পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কাকে বলে - কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কাকে বলে - কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কাকে বলে - কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কাকে বলে - কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

নিরাপত্তা

আমরা জানি তেজস্ক্রিয়তা মানুষের শরীরের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে আণবিক বোমা ফেলা হয়েছে যার প্রতিক্রিয়া এখনও বিদ্যমান রয়েছে। ঐ এলাকার শিশুরা এখনও বিকলাঙ্গ হিসেবে জন্মগ্রহণ করছে। তেজস্ক্রিয়তার ফলে মানুষের শরীরে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকে। ওয়েল্ডিং জোড় এক্স-রে টেষ্ট করার সময়ও যদি রেডিয়েশন মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, এতে শরীরের নানা অংশের ক্ষতি সাধিত হয়। তাই এ পরীক্ষার পূর্বে পরীক্ষককে অবশ্যই নিরাপদ পোশাক পরিধান করতে হবে এবং পরীক্ষার সঠিক নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হবে। মানুষের শরীরে কি পরিমান তেজস্ক্রিয়তা বা রেডিয়েশন শোষণ করে তা পরিমাপের একক হল রেম। একজন মানুষ মাসে বা বছরে কত রেম গ্রহণ করতে পারবে তার নির্ধারিত সীমা রয়েছে। এর বেশি গ্রহণ করলে সে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে পারে

এক্স-রে ফিল্ম ইন্টারপ্রিটেশন

রেডিওগ্রাফি শেষে এক্স-রে ফিলাকে ডেভেলপ ও ড্রাই করে ভিউয়ার দ্বারা ফিল্মের গায়ে প্রদর্শিত ত্রুটি- বিচ্যুতি শনাক্ত করা হয়। ওয়েল্ডিং জোড়-ফিল্ম বসানোর সময় জোড়ের গায়ে দাগ ও মাপ নেয়া হয়। যার ফলে ত্রুটি বিচ্যুতি শনাক্ত করার পর সঠিক স্থানে ত্রুটি মেরামত করা সম্ভব হয়। ওয়েল্ডিং জোড়ের সাধারণত সব ধরনের ত্রুটি এক্স-রে ফিল্মে প্রদর্শিত হয় যেমন রো-হোল, স্পগ, ইনক্লুশান, ল্যাক অব পেনিট্রেশন, অতিরিক্ত পেনিট্রেশন, আন্ডার কাট, গ্রাস পকেট, পোরসিটি, ফাটল, কনকেভ, কনভেজ, বার্নথ্রো ইত্যাদি ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা যায়। তবে কোন ত্রুটি কতটুকু পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য (Acceptance) API-1104 মোতাবেক তার নিয়মকানুন রয়েছে।

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কাকে বলে - কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

এক্স-রে পরীক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধাসমূহ :

১. এক্স-রে পদ্ধতি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২. অভ্যন্তরীণ সকল ত্রুটিসমূহ নির্ণয় করা যায়।
৩. ত্রুটির ছবি পাওয়া যায় ফলে কোন প্রকার সন্দেহ বা বিতর্কের সুযোগ থাকে না।
৪. এক্সপ্লোজারে সময় কম লাগে।

অসুবিধাসমূহ :
১. এ পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত ব্যয়বহুল।
২. একাধিক যন্ত্রাংশে একসাথে পরীক্ষা করা যায় না।
৩. এক্স-রে রশ্মি উৎপাদনে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।

লিকুইড পেনিট্রেশন টেস্ট
এ পদ্ধতি একটি সহজ অধ্বংসাত্মক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ওয়েন্ডিং জোড়ের উপরিভাগের ত্রুটি নির্ণয় করা যায়। এ পদ্ধতিতে তরল উজ্জ্বল রং অথবা তরল ফ্লুরোসেন্ট জোড়ার উপরি ভলে লাগানো হয়। তরল রং কিংবা তরল ফ্লুরোসেন্ট পেনিট্রেট করার জন্য পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় নেওয়া হয়। তারপর উপর থেকে তরল পদার্থ মুছে ফেলা হয় এবং কিছুক্ষণের জন্য শুকানো হয়। এরপর ডেভলপার বা বিশেষ প্রবণ নারকেলের উপর ছড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে দোচ্চক্রটি ভিতরে প্রবেশকৃত রং স্পষ্ট হয়ে চোখে ধরা পরে। তরল ফ্লুরোসেন্টের ক্ষেত্রে ব্লাক লাইট সোর্স জোড়ার উপরি তলে আনা হয়। ফলে ফ্লুরোসেন্ট যেসব ত্রুটিতে প্রবেশ করে তা স্পষ্ট হয়ে ধরা পরে।

রেডিওগ্রাফিক টেস্ট :
এটি প্রকৃত পক্ষে এক্সরে রেডিওগ্রাফি। ওয়েন্ডিং জোড়ার অভ্যন্তরে ত্রুটি বিচ্যুতি সহজেই নির্ণয় করা রায়। এ পদ্ধতিতে ধাতুর ভিতরে প্রবেশ করতে পারে এমন শক্তিশালী রশ্মি ব্যবহার করা হয়। এ শক্তিশালী রশ্মিগুলো হলো এক্স-রে এবং গামা-রে। মানুষের রোগ নির্ণয়ের জন্য যেভাবে এক্স-রে ব্যবহার করা হয় ঠিক অনুরূপভাবে এক্স-রে গুরেষ্টিং জোড়ের ভিতরের দোষত্রুটি নির্ভর করে থাকে। জোড়া এক পাশে রশ্মিসমূহের দাগ কেনে তার অপর পার্শ্বে একটি সংবেদনশীল ফিল্ম রাখা হয়। ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গের এ রশ্মিসমূহ জোড়া ভেদ করে অপর পার্শ্বে রক্ষিত পর্দায় ধাতুর ভিতরের গঠনগত প্রতিচ্ছবির নমুনা প্রদান করে। এর ফলে ঐ সংবেদনশীল পর্দা হতে সহজেই বস্তুর অভ্যান্তরীণ গ্যাস পকেট ধাতুমলের অন্তর্ভূক্তি, ফাটল, অপর্যাপ্ত গগন ইত্যাদি চিহ্নিত করা যায় । এখানে মনে রাখা দরকার যে, গামা-রে সাধারণত অভিগুরু প্লেটের জন্য ব্যবহার করা হয়। গামা-রে এক্স-রে এর চেয়ে অধিক শক্তিশালী। বেশি মোটা বা পুরু ছাড়াও যে কোন আকৃতির জোড়ার ভিতরে গামা-রে প্রবেশ করতে পারে। তবে গামা-রে পদ্ধতির চেয়ে এক্স-রে পদ্ধতি অনেকটা দ্রুত কাজ করে। এক্স-রে পদ্ধতি তুলনামূলক বেশি ব্যবহার করা হয়।

আ্যাল্ট্রাসনিক টেস্ট (Ultrasonic Test)

এ টেস্ট এর প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হল লৌহ ও অলৌহ ধাতু ছাড়াও প্লাস্টিক ও সিরামিক জাতীয় পদার্থের (Non-metallic) বেলায়ও এটি সমভাবে কার্যকর। এটি সঠিক আকার-আকৃতি ও অবস্থান নির্ণয়ে সক্ষম। এ টেস্টিং প্রক্রিয়াতে উচ্চ গতির কম্পন ব্যবহৃত হয় যা মান সাধারণত ২০০০০০ থেকে ২৫০০০০০০ সাইকেল/সেকেন্ড হয়ে থাকে। এই রুপ উচ্চ শব্দ ভর একটি সুষম ধাতু খন্ডের ভিতর দিয়ে যদি প্রেরণ করা যায়, তাহলে উক্ত তরঙ্গ পরীক্ষর্ণীয় ধাতুর ভিতর দিয়ে তা অপর পার্শ্বে একটি সংকেত প্রেরন করে যা বস্তুটির পূর্ব প্রান্তে ফিরে আসবে এবং একটি ওসিলোস্কোপের পর্দায় তাকে দেখা যাবে। যা হতে ত্রুটির ধরন জানা যাবে। জানাকি এর যন্ত্রপাতি : আন্দ্রামোনিক টেস্ট এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি যন্ত্রপাতির নাম। যেমন-
১. পালসার বা রিগিফার (Pulser or Receiver)
২. ট্রান্সডিউসার (Transducer)
৩. ডিসপ্লে ডিভাইস (Disply Device)

পাইশ ওয়েক এর পান্ট্রালেনিক আন্ট্রাসোনিক টেস্ট এর সুবিধা আন্টাসোনিক টেট পদ্ধতির কিছু সুবিধা নিয়ে দেওয়া হলো-
১. এ টেস্ট পদ্ধতি দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য।
২. যন্ত্রপাতি এবং আনুষঙ্গিক খরচ কম।
৩. অতি পাতলা অংশেও ত্রুটি নির্ণয় করা যায়।
৪. এটি অন্য টেস্ট এর তুলনায় সংবেদনশীল।

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কাকে বলে - কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

আন্ট্রাসোনিক টেস্ট এর সতর্কতা : 

আল্ট্রাসোনিক টেস্ট এর সতর্কতাগুলো নিম্নে দেওয়া হলো--
১. ট্রান্সডিউসার ভোল্টেস যারা যে কেহ আহত হতে পারে তাই সাবধানতার সাথে কাজ করতে হবে
২. ক্যাবলগুলো থেকে শর্টসার্কিট হতে পারে। এজন্য এগুলোকে ঢেকে রাখতে হবে।
৩. এ প্রকার ইলেকট্রিক্যাল মেশিন গ্যাসীয় কিংবা ৰাষ্ট্ৰীয় হওয়ায় বিস্ফোরিত হতে পারে তাই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
৪. রিসিভার হতে ধীরে ধীরে ভোজে বৃদ্ধি পায় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভোল্টেজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৫. মেশিনটি এসিডে চালানোর জন্য উপযুক্ত তাই এর সরবরাহ লাইনটি সঠিক ভাবে স্থাপন করতে হবে।

ম্যাগনেটিক পার্টিক্যাল (Magnetic Particle Test) :
এটি সবচেয়ে পুরনো এবং অন্যতম বহুল প্রচলিত অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা। এ পদ্ধাতিতে শক্তিশালি চৌকীকরণের উপযোগী কারেন্ট এবং একটি তরল পদার্থে রক্ষিত সুক্ষ্ম মেটালিক পাউডার ব্যবহৃত হয়। নমুনাকে পাউডারের ভিতর ঢেকে রেখে এর ভিতর শক্তিশালি চৌম্বকীকরণ কারেন্ট প্রবাহিত করা হয়। চুম্বকে পরিণত মোড়াস্থানের যে কোন অপদ্রব্য বা অসম গঠন চৌম্বক বলের কার্যকরী রেখাকে বাধা দিবে এবং পাউডারের কণাগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ স্থানে, ত্রুটির আকার ও অবস্থান অনুযারী জড়ো করতে সাহায্য করবে। এভাবে ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা সহজ হয়। এ টেস্টের সাহায্যে নমুনার উপরিতলের চির বা ফাটল, অপর্যাপ্ত পান, সামান্যতম ধাতুমল অন্তর্ভূক্তি (Sing Inclusion) ইত্যাদি নির্ণয় করা যায়।

ম্যাগনেটিক পার্টিকেল টেস্টের প্ররোগক্ষেত্র (Application of the Magnetic Particle Test)

১. ফ্লুরোসেন্ট ইন্সপেকশনে (Fluorescent Inspection)
২. ভিয়ান ইন্সপেকশন
৩. ম্যাগনেটিক রাবার ইন্সপেকশনে
৪. গাফির অ্যাকশ্যাফ্ট ইন্সপেকশনে
৫. গাড়ির কানেকটিং রড পরিদর্শনে
৬. ম্যাগনেটিক ফিল্ড যাচাইকরণে
৭. ধাতুকে ম্যাগনেটাইজকরণে
৮. বিজ্ঞানাগারে ও আবাসিক ক্ষেত্রে ইত্যাদি।

ম্যাগনেটিক পার্টিকেল টেস্টের যন্ত্রপাতি নির্বাচন (Equipment for Magnetic Particle Test)

ম্যাগনেটিক পার্টিকেল টেস্ট ইকুপমেন্ট
১. আরণ অক্সাইড (Iron Oxide)
২. ম্যাগনেটিক পার্টিকেল ইন্সপেকশন মেশিন (MPI m/c
৩. মোবাইল পাওয়ার প্যাক (Mobile Power Packs)
৪. ম্যাগনেটিক ইয়োক (Magnetic Yoke)

ম্যাগনেটিক পার্টিকেল টেস্টের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of the Magnetic Particle Test) :
উৎপাদন পদ্ধতি দ্রুততর এবং উৎপাদনে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে ম্যাগনেটিক পার্টিকেল সমুদ্রগামী জাহাজ, প্রেসার পাত্র প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজে জোড় এবং ম্যাটেরিয়ালসকে ১০০% নিখুঁত ও নিয়াগস হওয়া দরকার । আবার অনেক সময় নিখুঁত কাজে এবং ওয়েল্ডিং করে উৎপাদিত ধাতপ জবের ত্রুটি দূর করার
ইন্সপেকশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মাটির নিচ দিয়ে বসানো পানি ও গ্যাসের পাইপ লাইন, উড়োজাহাজ, জন্য কিংবা কখনো কখনো সন্দেহ দূর করার জন্য মালামালগুলো নষ্ট না করে পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। এ প্রকার পরীক্ষা সহজে ও নিরাপদ করার দরকার হয়, তাই ম্যাগনেটিক পার্টিকেল টেস্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। যে সকল ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মালামাল ও জোড়স্থানটি ত্রুটিযুক্ত হলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে এমনকি মূল্যবান জীবন ও মালামালের ক্ষতি হতে পারে, সে সকল ক্ষেত্রে এ প্রকার টেস্টের গুরুত্ব রয়েছে। অর্থাৎ যাতু কিংবা জোড়ে ত্রুটি থাকলে মেশিন অথবা কাঠামোটি কাঙ্ক্ষিত কাজে ব্যবহার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে আন্দাজ অথবা অভিজ্ঞতা দিয়ে দ্রব্যের গুণাগুণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না, অথচ পরীক্ষা করলে দ্রব্যের মধ্যে ত্রুটি পাওয়া যায়। আবার অভ্যন্তরীণ দোষত্রুটি সব সময় বাইরে হতে দেখা সম্ভব হয় না। এমতাবস্থায় নিশ্চিত ও নিরাপদ হওয়ার লক্ষ্যে ম্যাগনেটিক পার্টিকেল টেস্টের গুরুত্ব রয়েছে

ম্যাগনেটিক পার্টিকেল টেস্টের সুবিধা অসুবিধা (Advantage & Disadvantage of Magnetic Particle Test)
সুবিধাসমূহ:

১. এ পদ্ধতিতে কম পুরুত্ববিশিষ্ট ছোট জবের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী।
২. এ পদ্ধতিতে অতি সহজে ত্রুটির আকার ও অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব।
৩. এ পদ্ধতিতে জবের তলে কোন প্রকার আঁচড় বা দাগ পড়ে না।
৪. কম সময়ে, কম খরচে অপেক্ষাকৃত অধিক যন্ত্রাংশ পরীক্ষা/টেস্টিং (Testing) করা সম্ভব।

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কাকে বলে - কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

অসুবিধাসমূহ :
১. ম্যাগনেটিক পার্টিকেল পদ্ধতি বড় আকৃতির জবের জন্য উপযোগী নয়।
২. এ পদ্ধতিতে জটিল এবং অধিক পুরুত্বের জবকে পরীক্ষা করা যায় না ।
৩. জটিল ত্রুটি এ পদ্ধতির মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় না। ৪. কার্যবস্তুটি অচৌম্বকীয় হলে পরীক্ষা করা যায় না।
৫. কোনো ত্রুটি চৌম্বক বলরেখা সমান্তরালে হলে এর ত্রুটি নির্ণয় করা যায় না।

ম্যাগনেটিক পার্টিকেল টেস্টের সতর্কতা (Precaution of Magnetic Particle Test)
১. বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম হিসেবে ম্যাগনেটিক পার্টিকেল ইনস্ট্রুমেন্টের পার্টস সংযোজন-বিয়োজন করা যাবে না।
২. কার্যকালীন সময়ে ইনট্রুমেন্টের সুইচ ON অথবার OFF করা যাবে না। 

৩. ম্যাগনেটিক প্যার্টিকেল ইন্সপেকশনের ম্যানুয়াল টি ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। ম্যানুয়ালের ওয়ার্নিং (Warning Table-1) টেবিল যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৪. ব্ল্যাক লাইটটি (Black Light) হতে প্রচুর তাপ নির্গত হতে পারে। ৫. বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে, মূল মেশিন হতে কোন প্রকার পার্টস বিশেষ করে ব্লাক লাইটটি আলাদা করা যাবে না। এ ক্ষেতে কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ও অনুমতি নিতে হবে।
৬. পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ব্লাক লাইটের দিকে সরাসরি দৃষ্টি দেয় যাবে না। এক্ষেত্রে বিমের রশ্মির আঘাত দেহে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
৭. প্রধান বিমের কাছে হাত বা শরীরকে গ্লাভস বা অ্যাপ্রোন দিয়ে ঢেকে নিয়ে যেতে হবে।
৮. এক্ষেত্রে মেশিন নির্মাতাগণ কর্তৃক নির্দেশাবলি স্মরণ করতে হবে। বিশেষণ করে ব্ল্যাক লাইটের নির্দেশাবলি সুচারুভাবে পালন করতে হবে।
৯. ফ্লুরোসেন্ট ম্যাগনেটিক টেস্টের ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার সানগ্লাস কিংবা গগলস অথবা আলো সংবেদনশীল লেন্স ব্যবহার করা যাবে না।

কাজের ধারা
১. ব্যক্তিগত সরঞ্জাম পরিধান করো।
২. পরীক্ষার ধরন অনুযায়ী টুল্স ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো।
৩. ওয়েল্ডিংকৃত স্থান ভালভাবে ওয়্যারব্রাশ দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করো।
৪. ভালভাবে পরীক্ষা করে দেখ যে কোন প্রকার ত্রুটি আছে কিনা।
৫. খালি চোখে দেখা না গেলে প্রয়োজনে আতশ কাজের সাহায্য নাও ।
৬. কোন প্রকার ত্রুটি থাকলে চিহ্নিত করতে হবে। পরবর্তীতে চিহ্নিত ত্রুটিসমূহের ধরন বুঝে। উপযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করো।
৭. সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করো।
৮. কাজ শেষে কর্মস্থল পরিষ্কার করো।

বিশেষ নির্দেশনা

  • প্রয়োজনে একাধিকবার পরীক্ষা করা যেতে পারে।যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক (পিপিই) ব্যবহার করা
  • পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিধি (OSH) অনুসরণ করা
  • কাজের বিপদ ও ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত এবং নির্মূল করতে পারব।
  • ওয়েল্ডিং ত্রুটি চিহ্নিত করণে ব্যবহৃত মেশিন, যন্ত্রপাতি ও টুলস সনাক্ত ও সংগ্রহ করা
  • কাজের ধরন অনুযায়ী হ্যান্ড টুলস্ যন্ত্রপাতি ও মেশিনগুলো নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে সংগ্রহ, সমন্বয় ও সংযোজন করা
  • ত্রুটি যুক্ত ও অসুরক্ষিত টুলস্ ও যন্ত্রপাতি চিহ্নিত কারা
  • যন্ত্রপাতিগুলো সূক্ষ্মতার মান অনুসারে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা বেল্ড টেস্ট করার মাধ্যমে ওয়েল্ড ধাতুর ত্রুটি সনাক্ত করতে পারা
  • নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও কাজে ধরন অনুসারে টুল্স ও যন্ত্রপাতি গুলো পরিষ্কার ও যথাযথ সংরক্ষণ করা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url