ, প্রকৃতি, ওয়েল্ডিং এর নিয়ম-কানুন ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। একজন দক্ষ ওয়েল্ডারের কাছে ভালো ওয়েল্ডিং করা মোটেও কঠিন কাজ নয়। অনেক সময় অনেক দক্ষ ওয়েল্ডারও অবহেলা করে ভুল নিয়মে ওয়েল্ডিং করে উত্তম গুণাগুণ সম্পন্ন জোড় তৈরি করতে পারে না। ওয়েল্ডের মান ও শক্তি নিরুপণে নিম্নে বর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করা প্রয়োজন-
• উত্তম পেনিট্রেশন বা সঠিক পেনিট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।
• নির্দিষ্ট পরিমান ধাতুর গলন সম্পন্ন করতে হবে।
• ধাতু জমাকৃতির নিবিড়তা বজায় রাখতে হবে।
• ওয়েল্ড এর আকৃতির রং মান সম্পন্ন হতে হবে।
• ধাতু ছিটানো (স্প্যাটার) রোধ করতে হবে।
বিডসমূহের ধারাবাহিকতা ও মসৃণতা অক্ষুন্ন রাখতে হবে।
Shielded Metal Are Wekding - শিল্ডেড মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং - ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

উত্তম ওয়েড এর গুরুত্ব

ওয়েল্ডিং একটি জটিল ও কঠিন কাজ, তাই ভাগ ওয়েল্ড তৈরি করা মোটেও সহজ কাজ নয়। ভাল মানের ওয়েন্ডিং পেতে হলে ওয়েভারকে ধাতুর গুণাগুণ, ধাতুর গলন, ধাতুর পেনিট্রেশন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এবং ওয়েল্ডিং করার সময় এ বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে। কেননা এ বিষয়গুলো অনুসরণ না করলে ভাল ওয়েল্ডিং পাওয়া সম্ভব নয় ভাল ওয়েল্ডিং না হলে ছব ব্যবহারের অনুপযোগী হতে পারে, উৎপাদন খরচ বাড়বে, সময় অপচয় হবে। তাই প্রথমবারেই উত্তম বা ভালমানের ওয়েন্ডিং করতে হবে।

উত্তম ওয়েল্ড তৈরিতে গৃহীতব্য ব্যবস্থা-
• উত্তম ওয়েড তৈরিতে প্রথম প্রয়োজন ওরেন্ডিং এর পরিভাষার উপর যথেষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতা
• সঠিক নিয়মে জব প্রস্তুত।
• সঠিক কারেন্ট সেটিং।
• সঠিক আর্ক লেখে, বুনন কৌশল, সঠিক গতিতে ইলেকট্রোষ চালনা ।
• সঠিক আর্ক দৈর্ঘ্য রক্ষা
ইলেকট্রোড ধরার কোশ সঠিক রাখা।
• উত্তম ঘোড়ের জন্য মূল ধাতুর গুণাগুণ সঠিক রাখা।
• ওয়েন্ডিং স্প্যাটার প্রতিরোধ করা।

ভরেন্ডিং সিম্বল বা ওয়েন্ডিং প্রতীক (Welding Symbols)

যে সাংকেতিক চিহ্ন যারা বিভিন্ন ওয়েন্ডিং জোড়ার নকশা ও কার্যপদ্ধতি নির্দেশ করে তাকে ওয়েভিং সিল বলে। একজন ওয়েল্ডার যখন কাজ করে তখন এ ওয়েল্ডিং নিক্ষণগুলো দেখে কাজ করতে হয়। তাই একজন দক্ষ ওয়েল্ডারের এ সিম্বল সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

ওয়েল্ডিং এর অবস্থানসমূহ

অবস্থান ভেদে ওয়েল্ডিং এর কলাকৌশল পাঁচ প্রকার। যথা-
• সমতল অবস্থা (Flat Position)
• আনুভূমিক অবস্থান (Horizontal Position)
• উল্লখ অবস্থান (Vertical Position)
• ওভারহেড অবস্থান (Overhead Position)
• কৌণিক অবস্থান (Inclined Position)
১. ফিলেট ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে সমতল, অনুভূমিক, উল্লখ এবং ওভারহেড অবস্থানে ওয়েল্ডিংকে 1F, 2F, 3F এবং 4F অবস্থান বলে।
২. গ্রেন্ড ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে সমতল, অনুভূমিক, উল্লম্ব এবং ওভার হেড অবস্থানে ওয়েল্ডিংকে 1G, 2G, 3G এবং 4G অবস্থান বলে।
৩. পাইপ ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে সমতল, অনুভূমিক, উল্লখ এবং কৌণিক অবস্থানে ওয়েল্ডিং কে 1G, 2G, 5G এবং 6G অবস্থান বলে।

অবস্থান ভেসে ওয়েন্ড এর বুনন কৌশল

ক) উল্লম্ব অবস্থান (Vertical Position) :

ঊর্ধ্বাভিমুখী কিংবা নিম্নাভিমুখী ওয়েন্ডিং এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সীমাদ্ধতা আছে। উভয় ক্ষেত্রেই গলিত ধাতু মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়। ফলে নিচের দিকে পড়িয়ে পড়তে থাকে। এ ক্ষেত্রে উত্তল বিড তৈরি হয় এবং পেনিট্রেশন কম হয়। বুনল গতিতে ওয়েল্ডিং করতে করতে উপরের দিকে অগ্রসর হলে এ অসুবিধা দূর হয়।

খ) নিম্নাভিমূখী উল্লম্ব অবস্থান (Vertical Down Position):

এ ক্ষেত্রে ওয়েন্ডিং এর গতি অত্যন্ত দ্রুত হয়। কারেন্ট অত্যধিক হলে আন্ডারকাট হয়, অবতল আকৃতির বিড উৎপন্ন করে এবং পেনিট্রেশন কম হতে পারে। বুনন কৌশল অনুসরণ করলে এ অসুবিধা কিছুটা দূর হয়। সাধারণত ৪৫-কোণে ইলেকট্রোড ধরতে হয়।

গ) অনুভূমিক অবস্থান (Horizontal Position) :

ফরিলন্টাল পদ্ধতিতে ওয়েন্ডিং করা তুলনামূলক সহজ। তবে জোড়ের দুই ধারে সামান্য থেমে থেমে হেলিয়ে দুলিয়ে বুনন করে ওয়েন্ডিং সম্পন্ন করা উচিত।

ঘ) মাথার উপরে অবস্থান (Overhead Position) :

ওভারহেড ওয়েল্ডিং কোন কঠিন কাজ নয়। সুতরাং ওভারহেড নাম শুনলেই ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আর্ক লেখে ছোট রেখে ইলেকট্রোভকে সঠিক কোণে ধরে ধাতুর জোড়া তৈরি করতে হবে রুট রানের ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য আছে। ওভার হেড জোড়ের ক্ষেত্রে কারেন্টের পরিমাণ একটু কম লাগবে। ধাতুর দুই প্রান্ত গলানোর জন্য যেটুকু সময় প্রয়োজন বুনন গতিতে শুধু সেটুকু সময় ব্যয় করতে হবে। অধিক সময় ব্যয় করা হলে বার্নস্ত্রো (Burn Through) হতে পারে।

চালনা কৌশল
অবস্থান ভেদে ওয়েল্ডিং জোড়ের কৌশল বদল করতে হয়। ফ্লাট অবস্থানে ধাতু জোড়ের যে কৌশল ব্যবহার করা হয়, ওভারহেড অবস্থানে তার সম্পূর্ণ বিপরীত কৌশল ব্যবহার করা হয়। অনুভূমিক অবস্থানে ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে ধাতু গলে ততটা নিচের দিকে না পড়লেও উল্লম্ব অবস্থানে মাধ্যাকর্ষণ জনিত কারণে গলিত ধাতু নিচের দিকে পড়তে থাকে। তাই উত্তম জোড়ের জন্য অনুভূমিক এবং উল্লম্ব অবস্থানে আলাদা আলাদা কৌশল অবলম্বন করতে হয়। ওভারহেড অবস্থানে মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। এজন্য আর্ক লেংথ ছোট রেখে, সঠিক কারেন্ট অ্যাডজাস্ট করে সঠিক গতিতে ধাতু জোড়া দিতে হবে। ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব যত বেশি থাকবে গলিত ধাতু তত শরীরের দিকে স্প্যাটার করতে থাকবে। তাই বিশেষ নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে।

অবস্থান ভেদে ইলেকট্রোড এর কৌণিক অবস্থার মান নিয়ন্ত্রণ
পেনিট্রেশনের জন্য ইলেকট্রোডের আর্ক সর্বদা কম রাখতে হবে । ফ্লাট অবস্থায় ইলেকট্রোডকে ধাতুর জোড়ের দিকে ৭০-৮০° কোণে চালনা করতে হবে। অনুভূমিক অবস্থায় মূল ধাতুর জোড়ের উপর নিচ থেকে ইলেকট্রোডকে ৪৫° কোণে রেখে সঠিক গভিতে ইলেকট্রোড চালনা করে ধাতু জোড়া দিতে হয়। আবার ওভারহেড অবস্থায় ইলেকট্রোডকে ধাতু জোড়ের সাথে ৯০° কোণে রেখে ছোট আর্ক লেংথ ও কারেন্ট একটু কম করে সঠিক গতিতে ইলেকট্রোড চালনা করতে হয়। ইলেকট্রোড এর কোণ বেশি কম হলে ধাতুমল ঝরে পড়তে থাকবে। উল্লম্ব ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড এমন ভাবে ধরতে হয়, যাতে এটি অনুভূমিক রেখার সাথে প্রায় ১০ হতে ১৫ ডিগ্রিতে থাকে।

অবস্থান ভেদে ওয়েন্ডিং এর সতর্কতাসমূহ

সতর্কতা বলতে আমরা সাধারণত ব্যক্তিগত সতর্কতাকে বুঝে থাকি। কিন্তু সতকর্তা বলতে মানুষ, টুলস ইকুপমেন্ট কাঁচামাল সবকিছুরই সতর্কতা বা নিরাপত্তাকে বুঝায়। ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে অবস্থান ভেদে নিরাপত্তা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ডাউনহ্যান্ড বা ফ্লাট পজিশনে নিরাপত্তা ঝুঁকি কম মনে হলেও অবহেলার কারণে ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঊর্ধ্বাভিমুখী কিংবা নিম্নাভিমুখী ওয়েন্ডের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সীমাবদ্ধতা আছে, উভয় ক্ষেত্রেই গলিত ধাতু মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়। ঊর্ধ্বাভিমুখী উল্লম্ব ওয়েল্ডিং এ ধাতু আর্কের ভিতর হতে ক্র্যাটারের মধ্যে পতিত হয়। তারপর ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত নিচের দিকে গড়িয়ে পড়তে থাকে। এ গণিত ধাতুর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। ইলেকট্রোড এর কোণ ঠিক রেখে সঠিক গতি ও আর্ক লেখে বজায় রাখলে সুন্দর জোড়া তৈরি করা সম্ভব। ওভারহেড ওয়েল্ডিং এর উপর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিফলিত হয় এবং যেহেতু ওভারহেড ওয়েল্ডিং চিবির আকৃতি ওয়েস্ত এবং আন্ডারকাট হয় সেহেতু ওভারহেড ওয়েল্ডিং পদ্ধতি প্রয়োগে অবশ্যই বিশেষ যত্নবান হতে হবে। গলিত ধাতু রুটের মধ্যে স্থাপনে আর্কের গতি পথের বল ব্যবহার করে ইলেকট্রোড ওয়েল্ডিং এর প্রায় ৮০ এবং উল্লম্ব তল হতে ২০° কোণে চালনা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

শিল্ডিং মেটাল আর্ক ওয়েন্ডিং পদ্ধতিতে উন্নৰ অবস্থানে সোজা বিড তৈরিকরণ ওয়ার্কপিল নির্বাচন ( Select workpice) : ৬ মি.মি. পুরু এমএস প্লেট।

ওয়ার্কশিস প্রস্তুত করো (Prepare Workpice)

• ৪ তে ৬ মি.মি. পুরুত্বের কমপক্ষে ১২০ মি.মি. গ্রন্থ এবং ২০০ মি.মি. দৈর্ঘ্যের মাইন্ড স্টিল প্লেট দাও।
• তারের ব্রাশ দিয়ে প্লেটের গুল উত্তম রূপে পরিব করো।
• রান তৈরির জন্য একটি চকের লাইন টান।
• রানের মধ্যকার উপযোগী দূরত্ব ২০ মি.মি রাখ।

ইলেকট্রোড নির্বাচন করো (Select Electrode)

  • ইলেকট্রোড নির্বাচনে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই, তবে জবের গুরত্ব, অবস্থান এবং কাজের গুরুত্ব অনুসারে।
  • অধিক পুরুত্বের ধাতু ওয়েন্ডিং করতে অপেক্ষাকৃত বেশি ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড এবং কম গুরুত্বের নির্বাচন করো।
  • ধাতু ওয়েন্ডিং করতে অল্প ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করো। 
  • জোড়ের রুট রানের জন্য সাধারণত কম ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে ১০ গেজ  মি.মি. ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করো।

ওয়ার্ক পিস সংযোগ কর (Connect the Workpice )

• কার্যবকে কাম্পের সাথে আটকাও। মেশিনের পজিটিভ টর্মিনাল কার্যবস্তুর সাথে এবং নিগেটিভ টার্মিনাল ইলেকট্রোড হোল্ডারের সাথে সংযোগ করো (ডিসি মেশিনের ক্ষেত্রে)।
• এসি মেশিনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড হোল্ডার এবং গ্রাউন্ড ক্যাবল যে কোন টার্মিনালে লাগানো যায়।

ইলেকট্রোড আটকাও (Hold the Electrode)

ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ইলেকট্রোড হোল্ডারের ভিতর চাপ নাও। বাম হাত দিয়ে ইলেকট্রোডের সাথে ভাল ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য হোল্ডারের 'চোঁয়াল' সর্বদা পরিষ্কার রাখো।
• বাহুতে চাপ দিয়ে ইলেকট্রোড হোল্ডার ধরো যাতে সহজ এবং আরামদায়ক ভাবে কাজ করা যায়, সম্ভব হলে ক্যাবল কাঁধে কিংবা কনুইতে জড়িয়ে নিবে। এতে ক্যাবল হতে সৃষ্ট অসুবিধা এড়ানো যায়।
• ইলেকট্রোড হোল্ডার হালকাভাবে ধরো, অন্যথায় কম্পন হবে এবং তাড়াতাড়ি ক্লান্তি আসবে।

কারেন্ট সেট কর (Set the Current)

• কারেন্ট নিরুপণ করতে ইলেকট্রোড ব্যাস মূল বিবেচ্য বিষয় ইলেকট্রোড ব্যাস যত বেশি কারেন্ট তত বেশি হবে। মেশিনের সুইচ অন করো এবং কারেন্ট সেটআপ করো ।
• মেশিন প্রস্তুতকারকের নির্দেশনাবলী অনুসরণ করো।
প্রত্যেক ইলেকট্রোডের জন্য কারেন্ট এর উচ্চ এবং নিম্নধাপ দেওয়া থাকে।
• ওয়েল্ডিং অবস্থানভেদ ও ইলেকট্রোডের ধরনের উপর ভিত্তি করে কারেন্ট সেট করো ।

কার্যবস্তুকে প্রি-হিট কর (Preheat the Workpice)

  • বিকৃতি দমনের জন্য কার্যবস্তু প্রি-হিটিং করো ।
  • কার্যবস্তুকে ২° হতে ৩° কোণে হেলিয়ে স্থাপন করো।
  •  ওয়েল্ডিং করার পর সঠিক অবস্থানে আসবে।

কার্যবস্তু উল্লম্ব অবস্থানে সেট কর (Set the Workpice in Vertical Position)

কার্যবস্তুকে সুবিধামত উচ্চতায় উল্লম্ব অবস্থানে আটকাও। তবে ক্লাম্পিং করে ৯০° কোণে মজবুত ভাবে উল্লম্ব অবস্থানে কার্যবস্তুকে আটকাতে পারলে নিরাপদ ভাবে ধাতুর জোড় সম্পন্ন করা যায়।

জোড়ার সোজা বিড সম্পন্ন কর (Weld Straight beads)
• নিম্নপ্রান্ত হতে ওয়েল্ড আরম্ভ করো ।
• ইলেকট্রোডের উভয় পার্শ্বে ৯০° কোণ ও ওয়েল্ডিং রান বরাবর ১১০° হতে ১১৫° কোণ তৈরি করো।
• কার্যবস্তুর শেষ প্রাপ্ত হতে ওয়েল্ড করে প্রথম রান শেষ করো ।
• পরবর্তীতে প্রথম রানের ন্যায় বিড তৈরি করতে থাক।
• অপরপাশ ওয়েল্ড করার জন্য কার্যবস্তু উল্টে ফেল এবং পূর্বের নিয়মে ওয়েল্ড সম্পন্ন করো।
সকল রান শেষে যথাযথ ভাবে প্লাগ পরিষ্কার করো।

শিল্ডিং মেটাল আর্ক ওয়েন্ডিং পদ্ধতিতে ওভারহেড অবস্থানে সোজা বিড তৈরিকরণ

ওয়ার্কপিস নির্বাচন (Select workpice) : 

৬ মি.মি. প্লেট নাও
ওয়াকপিস প্রয়াত করো (Prepare workpice)
৪ ও হতে ৬ মি.মি. পুরুত্বের কমপক্ষে ১২০ মি.মি. প্রস্থ এবং ৩২০ মি.মি. দৈর্ঘ্যের নাও।
• তারের ব্রাশ দিয়ে প্লেটের ফল উত্তমরূপে পরিষ্কার করো
• রান তৈরির জন্য একটি চকের লাইন টান।
• রানের মধ্যকার উপযোগী দূরত্ব ২০ মিমি রাখো।

ইলেকট্রোড নির্বাচন কর (Select Electrode)
• ইলেকট্রোর নির্বাচনে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তবে ভাবের গুরত্ব, অবস্থান এবং অনুসারে নির্বাচন করতে হয়।
• অধিক পুরুত্বের ধাতু ওয়েল্ডিং করতে অপেক্ষাকৃত বেশি ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড এবং কম ধাতু ওয়েন্ডিং করতে অল্প ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করো।

ইলেকট্রোড নির্বাচন করা (Select Electrode)
• ইলেকট্রোর নির্বাচনে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তবে জবের গুরত্ব, অবস্থান এবং কাজের অনুসারে নির্বাচন করতে হয়।
• অধিক গুরুত্বের ধাতু ওয়েন্ডিং করতে অপেক্ষাকৃত বেশি ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড এবং কম পুরুত্বের ধাতু ওয়েল্ডিং করতে অল্প ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করো। জোড়ের রুট রানের জন্য সাধারণত কম ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে ১০ গেজ ইলেকট্রোড বা ৩.২০ মি.মি ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহার করো।

ওয়ার্ক পিস সংযোগ কর (Connect the Workpice)

  • কার্যবস্তুকে ক্লাম্পের সাথে আটকাও। মেশিনের পজিটিভ টার্মিনাল কার্যবস্তুর সাথে এবং নিগেটিভ টার্মিনাল ইলেকট্রোড হোল্ডারের সাথে সংযোগ করো (ডিসি মেশিনের ক্ষেত্রে)।
  • এসি মেশিনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড হোল্ডার এবং গ্রাউন্ড ক্যাবল যেকোন টার্মিনালে লাগানো যায়।

ইলেকট্রোড আটকাও (Hold the Electrode)
• ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ইলেকট্রোড হোল্ডারের ভিতর চাপ দাও। বাম হাত দিয়ে ইলেকট্রোডের সাথে ভাল ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য হোল্ডারের 'চোঁয়াল' সর্বদা পরিষ্কার রাখবে।
• বাহুতে চাপ দিয়ে ইলেকট্রোড হোল্ডার ধরো যাতে সহজ এবং আরামদায়ক ভাবে কাজ করা যায়, সম্ভব হলে ক্যাবল কাঁধে কিংবা কনুইয়ে ক্যাবল জড়িয়ে নিবে। এতে ক্যাবল হতে সৃষ্ট অসুবিধা এড়ানা যায়।
• ইলেকট্রোড হোল্ডার হালকাভাবে ধরো, অন্যথায় কম্পন হবে এবং তাড়াতাড়ি ক্লান্তি আসবে।

কারেন্ট সেট কর (Set the Current)
• কারেন্ট নিরুপণ করতে ইলেকট্রোড ব্যাস মূল বিবেচ্য বিষয়। ইলেকট্রোড ব্যাস যত বেশি, কারেন্ট তত বেশি হবে। মেশিনের সুইচ অন করো এবং কারেন্ট সেটআপ করো।
• মেশিন প্রস্তুতকারকের নিদের্শনাবলী অনুসরণ করো।
প্রত্যেক ইলেকট্রোডের জন্য কারেন্টের উচ্চ এবং নিম্ন ধাপ দেওয়া থাকে।
• ওয়েল্ডিং অবস্থানভেদ ও ইলেকট্রোডের ধরনের উপর ভিত্তি করে কারেন্ট সেট করো।

কার্যবস্তুকে প্রি-হিট কর (Preheat the Workpice)

  • বিকৃতি দমনের জন্য কার্যবস্তুকে প্রি-হিট করো।
  • কার্যবস্তুকে ২ হতে ৩° কোণে হেলিয়ে স্থাপন করো।
  •  ওয়েল্ডিং করার পর সঠিক অবস্থানে আসবে।

কার্যবস্তু ওভারহেড অবস্থানে সেট করো (Set the Workpice in Overhead Position)
• কার্যবস্তুতে সুবিধামত উচ্চতায় ওভারহেড অবস্থানে আটকাও। তবে ক্লাম্পিং করে ৯০° কোণে মজবুত ভাবে ওভারহেড অবস্থানে কার্যবস্তুকে আটকাতে পারলে নিরাপদ ভাবে ধাতুর জোড় সম্পন্ন করা যায়।

জোড়ার ওয়েল্ড সম্পন্ন করো (Weld straight beads)
•  নিম্ন প্রান্ত হতে ওয়েল্ড আরম্ভ করো
• কার্যবস্তুর শেষ প্রান্ত হতে ওয়েন্ড করে প্রথম রান শেষ করো ।
পরবর্তীতে প্রথম রানের ন্যায় বিড তৈরি করতে থাক।
• অপরপাশ ওয়েল্ড করার জন্য কার্যবস্ত্র উল্টে ফেল এবং পূর্বের নিয়মে ওয়েল্ড সম্পন্ন করো
• সকল রান শেষে যথাযথ ভাবে প্লাগ পরিষ্কার করো।

শিল্ডিং মেটাল আর্ক ওয়েন্ডিং পদ্ধতিতে উল্লখ অবস্থানে সিনেল ডি বাট জোড় তৈরিকরণ। ওয়ার্কপিস নির্বাচন (Select workpice) ৫ হতে ৮ মি.মি পুরু, ১০০ মি.মি গ্রন্থ ও ১০০ মি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট দুই খণ্ড এমএস প্লেট নাও।

ওয়ারপিস প্রস্তত কর (Prepare workplce)

• প্লেট যতে গ্রিজ অথবা তৈল জাতীয় পদার্থ, মরিচা, মরুশা ইত্যাদি উত্তমরূপে পরিষ্কার করো।
• বাঁকা কিংবা মোচড়ানো কার্যবস্তু এ্যানভিল/তাইলে রেখে হাতুড়ির সাহায্যে সোজা ও সমতল করো।
• প্লেটারের প্রান্তভাগে ফ্রেম কাটিং এবং গ্রাইন্ডার এর সাহায্যে ৩০° কোণে বিভেল করো।
• প্রাইভার এবং ফাইল দিয়ে ১.৫ হতে ৩ মি.মি. রুটি ফেল তৈরি করো।
• জোড়টিকে এমনভাবে স্থাপন করো যেন উপরের অংশে একটি তি তৈরি হয় এবং এদের মাঝে কট গ্যাপ ১ হতে ১.৫ মিমি পর্যন্ত থাকে নতুবা ভাল পেনিট্রেশন হবে না।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url