গ্যাস কাটিং কি - Gas Cutting and Welding - গ্যাস সিলিন্ডারের কত প্রকার

 গ্যাস কাটিং কি - Gas Cutting and Welding - গ্যাস সিলিন্ডারের কত প্রকার
গ্যাস কাটিং কি - Gas Cutting and Welding - গ্যাস সিলিন্ডারের কত প্রকার

গ্যাস কাটিং কি - Gas Cutting and Welding - গ্যাস সিলিন্ডারের কত প্রকার

গ্যাস কাটিং এবং ওয়েল্ডিং সম্পাদন Gas Cutting and Welding
আধুনিক শিল্পোৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্যাস ওয়েল্ডিং ও গ্যাস কাটিং এর ব্যবহার বহুমুখী। এর যান্ত্রিক কলাকৌশল সহজ ও সরল হওয়ায় ছোট-বড়, হালকা ভারী সব শিল্পেই এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। পাতলা শিট সহজেই গ্যাস ওয়েল্ডিং এর সাহায্যে জোড়া দেওয়া যায় শুধু তাই নয়, গ্যাস ফ্লেম দ্বারা ব্রেজিং, হার্ড সোল্ডারিং, প্রি-হিটিং, পোস্ট হিটিংও করা যায়। এছাড়াও গ্যাস শিখার একটি বড় ব্যবহার হচ্ছে ফ্রেম কাটিং বা গ্যাস কাটিং। বর্তমানে হাই-টেকনোলজির যুগে ভারী লোহা, ইস্পাত ও জাহাজ কাটা শিল্পে গ্যাস কাটিংকে বাদ দিয়ে ভাবাই যায় না। শিল্প-কারখানায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উৎপাদন কিংবা ফেব্রিকেশনের জন্য অনেক সময় প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয় ধাতব অংশ কেটে ফেলতে হয়। প্রচলিত কাটিং প্রথা যেমন চিপিং, সয়িং, শিয়ারিং, মেশিনিং অপারেশনের মাধ্যমে ধাতু কাটা ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। গ্যাস কাটিং অতি সহজে ভারী ধাতব খন্ড কেটে ফেলতে পারে, ফলে এই পদ্ধতি খুবই লাভজনক। তাই বর্তমানে ইস্পাত শিল্পে গ্যাস ওয়েল্ডিং ও ফ্রেম কাটিং এর ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদ সমূহ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা
গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদ সমূহ

গ্যাস ওয়েল্ডিং এর সময় অগ্নিশিখা, চাপযুক্ত গ্যাস এবং উত্তপ্ত ধাতুখন্ড নিয়ে একজন কর্মী কাজ করেন। সুতরাং গ্যাস ওয়েল্ডিং হতে নিম্নলিখিত বিপদ সমূহের আশঙ্কা থাকে।
ক) অগ্নিশিখার তীব্র আরোকরশ্মি।
খ) জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।
গ) সিলিন্ডার হতে গ্যাস লিক হওয়ার কারণে যে কোন সময় আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।
ঘ) তেল বা গ্রীজ হতে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ঙ) গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
চ) অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে।
ছ) গ্যাস সিলিন্ডার বা সরঞ্জামাদির পতন জনিত বিপদ। জ) পিপিই সমূহের ভুল ব্যবহার জনিত বিপদ ।
ঝ) কাজের অমনোযোগিতা জন্য সৃষ্ট বিপদ।

গ্যাস কাটিং কি - Gas Cutting and Welding - গ্যাস সিলিন্ডারের কত প্রকার

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদের কারণ শনাক্তকরণ
সকল কারখানার গ্যাস ওয়েন্ডিং চলাকালে সম্ভাব্য বিপদের প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ঘটনার উপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, কারখানার ব্যক্তি বা কর্মীর অবহেলার কারণে তিন চতুর্থাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বাকি এক চতুর্থাংশ ঘটে ব্যবস্থাপনা ও যন্ত্রপাতির ত্রুটির কারণে। নিম্নে গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ঘটতে পারে এমন সম্ভাব্য বিপদ সমূহের কারণ তুলে ধরা হলো
১. গ্যাস ফ্রেম হতে সৃষ্ট আলট্রাভায়োলেট ও ইনফারেড রশ্মি চোখের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
২. গ্যাস ক্লেম হতে সৃষ্ট ধোঁয়া হতে ওয়েল্ডারের শ্বাস-যন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে।
৩. ওয়েল্ডিং এর সময় ছিটকে আসা অগ্নি স্ফুলিঙ্গ বা গলিত ধাতু বিপদের কারণ হতে পারে।
৪. উত্তপ্ত ধাতু পড়ে গিয়ে ওয়েল্ডারের পায়ে আঘাত করতে পারে।
৫. অগ্নি শিখা হোজ পাইপে লাগলে, হোজ পাইপ পুড়ে গিয়ে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।
৬. গ্যাস সিলিন্ডার পড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
৭. ওয়েডিং শপে দাহ্য পদার্থ যেমন তৈল, গ্রীজ, ফুট, কাগজপত্র ইত্যাদি মেঝেতে পড়ে থাকলে এইগুলি ওয়েন্ডিং করার সময় আগুনের সুত্রপাতের কারণ হতে পারে।
৮. শপে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা না থাকলে কর্মীদের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৯. সিলিন্ডার, রেগুলেটর ও ভাষা সমূহের কার্যকারিতা নির্দিষ্ট সময় পরপর টেষ্ট না করে ব্যবহার করলে বিপদের কারণ হতে পারে।
১০. সরঞ্জামাদি পড়ে গিয়ে বিপদের কারণ হতে পারে।
১১. সর্বপরি ওয়েল্ডারের অমনোযোগিতা বিপদের কারণ হতে পারে।

গ্যাস ওয়েন্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা
এস ওয়েন্ডিং চলাকালে সম্ভাব্য বিপদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সমূহ তুলে ধরা হলো।
১. প্যাস ফ্লোম এর ক্ষতিকর প্রভাব হতে বাচঁতে ওয়েল্ডারকে যথাযথ ভাবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জমাদি পরিধান করতে হবে।
২. ওয়েল্ডিং শুরু করার পূর্বে সরঞ্জমাদি ত্রুটিযুক্ত কিনা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
৩. হোজ পাইপ বা কোন দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে ক্লেম যাতে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪. প্যাস সিলিন্ডার ভালোভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে এটি পড়ে না যায়।
৫. কারখানা বা শপের মেঝেতে বেন তৈল, গ্রীজ, ফুট ইত্যাদি পড়ে না থাকে সেটি নিশ্চিত করা।
৬. কারখানা বা শপে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত হবা।
৭. ওরেল্ডিংকালে গ্যাস ফ্লেষ হতে সৃষ্ট ক্ষতিকারক আলোরশ্মি যনে অন্যদের ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য ওয়েল্ডিং বুদ্ধে মোটা কালো পর্দা ব্যবহার করা।
৮. সরজমানির বেন পড়ে না যায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকা।
৯. গ্যাস সিলিন্ডার, রেগুলেটর ও তার সমূহের কার্যকারিতা নির্দিষ্ট সময় পরপর টেষ্ট করা।
১০. ওরেন্ডারকে তার কাজের প্রতি অত্যান্ত মনোযোগি হতে হবে।

গ্যাস ওয়েন্ডিং যন্ত্রপাতি ব্যবহার সর্তকতা
সে ওয়েন্ডিং করার জন্য অনেক গুলি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়। যন্ত্রপাতি সমূহ আয়ুষ্কাল বৃদ্ধিও জন্য দের সতর্ক ব্যবহার জরুরী। নিম্নে যন্ত্রপাতি সতর্ক ব্যবহার সমূহ উল্লেখ করা হল।
১) যন্ত্রপাতি সমূহ সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নত রাখা।
২) হোজ পাই জড়ান অবস্থায় ওয়েন্ডিং না করা এবং কাজ শেষে এটি গুটিয়ে রাখা।
৩) গ্যাস রেগুলেটর, টর্চ, ভাল্ভ ও অন্যান্ন সকল সংযোগ স্থলে লিকেজ আছে কিনা তা সাবান পানিবা লিক টেষ্ট সলিউম দিয়ে পরীক্ষা করা।
৪) গ্যাস সিলিন্ডার ও হোজ পাইপ অগ্নি শিখা হতে দূরে রাখা।
৫) গ্যাস সিলিন্ডার ওয়েন্ডিং টর্চ হতে নির্দিষ্ট দূরুত্বে খাড়া ভাবে স্থাপন করে ওয়েন্ডিং করা।
৬) কারখানায় মেয়ে বা সরঞ্জমাদিতে যেন ভৈল, নীজ ইত্যাদি লেগে না থাকা।
৭) অতি উচ্চ চাপে সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি না করা এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর টেষ্ট করে সেরা।
৮) ত্রুটি যুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাবেনা, পরিবর্তন করে নিতে হবে।
৯) কাজের সময় অমনোযোগি না হওয়া এবং যথাবদ্ধ ভাবে পি.পি.ই পরিধান করা।
১০) কাজ শেষে যন্ত্রপাতি সমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্টোরে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখা।

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জামাদি
গ্যাস ওয়েন্ডিংকালে ব্যবহার্য্য ব্যক্তিগত সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জামাদি:

গ্যাস ক্লেম প্রচুর পরিমাণ তাপ (প্রায় ৩৪০০° সে.) ও আলোক রশ্মি নির্গত করে। তাই ওয়েল্ডারকে এই প্রচন্ড ভাগ ও ক্ষতিকর আলোক রশ্মি ও গ্যাস হতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিম্নলিখিত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হয় ।
১. চামড়ার এপ্রোন ( Leather Apron )
২. ভরেন্ডিং পাস (Welding Goggles)
৩. হ্যান্ড গ্লোভ (Hand gloves)
৪. সেফটি মুখ (Safety Shoes)
৫. গ্যাস রেস্পিরেট (Gas Mask / Gas Respirator)
৬. হ্যালমেট/কাল ক্যাপ (Halmat / skull cap)
৭. সেফটি ইয়ার গ্রাশ (Safety Bar Plug
৮. কটন জাতীয় মোটা কাপড়ের পোশাক (Thick Cotton Dress)
৯. প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স

গ্যাস ওয়েল্ডিং ও গ্যাস কাটিংকালে উপযুক্ত পোশাক
গ্যাস ওয়েল্ডিং ও কাটিং কালে একজন ওয়েল্ডারকে উচ্চ তাপে কাজ করতে হয়। তাই এই সময় তাকে উচ্চ তাপমাত্রা থেকে বাচার জন্য উপযুক্ত পোশাক পরিধান করতে হয়। নিম্নে গ্যাস ওয়েন্ডিং ও কাটিংকালে একজন ওয়েল্ডারের উপযুক্ত পোশাক পরিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. একজন ওয়েল্ডার গ্যাস ওয়েল্ডিং ও কাটিং কালে পলেস্টার জাতীয় জামা পরবে না এই ক্ষেত্রে কটন জাতীয় মোটা কাপড়ের জামা হলে ভালো হয়।
২. ওয়েল্ডিং ও কাটিংকালে ওয়েল্ডার পাতলা প্যান্ট পরবে না, এই ক্ষেত্রে মোটা কাপড়ের জিন্স জাতীয় প্যান্ট হলে ভালা হয়।
৩. ওয়েল্ডিং ও কাটিংকালে ওয়েল্ডার কখনো টাই পরবে না।
৪. ওয়েল্ডার ওয়েল্ডিং ও কাটিং কালে লম্বা চুল রাখবে না, মোটা কাপড় দিয়ে মাথা বেঁধে রাখবে।
৫. ওয়েল্ডিং ও কার্টিং কালে পাঞ্জাবি, ছাদর বা ডিলেডালা পোশাক পরিহার করবে।
৬. ওয়েল্ডিং এর সময় গড়ি, আংটি ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার না করা ভাল।

গ্যাস কাটিং কি - Gas Cutting and Welding - গ্যাস সিলিন্ডারের কত প্রকার

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ব্যক্তিগত সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জমাদির যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ:
গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ব্যক্তিগত সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জামাদির ব্যবহার অপরিহার্য্য। এই সকল সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জমাদির যত্ন ও রক্ষণাকেক্ষণ না করলে এগুলো অল্প দিনে কার্যকারিতা হারাবে, ফলে অর্থের অপচয় বাড়বে। নিম্নে ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক পোশাক ও সরঞ্জমাদির যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা মূলক পোশাক ও সরঞ্জমাদি ব্যবহারের পূর্বে এদের ব্যবহার বিধি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
২. নিরাপত্তা মূলক পোশাক ও সরঞ্জমাদি ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৩. নিরাপত্তা পোশাক পরিধনের সময় জোরা জোরি করে পষোক পরিধান করা যাবে না এবং সরঞ্জমাদি জোর পূর্বক ব্যবহার করা যাবে না।
৪. সরঞ্জমাদি এদের প্রস্তুত কারক কোম্পানীর নির্দেশনা মেনে ব্যবহার করতে হবে।
৫. নিরাপত্তা পোশাক ও সরঞ্জমাদি ওয়েল্ডিং করার সময় অগ্নি শিখার যাতে বেশি কাছাকাছি না আসে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬. ব্যবহার শেষে গগলস ছুড়ে মারা যাবেনা, এদেরকে সূঁচাগ্র কোন টুল্স এর সাথে ষ্টোর করা যাবে না।
৭. হেড গ্লোভস পানিতে ভেজানো যাবেনা।
৮. নিরাপত্তা পোশাক ও সরঞ্জমাদি ব্যবহার শেষে পরিস্কার করে যথা নিয়মে স্টোরে সংরক্ষন করা।

গ্যাস সিলিন্ডারের ও সরঞ্জামাদি
গ্যাস সিলিন্ডারের প্রকারভেদ

গ্যাস সিলিন্ডারে সাধারণ চাপযুক্ত গ্যাস সংরক্ষিত থাকে। কর্মক্ষেত্রে এই চাপযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। গ্যাস পরিবহনের সুবিধার্থে গ্যাস সিলিন্ডারগুলি বিভিন্ন আকারের, পূরুত্বের, ও রঙ্গের হয়ে থাকে। শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
১. হাই প্রেসার ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস সিলিন্ডার
২. এসিটিলিন সিলিন্ডার ৩. এল.পি.জি সিলিন্ডার

১) হাই প্রেসার ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস সিলিন্ডার
হাই প্রেসার ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস সিলিন্ডার সাধারণত এ্যালুমনিয়াম বা স্টীলের তৈরি হয়ে থাকে। উচ্চ চাপে গ্যাস নিরাপদে স্থানান্তরের জন্য এগুলি যথেষ্ট শক্তপোক্ত হয়ে থাকে। গ্যাস সমূহ যেমন, নাইট্রোজেন, হিলিয়াম, হাইড্রোজেন, আক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-আক্সাইড ইত্যাদি। এই ধরনের সিলিন্ডারের স্টোরেজ ও স্থানান্তরিত হয়ে থাকে।

২) এসিটিলিন সিলিন্ডার
এসিটিলিন গ্যাস অত্যন্ত দাহ্য ও কার্যকরী একটি আলানি গ্যাস। শিল্পে গ্যাস ওয়েল্ডিং ও কাটিং কাজে এটির ব্যবহার সর্বাধিক। এসিটিলিন একটি অতিমাত্রায় অস্থিতিশীল ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সংবেদনশীল গ্যাস । তাই এই গ্যাসকে অন্যান্য গ্যাসের মতো সরাসরি সিন্ডিারের ভেতরে স্টোর করা যায় না। এই সিলিন্ডারের অভ্যন্তরীণ গঠন বিশেষ ধরনের হয়ে থাকে এবং গ্যাস এসিটোন নামক পদার্থের সাথে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।

৩) এল.পি.জি সিলিন্ডার
এল.পি.জি একটি উচ্চ মানের প্রজ্বলনশীল গ্যাস। এটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন, রান্নার কাজে, উৎপাদন কাজে, গাড়ির জ্বালানি হিসাবে, ওয়েন্ডিং ও কাটিং কাজে। এল.পি.জি সিলিন্ডার সাধারণত স্টীলের তৈরি হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন সাইজে বাজারে পাওয়া যায়।
আবার আমাদের ওয়েল্ডিং ও কাটিং কাজের উপর ভিত্তি করে গ্যাস সিলিন্ডারকে দুই ভাগে চিন্তা করা হয়।
১. সাহায্যকারী গ্যাস সিলিন্ডার (আক্সিজেন)।
২. জ্বালানি গ্যাস এসিটিলিন সিলিন্ডার (এসিটিলিন)।

বিভিন্ন প্রকার গ্যাস সিলিন্ডার সনাক্তকরণ 

গ্যাস ওয়েভিং কাজে সাধারণত আক্সিজেন সিলিন্ডার, এসিটিলিন সিলিন্ডার, হাইড্রোজেন সিলিন্ডার এল.পি.জি সিলিন্ডার বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। নিম্নে এদের সনাক্ত করার কৌশল বর্ণনা করা হলো:
১. আক্সিজেন সিলিন্ডার
২. এসিটিলিন সিলিন্ডার
৩. হাইড্রোজেন সিলিন্ডার
৪. এল.পি.জি সিলিন্ডার

১। অক্সিজেন সিলিন্ডার
(ক) এটি আকারে লম্বা কিন্তু ব্যাস কম
(খ) এটি কালো রংয়ের
(গ) ভিতরের অংশ ফাঁপা।
(ঘ) সিলিন্ডারের ভাব রাইট হ্যান্ড গ্রেডের হয়ে থাকে।
(ঙ) সেফটি ভাব থাকে না।
(চ) লো প্রেসার বা হাইপ্রেসার দুই অবস্থাতেই ব্যবহার করা যায়।

২। এসিটিলিন সিলিন্ডারের
(ক) এটি খয়েরি রংয়ের।
(খ) ভিতরে মৌচাকের যতো যোগ বা চেম্বার থাকে ।
(গ) লেফট হ্যান্ডেড প্লেড বা প্যাঁচ থাকে।
(ঘ) সেফটি ভাব থাকে।
(ঙ) এটি শুধুমাত্র দাহ্য নয়, এটি বিস্ফোরক গ্যাসও বটে।
(চ) শুধুমাত্র হাইপ্রেসারে ব্যবহার করা যায়।

৩।  হাইড্রোজেন সিলিন্ডার
(ক) এটি লাল রংয়ের।
(খ) সিলিন্ডার স্টিলের তৈরি এবং অত্যন্ত মজবুত হয়ে থাকে।
(গ) লেফট হ্যান্ডেড গ্রেড বা প্যাঁচ থাকে
(ঘ) সেফটি ভাব থাকে।
(ঙ) শুধুমাত্র হাইপ্রেসারে ব্যবহার করা যায়।
(চ) অন্যান্য গ্যাস সিলিন্ডারের তুলনায় এটি অত্যন্ত হালকা ওজনের হয়ে থাকে ।

৪। এল.পি.জি সিলিন্ডার

 এটি একটি প্রেসার ভেসেল বা গ্যাস প্রকোট যার মধ্যে ভরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস সংরক্ষিত থাকে। এটি সাধারণত লাল রংয়ের হয়ে থাকে, তবে কোম্পানিভেদে অন্যন্য রংয়েরও হতে পারে। এটির সাধারণত আকারে খাটো ও হালকা। এটি সাধারণত বামহাতি প্যাঁচের হয়ে থাকে।

গ্যাস সিলিন্ডারের মাউন্টিং, মডেল, রেগুলেটর, হোল পাইপ এর বর্ণনা
গ্যাস সিলিন্ডারের মাউন্টিং যে সকল অত্যাবশ্যকীয় সরঞ্জমাদি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকালে আবশ্যই প্রয়োজন হয়, সেই সমস্ত ডিভাইস বা সরঞ্জমাদিকে গ্যাস সিলিন্ডারের মাউন্টিং বলে। যেমন, সিলিন্ডার ভাব, সেফটি ভাব, গ্যাস রেগুলেটর, সিলিন্ডার চাবি, ফ্ল্যাশব্যাক এরেস্টর, ফিউজিবল প্রাণ ইত্যাদি।

রেগুলেটর
সিলিন্ডার হতে গ্যাসকে প্রয়োজনীয় চাপে সরবরাহ করার জন্য প্রতিটি সিলিন্ডারের সাথে একটি করে রেগুলেটর থাকে। এসিটিলিন সিলিন্ডারের সুরক্ষার জন্য রেথলেটরে ফ্ল্যাশব্যাক এরেস্টর নামে বিশেষ একটি ব্যবস্থা থাকে। এছাড়া একটি সেফটি ভাষও থাকে। গ্যাস রেগুলেটর গ্যালের অসম চাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। কার্যোপযোগী চাপে সরবরাহ করে থাকে।

নজেল
ওয়েল্ডিং নজেল হল সেই ডিভাইস যার সাহায্যে গ্যাসের বেগ বৃদ্ধি করা হয়। মিশ্রিত গ্যাস দ্রুতবেগে নজেলের মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়, যা স্পার্ক লাইটারের সাহায্যে প্রজ্বলীত হয়। নজেল আকার অনুযায়ী ০,১,২,৩,৪,৫, ইত্যাদি নাম্বারের হয়ে থাকে। ওয়েল্ডিং করার সময় ধাতুর পূরুত্ব অনুযায়ী নজেল নির্বাচন করতে হয়। উদাহারণ স্বরূপ বলা যায়-৩ মি.মি. পুরুত্বেও ধাতু ওয়েল্ডিং করার জন্য ২নং নজেল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।

হোজ পাইপ
রেগুলেটর হতে ওয়েল্ডিং টর্চ পর্যন্ত গ্যাসকে পরিবহনের কাজটি এক জোড়া হোজ পাইপের মাধ্যমে করা হয়, পাইপের উভয় প্রান্তে কানেকটিং নিপল থাকে ওয়েল্ডিং টর্চ এবং রেগুলেটরে সংযোগ করার জন্য। অক্সিজেন হোজ পাইপ নীল এবং এসিটিলিন হোজ পাইপ লাল রংয়ের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত রাবারের তৈরী।

গ্যাস সিলিন্ডার হ্যান্ডলিং পদ্ধতি বর্ণনা
কাজের প্রয়োজনে শিল্প কারখানায় গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় সরাতে হয়। যেহেতু গ্যাস সমূহ উচ্চ মাত্রায় দাহ্য পদার্থ তাই গ্যাস পূর্ণ সিলিন্ডার গুলিকে সতর্কতার সাথে হ্যান্ডেলিং করতে হয়। নিম্নে গ্যাস সিলিন্ডার হ্যান্ডলিং করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১) গ্যাস সিলিন্ডার স্থানান্তর করার সময় অবশ্যই ভাৰ ক্যাপ বা অন্য কোন তাৰ পটেকশন ডিভাইজ সহযোগে করে স্থানাস্তর করতে হবে।
২) সিলিন্ডারকে ভাল ক্যাপে ধরে সাইড হতে থাকা দিয়ে রোলিং করতে করতে স্থানান্তরের চাইতে ট্রলি ব্যবহার করা উত্তম।
৩) টেনে, স্লাইডিং করে বা গড়িয়ে গড়িয়ে গ্যাস সিলিন্ডার স্থানান্তর করা যাবে না।
৪) গ্যাস সিলিন্ডার যেহেতু ভারী তাই এদেরকে দুইজনে ধরে স্থানান্তর কর ভাল।
৫) গ্যাস সিলিন্ডার চুম্বক, চেইন, দড়ি দিয়ে উত্তোলন করা যাবে না। এদেরকে বিষেশ ধরনের বেস্ট বা ট্রোলি দিয়ে পরিবহন করতে হবে।
৬) গ্যাস সিলিন্ডার চেইন বা ফেণ্ট দিয়ে ট্রলির সাথে আটকিয়ে স্থান্তর করতে হবে।
৭) গ্যাস সিলিন্ডার বেশি উঁচু স্থানে স্থাপন করা উচিত নয়।
৮) কাজ শেষে সিলিন্ডার ভাষা বন্ধ করে রাখতে হবে।

গ্যাস সিলিন্ডার রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা বর্ণনা
গ্যাস সিলিন্ডার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি জরুরী। একটি গ্যাস সিলিন্ডারের লাইফ টাইমও ওয়েল্ডিং জোড়ের গুনগত মান, গ্যাস সিলিন্ডার ও এর মাউন্টিংসগুলির উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। নিম্নে গ্যাস সিলিন্ডার সংক্রান্ত সতর্কতা সমূহ আলোচনা করা হলো
১. ওয়েল্ডিং এর সময় সিলিন্ডার দুটি খাড়া করে শক্ত করে আটকিয়ে রাখা এবং আগুন থেকে দূরে রাখা।
২. সিলিন্ডার, সিলিন্ডর ভাব ও ফিটিংস সমূহের সংস্পর্শে তৈল, গ্রীজ, ইত্যাদি আসতে না দেওয়া।
৩. সিলিন্ডারে লিকেজ থাকলে সাবান পানি ব্যবহার করে পরীক্ষা করে নেয়া।
৪. কাজ শেষে সব ভাব বন্ধ করে রাখ।
৫. সিলিন্ডার ভাষা খোলা ও বন্ধ করার জন্য সঠিক চাবি বা রেঞ্জ ব্যবহার করা।
৬. গ্যাস সিলিন্ডার সমূহ সুক্ষ ও কক্ষ তাপমাত্রার প্রচুর আলো-বাতাস চলাচলের স্থানে স্টোরেজ করা।
৭. সিলিন্ডারের উপর কোন ক্রমে আঘাত না দেয়া।
৮. সিলিন্ডার সমূহ নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রেসার টেষ্ট করে নিতে হবে।
৯. সিলিন্ডার সমূহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে রং করে নিতে হবে।
১০. জনবহুল ও উত্তপ্ত স্থানে সিলিন্ডার স্টোরেজ করা উচিত নয়।

গ্যাস ওয়েন্ডিং এ ব্যবহিত বিভিন্ন গ্যাস সমূহের বৈশিষ্ট্য
গ্যাস ওয়েল্ডিং এ ব্যবহিত বিভিন্ন গ্যাস নাম
গ্যাস ওয়েন্ডিং করার জন্য প্রধানত দুই ধরনের গ্যাস লাগে। যথা-
১। জালানী গ্যাস,
২। সাহায্যকারী গ্যাস

 
১) জ্বালানী গ্যাস : 

গ্যাস ওয়েন্ডিং এ যে সকল জ্বালানী গ্যাস ব্যবহার করা হয় তারা হল এসিটিলিন, হাইড্রোজেন, এল.পি.জি, মিখেন, প্রেপেন, বিউটেন ইত্যাদি।
২) সাহায্যকারী গ্যাস:

 গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে একটি মাত্র সাহায্যকারী গ্যাস ব্যবহার হয় তা হলো

গ্যাস ওয়েল্ডিং এ ব্যবহিত বিভিন্ন গ্যাস সমূহের ওয়েন্ডিং সংশ্লিষ্ট গুনাগুন নিম্নে জাপানি সাহা) গ্যাস ও সাহায্যকারী গ্যাস অর্থাৎ অক্সিজেন গ্যাসের গুণাগুণ উল্লেখ করা হলো জাপানি সাহা) গ্যাস এর গুণাগুণ
১. আলানী গ্যাস অক্সিজেন সহযোগে প্রণিত হরে প্রচুর পরিমান ভাগ ও আলোক শক্তি উৎপন্ন করে।
২. যে জলানী গ্যাসের তাপীয় মান ((Calorific Value) যতো বেশী সেই গ্যাস ততো বেশী তাপ উৎপন্ন করতে পারে, তাই গ্যাস ভরেন্ডিং এর জন্য উচচ তাপীয় মান সম্পন্ন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
৩. যে সকল আালানী গ্যাস প্রজ্বলনের সময় ধোঁয়া উৎপন্ন করে না, তারা উৎকৃষ্ট মানের আলানী গ্যাস।
৪. পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ থাকলে উৎকৃষ্ট মানের জ্বালানী গ্যাস সম্পূর্ণ রুপে প্রজ্বলিত হয় এবং অধিক পরিমান তাপ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।
৫. উৎকৃষ্ট মানের জ্বালানী গ্যাস প্রজ্জ্বলনের ফলে সর্বনিম্ন পরিমাণ ক্ষতিকারক পদার্থ ও গ্যাস, যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ও নগ্ন নির্গত করে।
৬. কোন কোন জ্বালানী গ্যাস ওয়েল্ডিং এর সময় কার্যকরে সাথে কার্বন সংযুক্তি ঘটায়।
৭. উপরোক্ত বৈশিষ্টের অধিকাংশ এসিটিলিন গ্যাস এর মধ্যে থাকায় গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার সর্বাধিক। সাহায্যকারী গ্যাস অর্থাৎ অক্সিজেন গ্যাসের ওয়েন্ডিং সংশ্লিষ্ট গুনাবল
১. অক্সিজেন পৃথিবীতে প্রাপ্ত সবচাইতে সাধারণ রাসায়নিক উপাদান।
২. যুক্ত অবস্থায় অক্সিজেন রঙ, গন্ধ ও স্বাদহীন একটি গ্যাস এবং এটি পানিতে সামান্য দ্রবীভূত হয়।
৩. ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে এটি অক্সাইড তৈরি করে।
৪. লোহর উপর যে মরিচা পড়ে তা লোহ ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ার ফল।
৫. গণিত ধাতুর সাথে এটি দ্রুত বিক্রিয়া করে অক্সাইড তৈরি করে।
৬. অক্সিজেনের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল সে নিজে জ্বলে না কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে। অক্সিজেনের এই বৈশিষ্ট্যের কারণে একে সাহায্যকারী গ্যাস হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। তাই গ্যাস ওয়েন্ডিং ও গ্যাস কাটিং কাজে এই গ্যাসের উপস্থিতি অপরিহার্য।

সিলিন্ডারে গ্যাস সংরক্ষণ ব্যবস্থা
সিলিন্ডারে গ্যাস পূর্ণ আবস্থায় প্রয়োজনীয় চাপে গ্যাস সংরক্ষিত থাকলে এটি দিয়ে ওয়েক্সিং করা যায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় চাপের চাইতে কম চাপ থাকলে ওয়েল্ডিং করা যায় না। তাই সিলিন্ডার গুলিতে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট চাপে গ্যাস সংরক্ষন করতে হয়, তবে অত্যাদিক চাপে সিলিন্ডারে গ্যাস সংরক্ষন করা উচিত নয়। জনবহুল ও উত্তপ্ত স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার স্টোরেজ করা জাবেনা। আলো-বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে কক্ষ তাপমাত্রার গ্যাস সিলিন্ডার সংরক্ষন করতে হবে।
গ্যাস পূর্ণ সিলিন্ডার গুলো ব্যবহার করতে করতে এদের প্যাসের চাপ কমতে থাকে, অর্থাৎ খালি হয়ে যায়। সিলিন্ডার গুলি খালি হয়ে গেলে পুনরায় এগুলিকে রিফিলের ব্যবস্থা করতে হয়। আমাদের দেশে গ্যাস রিফিলের জন্য "লিন্ডে বাংলাদেশ" এই কোম্পানীটি গ্যাস রিফিলের ব্যবস্থা করে থাকে। কাজের সুবিধার্থে এই কোম্পানীটির নিজস্ব সিলিন্ডার সাপ্লাই ব্যবস্থা রয়েছে। এদেও কাছথেকে খালি সিলিন্ডার জমা করে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডারও নেওয়া যায়। বর্তমনে আমাদের দেশে অনেক গুলি এল.পি.জি গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ফ্লেম
অক্সিজেন ও এসিটিলিন গ্যাসের জ্বলনের ফলে যে ফ্রেম তৈরি হয় সেটাই অক্সি এসিটিলিন ফ্রেম বলে।

অক্সি-এসিটিলিন ফ্রেমের প্রকারভেদ সনাক্তকরণ 

অক্সি এসিটিলিন ফ্রেম সাধারনত তিন প্রকার, যথা-
(ক) কার্বুরাইজিং ফ্রেম (Carburizing Flame)
(খ) নিউট্রাল ফ্রেম (Neutral Flame)
(গ) অক্সিডাইজিং ফ্রেম (Oxidizing Flame)

Next Post
No Comment
Add Comment
comment url