gas welding flame types - গ্যাস ওয়েল্ডিং কত প্রকার ও কি কি

 gas welding flame types - গ্যাস ওয়েল্ডিং কত প্রকার ও কি কি
gas welding flame types - গ্যাস ওয়েল্ডিং কত প্রকার ও কি কি

gas welding flame types - গ্যাস ওয়েল্ডিং কত প্রকার ও কি কি

গ্যাস ওয়েন্ডিং ফ্লেম Gas welding flame

ফ্রেম বা শিখা তৈরি করে আমরা খাণ্ডব খণ্ডকে জোড়া দিতে পারি, আবার খাত খণ্ড হতে প্রয়োজনীয় অংশ কেটে যান নিতে পারি বা প্রয়োজনীয় অংশ নিতেও পারি। শিখা দেখে চিনতে পারা ও প্রয়োজনীয় শিখা তৈরি করতে পারার উপর নির্ভর করে জোড় কেমন মজবুত হবে। অবশ্য কার্যবস্তুর ধাতুর প্রকারের উপর নির্ভর করবে কোন শিখা তৈরি করতে হবে। এ অধ্যায়ে আমরা গ্যাস ওয়েন্ডিং-এ ব্যবহৃত শিক্ষা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

গ্যাস ফ্রেম তৈরিকরণে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরজ্ঞামাদি
গ্যাস ক্লেম প্রচুর পরিমাণ তাপ (৩২০০°সে) ও আলোক রশ্মি নির্গত করে। তাই ওয়েল্ডারকে এই প্রচণ্ড তাপ ও ক্ষতিকর আলোক রশ্মি ও গ্যাস হতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিম্নলিখিত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে থাকে।
১। চামড়ার এপ্রোন (Leather Apron )
২। ওয়েল্ডিং গগলস্ (Welding Goggles)
৩। হ্যান্ড গ্লোভস্ (Hand gloves)
৪। সেফটি সুজ (Safety Shoes )
৫। হ্যালমেট/স্কাল ক্যাপ (Halmat / skall cap)
৬। গ্যাস রেসপিরেটর (Gas Mask Respirator)
৭। সেফটি ইয়ার প্লাগ (Safety Ear Plug )
৮। কটন জাতীয় মোটা কাপড়ের পোশাক (Thick

গ্যাস ফ্রেম তৈরিকরণের ক্ষেত্রে সৃষ্ট বিপত্তি বা হ্যাজার্ড
গ্যাস ওরেল্ডিং এর সময় অগ্নিশিখা, চাপযুক্ত গ্যাস এবং উত্তপ্ত ধাতুখণ্ড নিয়ে একজন কর্মী কাজ করেন।
সুভরাৎ গ্যাস ওয়েল্ডিং হতে নিম্নলিখিত বিপনসমূহের আশঙ্কা থাকে।
ক) অগ্নিশিখার তীব্র আলোকরশ্মি।
খ) জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।
গ) সিলিন্ডার হতে গ্যাস লিক হওয়ার কারণে যে কোন সময় আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।
ঘ) তেল বা ব্রীজ হতে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ঙ) গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ।
চ) অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্য হতে পারে।
ছ) স্পার্ক লাইটার এর স্থলে অন্যকিছু দিয়ে শিখা জানাতে গেলে বিপদ হতে পারে।

gas welding flame types - গ্যাস ওয়েল্ডিং কত প্রকার ও কি কি

ফ্লেম কর্তৃক সৃষ্ট তাপ থেকে সুরক্ষিত থাকার কৌশল
আমরা জানি গ্যাস ওয়েন্ডিং ফ্রেমে প্রচুর পরিমান তাপ উৎপন্ন হয়, এই তাপে ধাতুকে গলিয়ে ওয়েন্ডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ওয়েল্ডারকে ফ্রেম কতৃক সৃষ্ট তাপ থেকে সুরক্ষিত থেকে ওয়েন্ডিং সম্পন্ন করতে হয়। গ্যাস ওয়েন্ডিং করার সময় প্রায় ৩৪০০ ডিগ্রী সে. পর্যন্ত তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়। এই উচ্চ তাপমাত্রা হতে ওয়েল্ডার নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিম্ন লিখিত কৌশল অবলম্বন করে থাকেন।
ওয়েল্ডিং এর সময় হাতকে সুরক্ষার জন্য হ্যান্ড গ্রোভস্ ব্যবহার করেন।

  • ওয়েল্ডার চোখকে ভাপ ও আলোর হাত থেকে সুরক্ষার জন্য গগলস ব্যবহার করেন।
  • ওয়েল্ডার শরীরের অন্যান্য অংশকে তাপের হাত থেকে রক্ষা করা জন্য লেদার এপ্রোন ব্যবহার করেন।
  • ওয়েল্ডার গরম ধাতুর সংস্পর্স হতে পা সুরক্ষিত রাখার জন্য সেফটি সুজ ব্যবহার করেন।
  • ওয়েল্ডার ও অন্যান্যদেরকে তাপ ও আলোর থেকে রক্ষা জন্য ওয়েল্ডিং বুদ্ধে মোটা কালো পর্দা লাগিয়ে দেন।
  • সর্বোপরি ওয়েল্ডার সতর্কতার সাথে কাজ করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স সাথে রাখেন।

ফ্লেম প্রকাশে সৃষ্ট গ্যাস ও ধোঁয়ার কারণে সাশ প্রশাসজনিত শারিরীক বিপর্যয়ের কারণ
গ্যাস ওয়েল্ডিং এর সময় ক্লেম প্রস্তুতকালে প্রচুর পরিমাণ দূষিত গ্যাস ও আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি, ইনফ্রারেড রশ্মি ও ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় যা মানবদেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। এই সকল ক্ষতিকর রশ্মি, দূষিত গ্যাস ও ধোঁয়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে ওয়েল্ডিং করলে ওয়েল্ডার শ্বাস কষ্টে ভোগাসহ শ্বাসযন্ত্রের নানা জটিলতায় ভোগতে পারেন।

ফ্লেম প্রস্তুতকালে সৃষ্ট গ্যাস ও ধোঁয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত শারিরীক বিপর্যয়ের কারণঃ
১. শ্বাস যন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য নাক ও মুখে গ্যাস রেস্পিরেটর/গ্যাস মাক্স ব্যবহার না করা।
২. রেন্ডিং শপে পর্যাপ্ত এডজাস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকা।
৩. ওয়েল্ডিং শপে প্রচুর পরিমাণ আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা না থাকা।
৪. গ্যাস লিকেজ
৫. দুষিত পদার্থের উপস্থিতি আছে এমন গ্যাস যারা ফ্লেম প্রস্তুতকরা।
৬. জালানি গ্যাসের অপর্যাপ্ত প্রজ্বলন।

ফ্লেম প্রস্তুতকালে সিলিন্ডার ও সরঞ্জামাদি পতনজনিত বিপদ সমূহ সনাক্তকরণ
ফ্লেম প্রস্তুতকালে গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য সরঝামাদি পড়ে গিয়ে মারাত্মক বিপদ ঘটাতে পারে। নিম্নে এই সংক্রান্ত সম্ভাব্য বিপদসমূহ তুলে ধরা হলো:

১। গ্যাস সিলিন্ডার পড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ২। গ্যাস সিলিন্ডার পড়ে গিয়ে কর্মিদের গায়ে আঘাত করতে পারে।
৩। গ্যাস সিলিন্ডার পড়ে গিয়ে আঘাত জনিত কারনে গ্যাস রেগুলেটর কার্যকারিতা হারাতে পারে।
৪। ওয়েন্ডিং টর্মে পড়ে গিয়ে হোজ পাইপে আগুন ধরে যেতে পারে। ৫। শুরেন্ডিং টর্স পড়ে দিয়ে কর্মিদের গায়ে বা শপে রক্ষিত দাহ্য পদার্থে আগুন ধরে যেতে পারে।
৫। কার্যবস্তু পড়ে গিয়ে ওয়েল্ডার এর পারে আষাত করতে পারে।
৬। উত্তপ্ত ধাতু পড়ে গিয়ে ওরেন্ডারের শরীর এর যেকোন অংশ পুড়ে যেতে পারে।
৭। স্পার্ক লাইটার পড়ে গিয়ে আঘাত করতে পারে কিংবা নিজেই অকেজো হয়ে যেতে পারে।
৮। ফায়ার ব্রিক পড়ে গিয়ে ওয়েল্ডারের পায়ে আঘাত করতে পারে। উপরোক্ত কারণে গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যার সরঞ্জামাদি স্থানান্তর ও ব্যবহার কালে অভ্যস্ত সতর্ক হতে হবে।
উপরোক্ত কারণে গ্যাস সিলিন্ডার স্থানান্তর এর সময় অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করাতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার অবশ্যই ট্রলি দিয়ে আনা নেওয়া করতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার অবশ্যই দুই জনে ধরে নাড়া-চাড়া করতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার পড়িয়ে গড়িয়ে স্থানান্তর করা উচিত নয়।

gas welding flame types - গ্যাস ওয়েল্ডিং কত প্রকার ও কি কি

গ্যাস ওয়েন্ডিং ফ্রেম প্রস্তুতকালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও টুলস
গ্যাস ওয়েল্ডিং ক্লেম প্রস্তুতকালে ব্যবহৃত গ্যাস ও সিলিন্ডার
গ্যাস ওয়েন্ডিং ফ্রেম প্রস্তুতের জন্য সাধারণত একটি জালানী গ্যাস ও একটি সাহায্যকারী গ্যাস ব্যবহার করতে হয়। সাহায্যকারী গ্যাস হিসেবে অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। আর জালানী গ্যাস হিসেবে এসিটিলিন, হাইড্রোজেন, এলপিজি, কোল গ্যাস, মিথেন, বেনজিন, প্রোপেন ও বিউটেন ব্যবহার করা হয়। এদের মধ্যে-

  • অগ্নি-এসিটিলিন
  • অগ্নি-হাইড্রোজেন
  • এয়ার-এসিটিলিন
  • অক্সি-এলপিজি,

এই সকল গ্যাস সমূহ সাধারণত সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। জ্বালানী গ্যাসের সিলিন্ডার গুলির মধ্যে কালার কোর্ড ছাড়া অন্য বিষয় গুলির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অপর পক্ষে অক্সিজেন সিলিন্ডার অনেকটাই ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। গ্যাস ওয়েন্ডিং কাজে অক্সিজেন ও এসিটিলিন গ্যাসের ব্যবহার সর্বোচ্চ। নিম্নে অক্সিজেন ও এসিটিলিন গ্যাসের সিলিন্ডার এর মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো।

গ্যাস ওয়েন্ডিং ফ্রেম প্রস্তুতকরণে প্রেসার রেগুলেটর যারা গ্যাস প্রেসার সমন্বয় গ্যাস অতিরিক্ত চাপে বা প্রেসারে সিলিন্ডারে ভর্তি করা হয়। সাহায্যকারী ও দাহ্য উভয় গ্যাসকেই সিলিন্ডারে উচ্চ চাপে সংরক্ষিত রাখা হয়। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এই চাপের পরিমান কমানোর প্রয়োজন হয়। বস্তুতপক্ষে প্রেসার রেডলেটর এই নিলিভার প্রেসারকে কমিয়ে কার্যোপযোগী প্রেসারে সরবরাহ করে এবং সিলিন্ডার প্রেসার উঠানামাকে স্থির রেখে গ্যাস সরবরাহ সচল রাখে, এটিই গ্যাস প্রেসার রেগুলেটর এর মূল কাজ। এক কথায় বলতে গেলে ওয়েভিং করার সময় সিলিন্ডারে যে চাপে গ্যাস থাকে তাকে নিয়ন্ত্রণ করে কার্যোপযোগী চাপে সরবরাহকরার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে প্রেসার রেগুলেটর বলে। গ্যাস প্রেসার রেগুলেটর সুইটি প্রেসার গেজ থাকে, এদের একটিতে সিলিন্ডার প্রেসার এবং অন্যটিতে ওয়ার্কিং প্রেসার নির্দেশ করে। প্রেসার গেজের ওয়ার্কিং প্রেসার নির্দেশকারী গেজ এর রিডিং দেখে এডজাস্টিং ক্রু সাহায্যে খেসার সমন্বয় করতে হয়। ওয়ার্কিং প্রেসার সমন্বয় করার ক্ষেত্রে একটি প্রেসার চার্ট অনুসরন করতে হয়।

সিলিন্ডার প্রেসার ও ওয়ার্কিং প্রেসার সিলিন্ডার প্রেসার:
সিলিন্ডারের ভেতরে যে চাপে গ্যাস সংরক্ষণ করা হয় সেই চাপ বা প্রেসারকে সিলিন্ডার প্রেসার বলে। সাধারণ অক্সিজেন সিলিন্ডারের ভেতর তরল গ্যাস ১৮০০ বায়ুমন্ডলীয় চাপে অথবা ১৩৭,৮৫ হতে ১৭২.৩৫ বার (Bar) বা সর্বোচ্চ 250 PS। চাপে সংরক্ষণ করা হয়। অপরদিকে এসিটিলিন সিলিন্ডারে ১৫.৫১ হতে ১৭.২৫ বার (Bar) বা সর্বোচ্চ 250 PSI চাপে সংরক্ষণ করা হয়, আর এই উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্র করার জন্য সিরিভারের উপরে একটি ভাব লাগানো থাকে, ভাষাটি একটি চাবির সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ওয়ার্কিং প্রেসার:

ওয়ার্কিং প্রেসার বা কার্যোপযোগী চাপ কলতে বুঝায় গ্যাস ওয়েল্ডিং এর সময় ক্লেম তৈরী উপযোগী চাগকে। ফ্রেম তৈরীর উপযোগী চাপ বা ভয়ার্কিং প্রেসার সিলিন্ডার প্রেসরের চাইতে অনেক কম হয়ে থাকে। ওয়েন্ডিং করার সময় সিলিন্ডারের ভার ঘুড়িয়ে চাপ কমিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর পর রেগুলেটরের সাহায্যে এই চাপকে কার্য উপযোগী চাপে নিয়ে এসে চাপের স্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই নিয়ন্ত্রিত চাপকেই ওয়ার্কিং প্রেসার বলে। সাধারণত অধিভজনের জন্য ওয়ার্কিং প্লেসার ০.১৫ হতে ০.৬০ (Bar) বা ৭ হতে ২০ পি.এস.আই (PSI) হয়ে থাকে। অপর পক্ষে এসিটিলিনের জন্য এটি ০.১৪ হতে ০.৬০বার (Bm) বা ৫ হতে ২০ পি.এস.আই (PSI) এর আশেপাশে হয়ে থাকে।

সিলিন্ডার ভাল্ব খোলা ও বন্ধের পদ্ধতি
গ্যাস ওয়েন্ডিং করতে গেলে আমাদেরকে অক্সিজেন ও এসিটিলিন পূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়। এই সকল সিলিন্ডার গুলোতে অতি উচ্চ চাপে গ্যাস সংরক্ষিত থাকে। ওয়েল্ডিং করার সময় সিলিন্ডার হতে গ্যাস সরবরাহের প্রয়োজন হয় ফলে এই সময় সিলিন্ডার ভাব অতি সতর্কতার সাথে খুলতে হয়। এসিটিলিন
যেহেতু দাহ্য গ্যাস তাই এটি খোলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, এটি খোলার সম সিলিন্ডার ভাব অর্ধেক প্যাঁচের বেশী খোলা উচিত নয়। অক্সিজেন সিলিন্ডারের ভাবে ডানহাতি প্যাঁচ থাকায় এটিকে চাবির সাহায্যে ডানদিকে ঘুরালে এটি খুলতে থাকে আর বামদিকে ঘুরালে এটি বন্ধ হতে থাকে। তাই কাজের শুরুতে এই সিলিন্ডারের চাবিকে ডানদিকে ঘুরিয়ে খুলতে হয় এবং কাজের শেষে বামদিকে ঘুরিয়ে বন্ধ করে দিতে হয়। অপর পক্ষে এসিটিলিন সিলিন্ডারের ভার এর প্যাঁচ বাম ছাতি হওয়ায়, এটিকে বামদিকে ঘুরালে এটি খুলতে থাকে। অর্থাৎ গ্যাস সরবাহ চালু হতে থাকে এবং ডানদিকে ঘুরালে বন্ধ হতে থাকে। তাই কাজের শুরুতে আমরা এসিটিলিন সিলিন্ডারের ভাব চাবির সাহায্যে বামদিকে ঘুরিয়ে সতর্কতার সাথে খুলতে থাকব আর কাজ শেষে ডানদিকে ঘুরিয়ে সিলিন্ডার বন্ধ অর্থাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেদিন।

ফ্লেম তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও টুলস
গ্যাস ওরেলিল্ডং প্রক্রিয়ার ওয়েভিং করার পূর্বশর্ত হলো সঠিক ফ্রেম নির্বাচন ও ফ্রেম তৈরী করা। নিম্নে একটি গ্যাস ফ্রেম তৈরী করতে যে সকল টুলস ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা
(ক) গ্যান পূর্ণ অক্সিজেন সিলিন্ডার ও রেগুলেটর
(খ) গ্যাস পূর্ণ এসিটিলিন সিলিন্ডার ও রেগুলেটর
(গ) হোজ পাইপ
(ঘ) ওয়েল্ডিং টচ ও না
(ঙ) স্পার্ক লাইটার
(চ) টিশ ক্লিনার
(ছ) রেগুলেটরের চাবি

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্লেম
অক্সিজেন ও এসিটিলিন গ্যাসের প্রস্থলনের ফলে যে ক্লেম তৈরি হয় সেটাই অক্সি-এসিটিলিন ক্লেম। অক্সি- এসিটিলিন ফ্রেম তিন প্রকার, যথা- বলে। ইনার হোয়াইট কোন ও আউটার ইনভেলপ এর মধ্যবর্তী পালক আকৃতির ফ্রেম দেখে কার্বুরাইজিং
ক) কায়া (Carburizing Plane)
যে অক্সি-এসিটিলিন ফ্লেষে অক্সিজেনের চেয়ে এসিটিলিনের পরিমাণ বেশি থাকে তাকে কারাইজিং ক্লেম ফ্রেম চেনা যায়। এই ফ্রেমে অক্সিজেন ও এসিটিলিন গ্যাসের অনুপাত ০.৯:১। কারাইজিং ফ্রেমের আরেক নাম রিডিউসিং ক্লেম। কার্টুরাইজিং ফ্রেমের সর্বাধিক তাপমাত্রা প্রায় ২৭০০-২৯০০ ডিগ্রী সে.। এটি প্র কানে পত পত শব্দ করে। ধাতব পৃষ্ঠ হাড়েনিং করার কাজে এটির ব্যবহার ব্যাপক। ব্রেজিং, এলুমিনিয়াম ও মোনেল মেটাল ওয়েল্ডিং-এ এটি ভাল ফল দেয়।

(খ) নিউট্রাল ফ্লেম (Neutral Flame)
যে অক্সি এসিটিলিন ফ্লেমে অক্সিজেন ও এসিটিলিনের পরিমাণ সমান থাকে, তাকে নিউট্রাল ফ্রেম বলে। এই ফ্লেমের ইনার হোয়াইট কোন ছোট ও তীক্ষ্ণ লিখার রং হালকা বেগুনী হয়। পরিমাণ সমান হওয়ার কোন গ্যাস এককভাবে কোন ধাতুর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। গ্যাস ওরেল্ডিং কাজে নিউট্রাল সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। নিউট্রাল রেমের সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩১০০-৩২৫০ ডিগ্রী সে.। গ্যাস ওয়েন্ডিং-এ সময় এটি মৃদু শব্দ সহকারে জ্বলে। নিউট্রাল ফ্রেম দিয়ে সকল ধরনের ধাতু ওয়েন্ডিং করা যায়।

গ) অক্সিডাইজিং ফ্লেম (Oxidizing Flame)
যে অক্সি-এসিটিলিন ফ্রেমে এসিটিলিনের চেয়ে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশী থাকে তাকে অক্সিডাইজিং ক্লেম বলে। স্টীলের ক্ষেত্রে এটি খুব বেশি ব্যবহৃিত হয়না। এই ফ্রেমের ইনার হোয়াইট কোন খুব ছোট ও তীক্ষ্ণ লিখার রং হালকা বেগুনী হয়। এই ফ্রেমে অক্সিজেন ও এসিটিলিন গ্যাসের অনুপাত ১.৫১ এবং ফ্রেমের সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩০০০-৩৪৮০ ডিগ্রী সে.। গ্যাস ওয়েন্ডিং-এ সময় এটি ছিল হিস শব্দ সহকারে জ্বলে। অক্সিডাইজিং ক্লেম পিতল ও কাশা ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।

ফ্লেম তৈরির ক্ষেত্রে সতর্কতা
গ্যাস ওয়েন্ডিং ফ্রেম প্রস্ততের ক্ষেত্রে দাহ্য পদার্থ সমূহ যে সকল পদার্থ অক্সিজেন সহযোগে প্রণীত হয় সে সকল পদার্থকে দাহ্য পদার্থ বলে। ওয়েন্ডিং সাধারণত দাহ্য পদার্থ হিসেবে তৈলাক্ত পদার্থ, গ্যাসীয় পদার্থ, পানি তৈল, কাপড় ফুটে থাকতে পারে। এগুলো অতি সহজেই জ্বলে উঠতে পারে। প্যাস ওয়েন্ডিং ফ্রেম প্রস্তুতের সময় আশে-পাশে কোন দাহ্য পদার্থ থাকলে সেটি মারাত্মক বিপদের ক হতে পারে, তাই এই বিষয়ে আমাদেরকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে দাহ্য পদার্থ সমুহ আগেই স্লেম এলনের স্থান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

গ্যাস ফ্লেম এ ব্যবহৃত ফারার ব্রিক এর বৈশিষ্ট্য ও পরিচিতি ফায়ার ব্রিক্স (Fire Bricles):
ফায়ার ব্রিকস একটি বিশেষ ধরণের ইট যারা কান্নার ক্লে দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে। এই বিশেষ ধরণের ইঁট অত্যান্ত উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। তাই এই ইট দিয়ে চুল্লির ভেতরের লাইনিং দেয়া হয়। গ্যাস ক্লেম দিয়ে ওয়েল্ডিং করার সময় প্রচুর পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় যা মেটেরিয়ালকে গলিয়ে ওয়ার্কিং টেবিলকে পর্যন্ত গলিয়ে ফেলতে পারে। তাই ওয়েল্ডিং এর সময় ওয়ার্কিং টেবিলকে গলনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যটেবিলের উপর ফায়ার ব্রিক ব্যবহার করা হয়। নিম্নে গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ফারার ব্রিকের বৈশিষ্ট্য ও পরিচিতি তুলে ধরা হলো

  • এরা সাধারণত হলুদাভ (Yellowish) বা বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে।
  • বাজারে সাধারণত এদেরকে ৯ ২৪x২.৫ ইঞ্চি বা ২.৫x২.২৫ ইঞ্চি সাইজে পাওয়া যায়।
  • একটি সাধারণ ফায়ার ব্রিকের ওজন ৩০ থেকে ৩৫ নিউটন হয়ে থাকে।
  • একটি সাধারণ ফায়ার ব্রিকের চাপা সামর্থ্য (Compressive strength) ২০০ থেকে ২২০ kg/cm হয়ে থাকে।
  • এরা ৫% থেকে ১০% পানি শোষণ করে থাকে।
  • এদের কেমিক্যাল রেজিস্টেন্স (Chemical resistance) ভাল।

ফায়ার ব্রিক সাধারণত তিন ধরণের হয়ে থাকে-
১. এসিডিক ফায়ার ব্রিক (Acidic Fire Brick)
২. বেসিক ফারার ব্রিক (Basic Fire Brick)
৩. নিউট্রাল ফায়ার ব্রিক (Neutral Fire Brick)

ফ্লেম তৈরিতে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা
অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র। যে সকল যন্ত্র আগুন নিভাতে সাহায্য কওে কাল আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধির ফলে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র সমুহের ব্যবহার অনেক গুণ বেড়েছে। যেমন: কারা এক্সটিং গুইসার (Fire Extinguishers), বালি বালতি, স্মোক ডিটেক্টর (Smoke Detector), ফায়ার জুট (Fire Suit), স্মোক এमা (Smoke Alarms), হোম কারার স্প্রিংগার (Home Fire Sprinklers), কার্বন মনো-অক্সাইড এ (Carbon monoxide Alarms) ইত্যাদি।গ্যাস ফ্রেম তৈরিতে দাহ্য গ্যাসের ব্যবহার হয়। আমরা জানি দাহ্য গ্যাস সমূহ শুধুমাত্র দাহ্যই নয় এরা বিস্ফোরক ও বটে ফলে গ্যাস ফ্রেম তৈরি করার ক্ষেত্রে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র সমূহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গ্যাস ফ্রেম তৈরি কালে যে কোন ধরণের বিপদের আশংকা দেখা দিলে সাথে সাথে এলার্ম বাজিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সমূহের সাহায্য নিতে হবে।

অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সমূহের ব্যবহার
আমরা বিভিন্ন ধরণের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে থাকি, বিশেষ করে ওয়েল্ডিং করার সময় একটু অসতর্ক হলে অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এই সময় আমাদেরকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্য নিতে হতে পারে। নিম্নে কয়েকটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।
বালি ভর্তি বালতি: ওয়েল্ডিং শপের নির্দিষ্ট স্থানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সমূহ সু-সজ্জিত করে রাখতে হবে। বালি ভর্তি বালতি ঐ নির্দিষ্ট স্থানে সাজিয়ে রাখতে হবে। যেন প্রয়োজনের সময় দ্রুত এটিকে ব্যবহার করা যায়।

ফায়ার এক্সটিংগুইসার(Fire Extinguishers ) :
ফায়ার এক্সংগুইসার কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস পূর্ণ একটি লাল রং-এর সিলিন্ডার বিশেষ। এটিতে একটি বিশেষ ধরনের ট্রিগার থাকে, যেটাতে চাপ দিলে CO2 গ্যাস বেরিয়ে আসে, যে স্থানে আগুন লেগেছে সেই স্থানে এটা নিয়ে গিয়ে ট্রিগার চেপে ধরলে CO2 গ্যাস বেরিয়ে আসবে এবং আগুন নিভিয়ে দিবে।

স্মোক ডিটেকটর (Smoke Detector) :
স্মোক ডিটেকটর সাধারণত শপের দেয়ালে বা ছাঁদে লাগানো থাকে। এটি অনাকাঙ্খিত যে কোন ধরণের ধোঁয়া দেখা দিলে এলার্ম বাজিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দেয়।

ফায়ার সুইচ (Fire Suit):
ফারার স্যুট বলতে অগ্নি নিরাপদ পোষাক কে বুঝায়, যা মানব দেহকে আগুনের হাত থেকে রক্ষা করে। শপের নির্দিষ্ট স্থানে ফায়ার স্যুট সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে করে আগুন লাগলে বিপদের সময় কর্মীরা এই পোশাক পরিধান করে নিরাপদে আগুন লাগার স্থান হতে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারে।

ফর্য়ার ব্লানকেট (Fire Blanket): 

ফায়ার ব্লাঙ্কেট বা অগ্নি নির্বাপক কম্বল ওয়ার্কশপের ছোট খাট আগুন নিভানোর জন্য ব্যবহার হয়। ওয়ার্কশপের কোথাও আগুন লাগলে এই কম্বল দিয়ে জড়িয়ে দিলে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে আগুন নিভে যায়।

কাজের ধারা (Job sequence)
১. প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জা পরে ন
২. অক্সিজেন সিলিন্ডার ও জাপানী প্যাস সিলিন্ডার সঠিক ভাবে স্থাপন করো।
৩. রেগুলেটর, সেটি ভাত, হোজ পাইপ এবং ওয়েন্ডিং টর্চ সঠিকভাবে সংযোগ করো।
৪. অক্সিজেন ও এসিটিলিন সিলিন্ডার কী ব্যবহার করে সিলিন্ডারে প্রেসার একটি করো।
৫. সেটি তাভ ও ফ্ল্যাশব্যাক এরেস্টর পরীক্ষা করে নাও।
৬. প্রথমে অল্প পরিমান এসিটিলিন গ্যাস ছেড়ে স্পার্ক লাইটার দিয়ে টর্চ এর মুখে আগুন ধরাও।
৭. এর পর আস্তে আস্তে অক্সিজেন গ্যাস ছাড়।
৮. ওয়েল্ডিং টর্চের ভাগবে অক্সিজেন এবং এসিটিলিন সমচাপে(১:১) প্রবাহিত করো।
৯. Inner white cone মাঝারী আকৃতির (ভাতের মত) হলে বুঝতে পারে নিউট্রাল শিখা তৈরি হয়েছে।
১০. এর পর আগে এসিটিলিন এবং পরে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে শিখা নিভিয়ে দাও।
১১. কাজ শেষে যন্ত্রপাতি ও টুলস স্টোরে জমা করো।

কাজের সতর্কতা
১. সঠিক নিয়মে সফল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরগ্রাম পরিধান করা আবশ্যক।
২. ওয়েল্ডিং টর্চ, হোজ পাইপ, প্যাস সিলিন্ডা সংযোজন করে লিকেজ টেষ্ট করা আবশ্যক।
৩. শীখা প্রজ্বলন কালে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ও কষ্টি এইড বক্স কাছাকাছি রাখা উচিত।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url