occupational health and safety in welding - what is the electrical hazard

 occupational health and safety in welding - what is the electrical hazard
occupational health and safety in welding - what is the electrical hazard

occupational health and safety in welding - what is the electrical hazard

ওয়েল্ডিং এর কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা Occupational Health and Safety in Welding

কলকারখানায় জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে নিরাপদে ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে কাজ করা খুবই জরুরি। মাতে কর্মী অপেক্ষাকৃত দক্ষতার সাথে কাজ করেন, এতে উপাদনশীলতা ও কাজের মান উভয়ই বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে একজন কর্মী যদি কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার না করে বা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি না মেনে চলে, তাহলে তার দুর্ঘটনায় যথেষ্ট আশংকা থাকে। কোনো কর্মী দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত বা নিহত হলে, সে এবং তার পরিবার যেমন ক্ষতিজ্ঞ হয়, তেমনি দেশ ও সর্বোপরি জাতি ক্ষতি হয়। তাই কর্মক্ষেত্রে 'পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ অধ্যায়ে আমরা 'পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি", নিরাপত্তা সরঞ্জাম, সম্ভাব্য বিপত্তি ও ঝুঁকি এবং জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করবো।

ওয়েন্ডিংশপে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা (Safety in Welding Shop)

ওয়েভিং শপে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ ওয়েন্ডিং করে তৈরি ও মেরামত করা হয়। বিভিন্ন প্রকার ফার্নিচার, মেশিনের ফ্রেম, গাড়ির ফ্রেম ইত্যাদি তৈরি ও মেরামত করা ছাড়াও ওয়েল্ডিং শপে প্রয়োজনে বিভিন্ন ধাতৰ বহু কাটাও হয়ে থাকে। এ শপে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতি, যেমন- আর্ক ওয়েন্ডিং মেশিন, টিন ও মিল ওয়েল্ডিং মেশিন, অক্সি এসিটিলিন গ্যাল ওয়েভিং ও কাটিং, বেঞ্চ প্রাইন্ডার, ড্রিল মেশিন, এদেল গ্রাইন্ডার, ইত্যাদি মেশিন ব্যবহার করে কাজ করা হয়। এসব মেশিন ও যন্ত্রপাতির বেশিরভাগই বিদ্যাশিত। তাই এগুলো ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এছাড়া এ শপে অনেক উচ্চ চাপের অক্সিজেন, এসিটিলিন, আর্গন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি প্যাস ব্যবহৃত হয়। উক্ত গ্যাসগুলির কথাযথ ও সঠিক ব্যবহার না করতে পারলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য এগুলির নিরাপদ ও সতর্ক ব্যবহার সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন।

occupational health and safety in welding - what is the electrical hazard

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বাংলাদেশ এ আইন, ২০০৬ এ বলা হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ সম্পর্কে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং কোনো নর্দমা, পারখানা বা অন্য কোনো জঞ্জাল হতে
সৃষ্ট দুষিত বাষ্প হতে মুক্ত রাখতে হবে এবং বিশেষ করে -
(ক) প্রতিষ্ঠানের মেঝে, কর্মকক্ষ, সিঁড়ি, যাতায়াতের পথ হতে প্রতিদিন ঝাড়ু দিয়ে ময়লা ও আবর্জনা অপসারণের উপযুক্ত পন্থা হিসেবে ঢাকনা দেওরা বাক্সে অপসারণ করতে হবে, যাতে উক্ত আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও জীবাণু ব্যবহার করতে হবে।
(খ) প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রের মেঝে সপ্তাহে অন্তত একদিন অবস্থাভেদে এবং কাজের প্রকৃতি ভেদে পানি দ্বারা ধুতে হবে এবং প্রয়োজনে ধোয়ার কাজে জীবানুনাশক ব্যবহার করতে হবে । অবস্থাভেদে জীবানুনাশক ব্যবহার করে ভিজা কাপড় দ্বারা মেঝে ধুয়ে দিতে হবে।
(গ) যে ক্ষেত্রে উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে কোনো মেঝে এমনভাবে ভিজে যায়, এর জন্য পানি। নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মকক্ষ ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে-
(১) উক্ত মেঝে অব্যশই অভেদ্য পদার্থ (Impervious Material) দিয়ে নির্মিত হতে হবে;
(২) উক্ত মেঝের নির্মাণ কৌশল চালু বিশিষ্ট নিষ্কাশন নালার মাধ্যমে কারখানার মূল নর্দমা ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে, যাতে নিষ্কাশিত পানি অথবা কোনো তরল পদার্থ মেঝেতে জমে থাকতে না পারে।

(ঘ) প্রতিষ্ঠানের সকল অভ্যন্তরীণ দেওয়াল, পার্টিশন, ছাদ, সিঁড়ি, যাতায়াত পথ-
(১) রং অথবা বার্ণিশ করা থাকলে, প্রতি তিন বছরে অন্তত একবার রং বা বার্ণিশ করতে হবে।
(২) রং অথবা বার্নিশ এবং বহির্ভাগ মসৃণ হলে, প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্তত একবার পানি, ব্রাশ, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।

বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা সম্পর্কে

(১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে নির্মল বায়ু প্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থ রাখতে হবে।
(২) উক্তরূপ প্রত্যেক কক্ষের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে এবং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মকক্ষে নির্মণ বায়ু প্রবাহের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিপরীতমুখী জানালার ব্যবস্থা থাকতে হবে; তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রাখা সম্ভব নয় সেখানে এগজস্ট ফ্যান (Exhaust fan) স্থাপন করা যাবে, যাতে সেখানে কর্মীগণ মোটামুটি আরামে কাজ করতে পারে এবং যাতে কর্মীগণের স্বাস্থ্যহানি রোধ হয়। আরও শর্ত থাকে যে, কর্মক্ষেত্রে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (ড্রাই ও ওয়েট) ব্যবস্থা থাকলে বায়ু চলাচলের উক্ত ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে না। প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রে অন্তত একটি তাপ পরিমাপক যন্ত্র (থার্মোমিটার) সচল অবস্থায় রাখতে হবে এবং এটা যথাযথ মানসম্পন্ন হতে হবে এবং কর্মকক্ষের দেওয়ালের দৃশ্যমান স্থানে এটা স্থাপন করতে হবে।
উপধারা (২) এর প্রয়োজনে কক্ষের দেওয়াল এবং ছাদ এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে উক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায় এবং যতদূর সম্ভব কম থাকে।

অতিরিক্ত ভিড় সম্পর্কে
(১) কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকক্ষে কর্মরত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানি হয় এই প্রকার অতিরিক্ত ভিড় করা যাবে না।
(২) প্রত্যেক কর্মকক্ষে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ৯.৫ কিউবিক মিটার পরিমাণ জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো ঘরের উচ্চতা মেঝে হতে ৪.২৫ মিটারের অধিক হলে এটি বিবেচনায় আনা হবে না।

আলোর ব্যবস্থা সম্পর্কে
(১) কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক অংশে, যেখানে শ্রমিকগণ কাজ করেন বা যাতায়াত করেন, যথেষ্ট স্বাভাবিক বা কৃত্রিম বা উভয়বিধ আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
(২) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের কর্মকক্ষ আলোকিত করার জন্য ব্যবহৃত সকল কাঁচের জানালা এবং ছাদে বসানো জানালাসমূহের উভয় পার্শ্ব পরিষ্কার রাখতে হবে, এবং যতদূর সম্ভব প্রতিবন্ধকতা মুক্ত রাখতে হবে।

(ক) কোনো স্বচ্ছ পদার্থ বা বাতি হতে বিচ্ছুরিত বা প্রতিফলিত আলোকচ্ছটা, অথবা
(খ) কোনো শ্রমিকের চোখের উপর চাপ পড়তে পারে বা তার দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকতে পারে, এরূপ কোনো ছায়া সৃষ্টি বা প্রতিরোধ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা থাকতে হবে।

পান করার পানি সম্পর্কে
(১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের পান করার জন্য কোনো সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
(২) প্রত্যেক পানি সরবরাহের স্থানকে বাংলায় 'পান করার পানি' কথাগুলো স্পষ্টভাবে লিখে দিতে হবে।
(৩) যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দুইশত পঞ্চাশ জন বা ততোধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন, সে সকল প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালে পান করার পানি ঠাণ্ডা করে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৪) মাত্রতিরিক্ত তাপ উদ্রেককারী যন্ত্রের সন্নিকটে কাজ করার কারণে শ্রমিকের শরীরে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হলে, ঐ সকল শ্রমিকের জন্য ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির ব্যবস্থা করতে হবে।

পায়খানা ও পেশাবখানা সম্পর্কে

(ক) উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণ কাজের সময়ে যাতে সহজে ব্যবহার করতে পারেন এরূপ সুবিধাজনক স্থানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রকারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পায়খানা ও পেশাবখানার ব্যবস্থা করতে হবে;
(খ) উক্ত পায়খানা ও পেশাবখানা পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকগণের জন্য স্বভাবে ব্যবস্থা করতে
(গ) পায়খানা ও পেশাবখানাগুলোতে যথেষ্ট আলো, বাতাস এবং সার্বক্ষণিক পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং
(ঘ) উক্ত পায়খানা ও পেশাবখানা জীবানুনাশক ও পরিষ্কারক ব্যবহারের মাধ্যমে সব সময় পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত বাধতে হবে।
occupational health and safety in welding - what is the electrical hazard

আবর্জনা ৰাক্স ও পিকদানী সম্পর্কে
(১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সুবিধাজনক
স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক আনা ফেলার বাক্স ও শিকদানীর ব্যবস্থা থাকতে হবে, এবং এগুলোকে পরিস্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে।
(২) কোনো প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনার মধ্যে কোনো ব্যক্তি অনুরূপ ৰাজ ও শিকদানী ব্যতীত অন্য কোথাও ময়লা আবর্জনা কিংবা থুধু বেলতে পারবেন না।
(৩) এ বিধান এবং উহা লংখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ- উহা উল্লেখ করে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উপযুক্ত স্থানে এরূপভাবে নোটিশ লটকিয়ে দিতে হবে, যাতে এটা সহজেই সকলের দৃষ্টিগোচর হয়।

ভবন ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা সম্পর্কে

যদি কোনো পরিদর্শকের নিকট এটা প্রতীয়মান হয় যে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো ভবন বা অল্প অংশ অথবা এর কোনো পথ, যন্ত্রপাতি বা প্লান্ট এমন অবস্থায় আছে যে, এটা মানুষের জীবন বা নিরাপত্তার জন্য যাও বিপজ্জনক, তাহলে তিনি মানিকের উপর লিখিত আদেশ জারী করে, উহা উল্লিখিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, তার মতে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন- তা গ্রহণ করার নির্দেশ দিতে পারবেন এবং উহা যথাযথভাবে মেরামত বা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত উহার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারবেন। অগ্নিকান্ড সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন সম্পর্কে
• প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে বিধি দ্বারা নির্ধারিতভাবে অগ্নিকাণ্ডের
সময় প্রত্যেক তলার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী অন্তত একটি বিকল্প সিঁড়িসহ বহির্গমনের উপায় এবং অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি কোনো পরিদর্শকের নিকট এটা প্রতীয়মান হয় যে,
উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিধি অনুযায়ী বহির্গমনের ব্যবস্থা করা হয়নি, তাহলে তিনি মাণিকের উপর লিখিত আদেশ জারী করে, উখতে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, তার মতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন- তা তাকে অবহিত করবে।
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কোনো হতে বহির্গমনের পথ ভালাবদ্ধ বা আটকিয়ে রাখা যাবে না, যাতে কোনো ব্যক্তি কক্ষের ভিতরে কর্মরত থাকলে তৎক্ষনাৎ ভিতর হতে সহজে খোলা যায়, এবং এই প্রকার সকল দরজা, যদি না এগুলি প্রাইভিং টাইপের হয়, এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন উহা বাহিরের দিকে খোলা যায়, অথবা যদি কোনো দরজা দুটি কক্ষের মাঝখানে হয়, তাহলে উা ভবনের নিকটতম বহির্গমন পথের কাছাকাছি দিকে খোলা যায়।

• এই প্রকার কোনো সমজা কক্ষে কাজ চলাকালীন সময়ে তালাবদ্ধ বা বাধা অবস্থায় রাখা যাবে না। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে সাধারণ বহির্গমনের জন্য ব্যবহৃত পদ্ম ব্যতীত অগ্নিকান্ডকালে বহির্গমনের জন্য ব্যবহার করা যাবে-রূপ প্রত্যেক দরজা, জানালা বা অন্য কোনো বহির্গমন পথ স্পষ্টভাবে লাল রং যারা বাংলা অক্ষরে অথবা অন্য কোনো সহজবোধ
• প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে, উহাতে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিককে অগ্নিকাণ্ডের বা বিপদের সময় তৎসম্পর্কে ছশিয়ার করার জন্য, স্পষ্টভাবে প্রবণযোগ্য হুশিয়ারী সংকেতের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

• যে প্রতিষ্ঠানে উহার নিচতলার উপরে কোনো জায়গায় সাধারণভাবে দশজন বা ততোধিক শ্রমিক কর্মরত থাকেন অথবা বিস্ফোরক বা অভিনাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয় दा দাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয় অথবা গুদামজাত করা হয়, সে প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডকালে বহির্গমনের উপার সম্পর্কে সকল শ্রমিকেরা যাতে সুপরিচিত থাকেন এবং উক্ত সময়ে তাদের কী কী করণীয় হবে, তৎসম্পর্কে তারা যাতে পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ লাভ করতে পারেন, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

যন্ত্রপাতি ঘিরে রাখা সম্পর্কে

যন্ত্রপাতি ঘিরে রাখা সম্পর্কে এই আইনের অন্য কোনো বিধানের হাদি না করে, ঘূর্ণায়মান প্রত্যেক শ্যাফ্ট, স্পিন্ডল, হুইল অথবা পিনিয়ন এর প্রত্যেক সেট-ফু, বোল্ট এবং চাবি এবং চালু সকল স্পার, আর্য এবং অন্যান্য দাঁতওয়ালা বা ফ্রিকশন পিয়ার, যার সংস্পর্শে আসা ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য উল্লিখিত মজবুতভাবে গার্ড দিরে দিরে রাখতে হবে।

বিস্ফোরক বা দাহ্য গ্যাস, ধুলা ইত্যাদি সম্পর্কে যে ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো উপাদন প্রক্রিয়ার কারণে উত্থিত গ্যাস, ধোঁয়া, বাষ্প বা ধুলা এমন প্রকৃতির বা এমন পরিমাণের হয় যে, উহা বিস্ফোরিত বা প্রজ্জ্বলিত হবার সম্ভাবনা থকে, সে ক্ষেত্রে উক্তরূপ বিস্ফোরণ বন্ধ করার জন্য সাবা সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সম্পর্কে

সকল কর্ম সময়ে যাতে সহজে পাওয়া যায় এমনভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সমৃদ্ধ বাক্স অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত সরগ্রামসমৃদ্ধ আলমারির ব্যবস্থা করতে হবে।
উক্তরূপ বাক্স বা আলমিরার সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানে সাধারণত নিয়োজিত প্রত্যেক একশত পঞ্চাশ জন শ্রমিকের জন্য একটির কম হবে না।

ধৌতকরণ সুবিধা সম্পর্কে

• উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণের ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক উপযুক্ত গোসলখানা ও ধৌতকরণের সুবিধা এবং উহার রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে;
• উত্তরূপ সুবিধাদি পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকগণের জন্য স্বতন্ত্রভাবে থাকতে হবে, এবং উহা যথাযথভাবে পর্দাঘেরা থাকবে;
• উক্তরূপ সুবিধাদি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং সহজে গমনযোগ্য হতে হবে।

ক্যান্টিন সম্পর্কে
যে প্রতিষ্ঠানে সাধারণত একশত জনের অধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন সে প্রতিষ্ঠানে তাদের ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ক্যান্টিন থাকবে।

বিশ্রাম কক্ষ, ইত্যাদি সম্পর্কে
সাধারণত পঞ্চাশ জনের অধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন এরূপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকগণের ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট এবং উপযুক্ত সংখ্যক বিশ্রাম কক্ষের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকগণ যাতে তাদের সঙ্গে আনীত খাবার খেতে পারেন, সেজন্য পান করার পানির ব্যবস্থাসহ একটি উপযুক্ত খাবার কক্ষেরও ব্যবস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

শিশু কক্ষ সম্পর্কে
(১) সাধারণত চল্লিশ বা ততোধিক মহিলা শ্রমিক নিয়োজিত আছেন, এরূপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে তাদের ছয় বছরের কম বয়সী শিশু সন্তানদের ব্যবহারের জন্য এক বা একাধিক উপযুক্ত কক্ষের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে কবে।
(২) উক্তরূপ কোনো কক্ষে যথেষ্ট স্থান সংস্থান, আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে এবং উহা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। কক্ষটি শিশুদের পরিচর্যার জন্য অভিজ্ঞ বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলার তত্ত্বাবধানে থাকবে।

বৈদ্যুতিক শকের ক্ষতি (Electrical hazards)

বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং বিদ্যুৎ সময় অসাবধানতাবশত অথবা ছেঁড়া তার, ভাঙ্গা সুইচ বা অরক্ষিত বৈদ্যুতিক ফিটিংস হতে বৈদ্যুতিক শক লেগে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমনকি অনেক সময় এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই একজন ওয়েল্ডারের এ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। কোনো কারণে ফেজ এর সাথে নিউট্রাল বা মাটির সাথে সংযোগ হলে বৈদ্যুতিক শক এর সৃষ্টি হয়। আবার কোনো মেশিনপত্রের বডিতে যদি বৈদ্যুতিক সংযোগ বা কোনো কারণে মেশিনটি বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকে তবে তা মানুষের সংস্পর্শে এলে বৈদ্যুতিক শক প্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ ফেজা তারের সংস্পর্শে বা বিদ্যুতায়িত মেশিনের সংস্পর্শে যদি কোনো ব্যক্তি আসে এবং তার শরীর যদি আর্থের সাথে সংযোগপ্রাপ্ত হয় তবে সে বৈদ্যুতিক শপ্রাপ্ত হবে।

কোনো কারণে ফেজ এর সাথে নিউট্রাল বা মাটির সাথে সংযোগ হলে বৈদ্যুতিক শক এর সৃষ্টি হয়। আবার কোনো মেশিনপত্রের বাড়িতে যদি বৈদ্যুতিক সংযোগ বা কোনো কারণে মেশিনটি বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকে তবে তা মানুষের সংস্পর্শে এলে বৈদ্যুতিক শক প্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ ফেজ তারের সংস্পর্শে বা বিদ্যুতায়িত মেশিনের সংস্পর্শে যদি কোনো ব্যক্তি আসে এবং তার শরীর যদি আর্থের সাথে সংযোগপ্রাপ্ত হয় তবে সে বৈদ্যুতিক

শপ্রাপ্ত হবে। তিন ধরনের বৈদ্যুতিক বিপত্তি ঘটতে পারে-
(ক) বৈদ্যুতিক শক
(খ) আগুন ধরে যাওয়া
(গ) শরীর পুড়ে যাওয়া

যখন মানুষের শরীরের চামড়া, মাংশপেশী বা চুলের মধ্য দিয়ে কিছু পরিমাণে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখন সে শক পায়। কিন্তু যখন যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ উক্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
এছাড়া যখন কোনো পরিবাহীর লুজ কানেকশন হয় অথবা বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখন পরিবাহী উত্তপ্ত হয়ে নিকটস্থ ইনসুলেশন বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থে আগুন ধরে যায়। এভাবে অনেক শিল্পকারখানায় আগুন লেগে বহু জান মালের ক্ষতি হয়।

যে সমস্ত কারণে বৈদ্যুতিক বিপত্তি ঘটে-
• নিরাপদ কার্যপদ্ধতি অনুসরণ না করা
• মেশিনপত্র মেরামত ও সংরক্ষণের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে নেওয়া
• মেশিন ও সরঞ্জামাদি যথাযথ গ্রাউন্ড না করে নেওয়া
• ত্রুটিযুক্ত বৈদ্যুতিক লাইন ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা
• ভেজা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা

নিম্নবর্ণিত নিয়মগুলো মেনে চললে উপরোক্ত বিপন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়-
• কখনও সার্কিট ওভারলোডেড অবস্থায় মেশিন বা যন্ত্রপাতি চালানো যাবে না
• সকল অরক্ষিত পরিবাহী হতে দূরে থাকতে হবে
• প্লাগ খুলে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে প্লাগ ধরে গুলতে হবে, কর্ড ধরে নয়
• যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরিধান এবং নিরাপদ কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে
• অন্তরক প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম (Insulating Protective Equipment) ব্যবহার করতে হবে
• বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এর চারপাশ হতে ধাতব বস্তু দূরে রাখতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url