পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কি - Tensile Test - Occupational Safety and Health

 পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কি - Tensile Test - Occupational Safety and Health
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কি - Tensile Test - Occupational Safety and Health

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কি - Tensile Test - Occupational Safety and Health

ওয়েল্ডিং এর বেসিক ইন্সপেকশন এন্ড টেষ্টিং Inspection and Testing of Welding

মানবসভ্যতা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের জন্য বিকাশের সাথে সাথে ধাতব পদার্থের ব্যবহারও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদিত হচ্ছে উন্নততর যন্ত্রপাতি, মেশিন, যানবাহন, ভারী শিল্পকারখানা, আবাসন কাঠামো ইত্যাদি। এসব তৈরি করতে প্রথমেই ভাবতে হয় জোড়া দেয়ার কথা কারণ জোড়া ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ তৈরি করা যায় না। শিল্প ক্ষেত্রে যত প্রকারের জোড়া দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে ওয়েন্ডিং। দুটি ধাতব প্লেট বা শীট ওয়েন্ডিং করে জোড়া দেয়ার পরে ওয়েন্ডিং জোড় সঠিক ভাবে হয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে দেখা দরকার। ওয়েল্ডিং করা ধাতু, যন্ত্রাংশ বা কাঠামোর জোড়া স্থানগুলোতে কোন রকম ত্রুটি আশা করা যায় না, এতে দুর্ঘটনা ছাড়াও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল ব্যাহত হতে হয়। তাই পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে জোড়ের ত্রুটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। ওয়েল্ডিং জোড় নিখুঁত, শক্তিশালী, মজবুত ও টেকসই হলো কি না বা গ্রহণযোগ্য মানের হচ্ছে কি না তা প্রাথমিক যাচাই করার পদ্ধতিই পর্যবেক্ষণ (Inspection)। পর্যবেক্ষণকালীন সময়ে পর্যবেক্ষক ওয়েল্ডকৃত ধাতুর ত্রুটি ও অন্যান্য বিষয় চিহ্নিত করে তার উপর প্রাথমিক রিপোর্ট প্রদান করবেন। পরবর্তিতে চিহ্নিত প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী পরীক্ষক টিম ওয়েল্ডকৃত ধাতু বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ওয়েল্ডিং জোড়ের গুণাগুণ, কার্যক্ষমতা ঠিক আছে কিনা যাচাইপূর্বক জব ব্যবহারের উপযোগিতা, সম্ভাব্য দোষত্রুটি, কারণ এবং প্রতিকার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দাখিল করবেন। এ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশনা দিয়ে কার্য সমাধান বা সমস্যার সমাধান করবেন। ওয়েল্ডিং জোড়ের গুণাগুণ, কার্য ক্ষমতা কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য সফল করার জন্য যেসব পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তাই ওয়েল্ডিং টেস্টিং। ওয়েল্ডিংকৃত বস্তুর আকার- আকৃতি, ব্যবস্থাপনা, কাঠামোর কারিগরি মান ইত্যাদির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন শিল্পকারখানা বা ওয়ার্কশপের ওয়েল্ডিং জোড়ের পরিদর্শন ও টেস্ট পদ্ধতি ভিন্ন হয়ে থাকে।

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (Occupational Safety and Health)

ওয়ার্কশপ ও ল্যাবে ওয়েন্ডিং পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করার জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পালনের পাশাপাশি পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিধান জানা অতীব জরুরী। কারণ ওয়েল্ডিং পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করা এতো সহজ কাজ নয় । ওয়েল্ডিং পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করার সময় তাপ, বিদ্যুৎ, ভারী কার্যবস্তুর, সংকীর্ণ জায়গা, বিভিন্ন টুল্স ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়। এ সময় নিজের জীবনকে সেফ করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পরিবর্তে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। যার প্রভাব ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সংসার, সমাজ, দেশ ও জাতির উপর প্রভাব পরে। তাই ওয়েন্ডিং জোড়ের ত্রুটি পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করার পূর্বে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সাথে সাথে ওয়ার্কশপ বিষয়ক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে গেলে এসব নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা এবং যথাযথভাবে তা অনুসরণ করা উচিত।

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কি - Tensile Test - Occupational Safety and Health

ওয়েল্ড পরিদর্শন ও টেস্ট এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পিপিই (PPE Required for Weld Inspection and Test)
ওয়েল্ড টেস্ট এর প্রয়োজনীয় ব্যক্তি রাষসমূহ -
• লেদার এপ্রোন (Leather Apron )
• বয়লার সুইট (Boiler Suit)
• হ্যান্ড গ্লোভ (Hand Gloves )
• সেফটি পগলুস (Safety Googles)
• সেফটি সুজ (Safety Shoes )
• হেলমেট (Helmet)
• রেস্পিরেটর (Respirator)
• এবার প্লাগ (Air Plug)
• স্কাল ক্যাপ (Scul Cap)
• আর্য গার্ড (Arm Guard)
• ফার্স্ট এইড বক্স (First Aid Box )
• রেস্পিরেটর (Respirator)

ধ্বংসাত্মক পরীক্ষার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা

ধ্বংসাত্মক টেস্ট মানে বিপন্নজনক তা নয়, এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু টেস্ট বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ। পরীক্ষা করার সময় বিভিন্ন পাওয়ার টুলস্, হ্যান্ড টুলস্ ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করতে হয়। এ টেস্টে কী বিপদ ঘটতে পারে তা নিজে দেয়া হলো। যথা-
১. ধ্বংসাত্মক টেস্ট সাধারণত ওয়ার্কশপে করা হয়। ওয়ার্কশপে পর্যাপ্ত আলো বাতাস থাকা নিশ্চিতনকরতে হবে। তা না হলে বিপদ ঘটতে পারে।
২. নিক ব্রেক টেস্টে ওয়েন্ড ধাতু ভাইসের সাথে ভালভাবে আটকাতে হবে। কেননা হাতুড়ি দ্বারা আঘাতের সময় ওয়েল্ড ধাতু ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে।
৩. হাতুড়ির ধরার সময় হাতল খাতে পিচ্ছিল না থাকে। হাতুড়ি পিচ্ছিল থাকলে হাত থেকে ছুটে বিপদ ঘটতে পারে।
৪. ধ্বংসাত্মক টেস্ট করার ছানে তৈল বা গ্রীজ জাতীয় পদার্থ থাকলে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
৫. ধ্বংসাত্মক টেস্ট করার সঠিক কারিগরি দক্ষতা না থাকলে বিপদ ঘটতে পারে।

ওয়েলডিং পরিদর্শ
উন্নতমানের উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য কোন কিছু তৈরির বা উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে বস্তুর উপর যে সতর্ক পরীক্ষা কার্য চালানো হয় তাকে ইন্সপেকশন বা পরিদর্শন বলে। কোন উৎপাদন কারখানার সু অক্ষুন্ন রাখার জন্য ত্রুটিহীন বস্তুর উৎপাদন করে বাজারে সরবরাহ করাই পরিদর্শনের প্রধান লক্ষ্য। উৎপাদিত বস্তুর আকার, ব্যবস্থাপনা কাঠামো, কারিপরি মান ইত্যাদির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন কারখানা বা শিল্প। প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন বা মান নির্ধারন পদ্ধতিও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহৃত একটি ওয়েন্ডিং শপে ওয়েল্ড পরিদর্শনের জন্য উপযুক্ত সংগঠন থাকা আবশ্যক। কারণ এ প্রকার সংগঠন রি-ওয়ার্ক (Rework cost) বা পুননির্মাণ খরচ রোধ করে এবং উন্নতমানের ওয়েক্ষ গঠনের নিশ্চয়তা বিধান করে। একটি ওয়েল্ডিং শপের পরিদর্শন কমিটির পরিদর্শনের

প্রধান নমুনাগুলি নিম্নরুপ

১. ওয়েল্ডিং এর সাথে সম্পৃক্ত যাবতীয় সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আছে কি না এবং তাদের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবে করা হয় কি না তা পরিদর্শন করা। সরগ্রাম ও যন্ত্রপাতি যদি ত্রুটিমুক্ত না হয় তাহলে ভালো ওয়েন্ডিং করা আশা করা যাবে না।
২. প্যারেন্ট মেটাল, ইলেকট্রোড, কিলার মেটাল, ক্লাক্ষ, গ্যাস ইত্যাদি যথাযথ স্পেসিফিকেশন মোতাবেক আছে কি না তা পরিদর্শন করা।
৩. কাজের প্রস্তুতি অর্থাৎ জোড়াস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে কি না, প্রয়োজনবোধে প্রাইভিং করে ভী, ইত্যাদি এর মতো তৈরি করা হয়েছে কি না, জোড়া স্থান তেল, গ্রিজ ইত্যাদি যুক্ত আছে কি না পরিদর্শন
৪. ওয়েন্ডিং কাজ সম্পন্ন করার পরে তা ভালোভাবে চাক্ষুষ পরীক্ষা করা, প্রয়োজন বোধে জোড়ের অভ্যন্তরে দোষ-ত্রুটি যাচাই করার ব্যবস্থা করা এবং অন্যান্য টেস্ট পদ্ধতি যদি প্রয়োজন হয় প্রয়োগ করে ওয়েল্ডিং জোড়ের মান নির্ধারণ করা।
৫. সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কাজের মানের অবস্থার বিবরণ নিরে প্রতিবেদন তৈরি করা এবং উত্তম কাজের ক্ষেত্রে গ্যারান্টি সার্টিফিকেট প্রদান করা। ওয়েল্ড টেস্ট এর নমুনা ধ্বংসাত্মক ধরেন্ডিং টেস্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা অনুসারে নমুনা তৈরি করা হয়। নমুনা তৈরির ক্ষেত্রে নিম্নে লিখিত বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে রাখবে। যেমন-
১. পরীক্ষার ধরন অনুযায়ী নমুনা কাটতে হবে।
২. নমুনা অবশ্যই প্লাজমা অথবা সিএনসি মেশিন দ্বারা কাটতে হবে।
৩. নিব্রেক টেস্ট এর ক্ষেত্রে নমুনার সাইজ সাধারণত ৬ ইঞ্চি থেকে ১২ ইঞ্চি মধ্যে রাখা ভাল।
৪. বেড টেস্ট এর ক্ষেত্রে নমুনা প্রেসার মেশিনের গঠন অনুযায়ী কাটতে হবে
৫. টেস্ট করার আগে নমুনা ভালভাবে মেশিনিং করে উপরিতল পরিষ্কার করতে হবে।

ওয়েল্ডিং জোড়ার টেষ্ট :
ওয়েল্ডিং গোড়ার গুণাগুণ যাচাই এর জন্য যেসব পরীক্ষা কার্য সম্পাদন করা হয় তাকে ওরেল্ডিং জোড়ায় টেস্ট বলে। ওয়েল্ডিং জোড়ার গুণগত মান নির্ধারণের জন্য যে সব টেষ্ট করা হয়। এগুলো প্রধানত দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা-

ক) ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা (Destructive Test)
খ) অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা (Non Destructive Test)

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কি - Tensile Test - Occupational Safety and Health

ক) ধ্বংসাত্মক পরীক্ষাকে আবার ৮ ভাগে ভাগ করা যায়:
১) টেনসাইল টেষ্ট (Tensile Test)
২) নিব্রেক টেষ্ট (Nick Break Test)
৩) ইমপ্যাক্ট টেষ্ট (Impact Test)
৪) বেড টেষ্ট (Bend Test)
৫) হার্ডনেস টেষ্ট (Hardness Test)
৬) রকওয়েল হার্ডনেস টেস্ট (Rockwell Hardness Test)
৭) বিনেল টেষ্ট (Brinell Test)
৮) মাইক্রোস্কোপিক (Microscopic)

অধ্বংসাত্মক পরীক্ষাকে আবার ৬ ভাগে ভাগ করা যায়
১) চাক্ষুস পরীক্ষা
২) এক্সরে টেস্টিং
৩) রেডিওগ্রাফিক
৪) আন্ট্রাসনিক
৫) ম্যাগনেটিগ পারটিক্যাল টেস্ট
৬) লিকুইড পেনিট্রেশন টেস্ট

ধ্বংসাত্মক পরীক্ষাগুলোর বর্ণনা নিচে দেয়া হলো
১. টেনসাইল টেষ্ট (Tensile Test):
টেনসাইল টেস্টের সময় ওয়েন্ডিংকৃত ধাতু খণ্ডকে দুই দিক ধরে তার দুই প্রাপ্তে মেশিনে আটকিয়ে টানা শক্তি প্রয়োগ করা হয় যার ফলে ধাতু এগুটি লম্বা হতে থাকে এবং এক সময় ছিড়ে যায়। এরুপ টেস্ট থেকে সর্বোচ্চ টেনসাইল স্ট্রেংথ, 'ইল্ড পয়েন্ট যৌণ, ইলাস্টিক লিমিট ট্রেণে, শতকরা দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি এবং গ্রন্থ ছেদের ক্ষেত্রফলের শতকরা হ্রাস (ডাকটিলিটি) নির্ণয় করা হয়। টেনসাইল টেস্ট সাধারণত ইউনিভার্সাল টেস্টিং মেশিনের সাহায্যে করা হয়। এ মেশিনে দুটি গ্রীপ বন্ধ থাকে। যাদের মধ্যবর্তী দূরত্বকে কমানো বা বাড়ানো যায়। নিচের গ্রীপ সংযোজিত ক্রস হেড মেশিনে বেসের সাথে আটকানো থাকে। উপরের স্ত্রীপ সংযোজিত আপার সহেড উপরে উঠে স্পেসিমেনকে লম্বা করার সময় যত লোড লাগে তা একটি দাগকাটা ডায়াল থেকে নির্ণয় করা হয়। টেস্টের সমর ওয়েল্ড ধাতুখণ্ডের সাথে তার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পরিমাপ করার জন্য একটি এক্সটেনলোমিটার (Extensometer) লাগানো থাকে। বিভিন্ন হেডে তার অনুরুপ দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির পরিমাণ নিয়ে একটি লোড বৃদ্ধির ডায়াগ্রাম আকানো হয়। এ ডায়াগ্রাম থেকেই ইলাস্টিক লিমিট, ইন্ডপয়েন্ট ও সর্বোচ্চ নৌস নির্ণয় করা যায় ।

২) নীকব্রেক টেষ্ট (Nick Break Test) :
ওয়েল্ড বাঁকিয়ে ভেঙে তার প্রচ্ছেদ পরীক্ষা করে অভ্যন্তরস্থ ত্রুটিসমূহের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এটিই নিকরেক টেস্ট নামে পরিচিত। প্ররেন্ডের নির্দোষ অব নির্ণয়ের জন্য এটি একটি আদর্শ ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা। একটি নমুনা টুকরো ওয়েল্ড জোড় হতে কেটে নাও এবং না ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে বাঁকাও। নমুনা প্রায় ১২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ৬ ইঞ্চি গ্রন্থ এবং ৮ মিমি পুরু এবং শাঁজ প্রায় ২ মিমি গভীর হবে। জোড়ের মধ্য বরাবর উপরের প্লেট বাঁকিয়ে ভেঙ্গে ফেলার জন্য হাতুড়ির আঘাত কিংবা লিভার ব্যবহৃত হয়। গেইন স্ট্রাকচার/দানার গঠন, কম ললন, পেনিট্রেশন, ব্রো- হোলস, প্লাগ ইনকুলানস্ লক্ষ কর।

৩) ইমপ্যাক্ট টেস্ট (Impact Test) :
এ টেস্টের সাহায্যে বস্তুর টাফনেস (অথবা ব্রিটলনেস) নির্ণয় করা হয়। টেষ্ট পিসকে মেশিনের ভাইসের 'জ' এর সাথে আটকিয়ে রেখে পেন্ডুলামকে নির্দিষ্ট উচ্চতা হতে হঠাৎ ছেড়ে দেওরা হয় । পেন্ডুলামের স্ট্রাইকারের হঠাৎ প্রচন্ড আঘাতে টেষ্ট পিচ ভেঙ্গে দু টুকরা হয়ে যায় । টেষ্ট- পিচটি ভাষতে যত শক্তি অপচয় হল তা (ফুট পাউণ্ড) ঐ ধাতুর টাফনেস বুঝায় । টেস্ট মেশিনের ভাইসে পিচকে খাড়া অবস্থানে ধরলে তা আইজড ইমপ্যাক্ট (Izod impact) এবং আনুভূমিকভাবে বসিয়ে ভাঙ্গলে তাকে চারপী ইমপ্যাক্ট (Charpy Impact) টেষ্ট বলে অবশ্য এক্ষেত্রে পেন্ডুলামের অবস্থানের উচ্চতাও পৃথক হয় ।

৪) বেন্ড টেস্ট (Bend Test) :
সাধারণত জোড়ার নিখুঁত অবস্থা, তাপ প্রভাবিত অঞ্চলের গঠন এবং ওয়েল্ড গঠিত অঞ্চলের ধাতুর ডাকটিলিটি নির্ণরের জন্য এ টেষ্ট করা হয়। এটি দ্বারা ওয়েল্ড এলাকার নমনীয়তাও পরিমাপ করা হয়। এ টেস্টে পাতলা ও পুরু ওয়েভ ধাতু টেস্ট করা যায়। সাধারণত ট্রান্সভার্স বেন্ড টেষ্ট (Transverse bend test), লম্বালম্বি বেড টেষ্ট ও সাইড বেন্ড টেষ্ট এ তিন ধরনের টেষ্ট বেড টেষ্টের অন্তর্ভুক্ত । অনেক সময় বেড টেটেকে প্রধানত গাইডেড বেড (Guided bend) টেস্ট এবং ফ্রি-বেড (Free bend) টেষ্ট এ দুভাবে ভাগ করা হয়। নমুনাকে যে দিকে বাঁকাতে হয় সেই অনুসারে গাইডেড বেন্ড টেষ্ট আবার দুই প্রকার হয়ে থাকে।
(ক) গাইডেড ফেস ৰেড টেষ্ট (Guided face bend test) (খ) গাইডেড রুট বেড টেষ্ট (Chided root bend test)
ওয়েল্ড মেটালের ডাকটিলিটি নির্ণয়ের জন্যই ফ্রি-বেড করা হয়। যে কোন প্রকার মেশিন অথবা বড় চাপ শক্তি বহন করতে পারে এমন ভাইচের সাহায্যেও এ টের করার নমুনাকে ভালভাবে মেশিনিং করে উপরিতল পরিষ্কার করা। মেশিনিং করা তলে ছবির মত ধরেন্ডিং গ্রান্ড থেকে ১/১৬” চওড়া দুটি লাইন টানতে হয় । এ দুটি লাইনের দূরত্ব মাপতে হয় (মনে কর তা x) আদি পরিমাপ গ্রহণের পর একে প্রায় ৩০° কোণে বসাতে হয় । বাঁকটি মাঝের অংশে হওয়া উচিত নমুনাকে তখন ওয়েভ এবং সেন্টার লাইন বরাবর বাঁকানো হয় । নমুনাটি চ্যাপটা অথবা এতে ১/১৬” এর বেশি ফাটল ধরা পর্যন্ত বাঁকাতে হয় । নিম্নের তথ্য সমন্বয়ে দৈর্ঘ্যের শতকরা বৃদ্ধি পরিমাণ করা হয়।
গ) Yএর পরিযাগ গ্রহণ কর ) Y হতে X বিরোপ কর
ঘ) বিরোগ ফলকে X দূরত্ব দিয়ে ভাগ কর যেন এরপর ঐ মানকে ১০০ দিয়ে গুণ করা। ইলংপেশন কমপক্ষে ১৫% হতে হবে। নতুবা জোড়া অকৃতকার্য হয়েছে মনে করতে হবে। ওয়েল্ডিং এর বেসিক ইন্সপেকশন এন্ড টেস্টিং

৫) হার্ডনেস (Hardness Test) :
ব্যবহারজনিত ক্ষয়রোধের জন্য এখানে একটি বস্তুর কতটা সামর্থ্য আছে তা নির্ণয়ের জন্যই হার্ডনেস টেষ্ট করা হয়। কোন বস্তুর হার্ডনেস যত বেশি হবে ঘর্ষণজনিত ক্ষয় ঐ কস্তুতে কম হবে। এ টেউ জোড়ায় ভাপ প্রভাবিত অঞ্চলের ভৌত ধর্মেরও ইঙ্গিত প্রদান করে। মিডিয়াম ও হাই কার্বন ইস্পাতের এমনকি কাষ্ট আয়রনের ওয়েন্ডিং ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে নিখুঁত ডাকটাইল জোড়া গঠন করা সম্ভব। কিন্তু জোড়ার তাপ প্রভাবিত অঞ্চলে খুব শক্ত ও তদুর ওয়েন্ড গঠিত হতে পারে। হার্ডনেস টেস্টের সময় জোড়ার হার্ডনেস নাম্বার খুববেশি পাওয়া গেলে বুঝতে হবে এখানে অনুর জোড় তৈরি হয়েছে। এছাড়াও অধিক হার্ডনেস নাম্বার হলে এটাও বুঝা যায় যে জোড়াটি তৈরির পূর্বে সঠিকভাবে গ্রি-হাট করা হয়নি এবং জোড়া তৈরির পরে পোস্ট হিট সঠিকভাবে করা হয়নি। অর্থাৎ ওয়েল্ডিং এর সঠিক কার্যক্রম গ্রহন করা হয়নি। হার্ডনেস টেস্ট করে ঘোড়ার শক্তি জানার পাশাপাশি এ বিষয়গুলি সম্পর্কে জানা যায়। সাধারণত ব্রিনেল, রকওয়েল, ভিকার্স পিরামিড ও শোর ক্ষেলেরোক্ষোপ পদ্ধতি হার্ড নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৬) রকওয়েল হার্ডনেস টেস্ট (Rockwell Hardness Test)
এটাও একটি জার্ডনেস মাপার খুব উপযোগী মেশিন। এ মেশিনে একটি ভীর নলাকা ব্যবহার করে কোন কার্য বস্তুর হার্ডনেস মাপা হয়। অবশ্য নরম বস্তুর বার্ডনেস মাপতে খুব ছোট ব্যাসের শক্ত ইস্পাতের বল ব্যবহৃত হয়। এ মেশিনে হার্ডনেস নাম্বার সরাসরি মেশিনের ভারাগ থেকে পাওয়া যায়। সে দিক হতে এটা ব্রিনের হার্ডনেস টেস্টিং মেশিনের চেয়ে সুবিধাজনক।

৭) ব্রিনেল টেস্ট (Brinell Test)
এ টেস্ট এর কার্যক্রম সাধারণত ওয়ার্কশপে করা হয়ে থাকে। ব্রিনেল টেস্টের সময় একটি ইস্পাতের বা কার্বাইড বলকে ধাতুর প্রয়োজনীয় স্থানে সজোরে চেপে ধরা হয় এবং এর ফলে ধাতুর ঐ স্থানে যে গর্ত হ তার স্ফেরিক্যাল (Spherical) ক্ষেত্রফল যারা মোট লোডকে ভাগ করে হার্ডনেস নাম্বার নির্ণয় করা হয়। ব্যবহৃত বলের ব্যাস সাধারণত ১০মি.মি. এবং লোডের পরিমাণ ৩০০০ কিলোগ্রাম। সাধারণত ১০ মিঃ মিঃ ব্যাসের ইনডেন্টর (Indenter) ব্যবহার করে ইস্পাতের জন্য ৩০০০ কিলোগ্রাম, কপারের জন্য 1000 কিলোগ্রাম এবং এ্যালুমিনিয়ামের জন্য ৫০০ কিলোগ্রাম লোড প্রয়োগ করা হয়। মাইন্ড ইস্পাতের ব্রিনেল হার্ডনেস নাম্বার ১৩০-১৪০ এবং কার্বন ইস্পাতের প্রায় ৫৫০ হয়। হার্ডনেসকে সাধারণত নাম্বার দ্বারা নির্দেশ করা হয়। নাম্বার যত বেশি হবে তত হার্ডনেস বেশি হবে। নিচের ফর্মুলার সাহায্যে বিনেল হার্ডনেস নাম্বার বের করা হয়।
BHN=2P
এখানে, BHN= ব্রিনেল হার্ডনেস নাম্বার
P=লোড (৩০০০ কিলোগ্রাম)
D= বলের ব্যাস (১০ মি.মি)
d= গর্তের ব্যাস (মিলি মিটার)

৮) মাইক্রোস্কোপিক (Microscopic):
এ টেস্টের জন্য নমুনাটির ওয়েল্ড স্থান পলিশ করে এমনভাবে মসৃণ করা হয়, যাতে এর উপর কোন রকম দাগ বা চিহ্ন না থাকে। এরপর ঐ স্থানে একটি মাইক্রোস্কোপ রেখে জোড়াটির অণু বা দানাসমূহের গঠন প্রকৃতি দেখা হয়। এছাড়াও স্লাগ বা অন্য কোন অপদ্রব্য জোড়ার ভিতরে আছে কিনা তাও দেখা হয়। সর্বোপরি জোড়াটির গঠনগত যে কোন ত্রুটি এ পরীক্ষার মাধ্যমে খুজে বের করা যায়।

৪. অধ্বংসাত্মক পরীক্ষার ও বিভিন্ন পদ্ধতির বর্ণনা অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা: যে পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে ওয়েল্ড ধাতু নষ্ট না করে জোড়া স্থান ও তার অভ্যন্তরে
কোন প্রকার দোষত্রুটি আছে কিনা তা যাচাই করা যায় বা জানা যায় তাকে অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা বলে। এ টেস্ট এর কার্যক্রম সাধারণত ল্যাবে করা হয়ে থাকে। এ প্রকার টেস্টের কারণে মূল জবের কোন প্রকার ক্ষতি হয় না বা বিনষ্ট করা হয় না। প্রকৃতপক্ষে জব ও জোড়া স্থান অবিচল ও অবিকৃত থাকে। এ টেস্টের মাধ্যমে কোন নমুনা তৈরি করা হয় না। মূল কার্যবস্তুর পরীক্ষাকার্য চালানো যায়। মূল কার্যবস্তুর যে কোন স্থানে ত্রুটি থাকার ব্যাপারে কোন সন্দেহ দেখা দিলে সেখানেই এ পরীক্ষা চালানো হয়।

চাক্ষুষ পরীক্ষার বর্ণনা নিচে দেয় হলো :
চাক্ষুষ পরীক্ষায় ওয়েল্ড মেটালের যে সব বিষয়গুলো দেখা হয়- ওয়েল্ডের চেহারা/ আকার-আকৃতি
• পরিমাপের সূক্ষ্ণতা এবং যন্ত্রাংশসমূহ একই অক্ষ রেখায় কিনা ওয়েন্ডের আকৃতি
• জোড়ের অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন আন্ডার কাটিং
• স্লাগ ইনক্লুশানস
• পৃষ্ঠে ছিদ্রময়তা
ওয়েন্ডে ফাটল
• ক্রেটার এবং বিশেষ করে ওয়েন্ডের প্রান্তে ক্রেটারের মধ্যকার ফাটল।
চাক্ষুষ পরীক্ষার গুরুত্ব: চাক্ষুষ পরীক্ষা একটি অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা। ওয়েল্ডিং এর গুণগত মান নির্ণয়ে চাক্ষুষ পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রক্রিয়ার দ্রুত এবং কোন যন্ত্রপাতি ব্যবহার ছাড়াই ওয়েন্ডে এর বেশ কয়েকটি ত্রুটি পরীক্ষা করা যায়। যেমন- বাহ্যিক ফাটল, উত্তল আকৃতির ওয়েভ, আভারকাট, বিকৃতি, অতিরিক্ত পেনিট্রেশন ইত্যাদি।

পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা (Limitation of visual Test):
এ পরীক্ষা দ্বারা সাধারণত ওয়েল্ডিং এর উপরিভাগ পরীক্ষা করা যায়। প্রয়েন্ডের উপরিভাগ কেমন, এবড়ো-খেবড়ো, নাকি মসৃণ, ওয়েল্ডিং হয়েছে কিনা, ওয়েল্ডিং-এর পর ফাটল অথবা বাঁকা ইত্যাদি হয়েছে কি না- তা চাক্ষুষ পরীক্ষা দ্বারা জানা যায়। কিন্তু ভিতরের কোনো দোষত্রুটি দেখা সম্ভব হয় না। ওয়েন্ডের উপরের দোষ ছাড়া ভিতরের দোষ দেখা সম্ভব হয় না।

চালুর পরীক্ষার সতর্কতার বিষয়াদি (Precaution of Visual Test)
চাক্ষুষ পরীক্ষার সতর্কতার বিষয়গুলো-
১. প্রদত্ত ডকুমেন্ট অনুসারে ওয়েল্ড যাচাই করতে হবে, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান (Standard Value), কোড (Code) ব্যবহৃত হয়েছে কি না নিশ্চিত হতে হবে।
২. চাক্ষুষ পরীক্ষার জন্য প্ল্যান ( Plan), ফেব্রিকেশন ড্রয়িং (Fabrication Drawing) এবং ওয়েন্ডিং পদ্ধতি যাচাই করতে হবে।
৩. চাক্ষুষ পরীক্ষার সময় ব্যবহৃত টুলস কিট (ম্যাগনেফারিং গ্লাস, অ্যাঙ্গেল গেজ, ভার্ণিয়ার ক্যালিপার্স ইত্যাদি) গুলোর সুক্ষ্মতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. চাক্ষুষ পরীক্ষার সময় এচিং, পলিশিং, প্রাইভিং এবং মেকানিক্যাল মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৫. পর্যাপ্ত আলো, বাচ্চাসের ব্যবস্থা রয়েছে এমন স্থানে পরীক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে।
৬. ওরেও হতে সতর্কতার সাথে সম্পূর্ণ মাপ (Slag) পরিষ্কার করতে হবে।
৭. ওরেন্ডিং পেনিট্রেশন ও রুট সঠিকভাবে হয়েছে কি না যাচাই করতে হবে। এছাড়া ধরেন্ডিং এর ওরেন্ড ডাইমেনশন, আন্ডারকাট, ওভারল্যাপ ইত্যাদি যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।
৮. এচিং প্রক্রিয়ার জন্য যথাযথ সরঞ্জামাদি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. পলিশিং প্রক্রিয়ার জন্য সঠিক পলিশিং মেশিন, মাধ্যম এবং পলিশিং পেপারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

অধ্বংসাত্মক টেস্টের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Non-destructive Test)
অধ্বংসাত্মক টেস্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এ প্রকার টেস্টের কারণে মূল জবের কোন প্রকার ক্ষতি হ না বা বিনষ্ট করা হয় না। ফলে ভাব ও জোড়া স্থান অবিচল ও অবিকৃত থাকে। এ টেস্টের মাধ্যমে কোন নমুনা তৈরি করা হয় না মূল কার্যবস্তুর উপরে পর্যবেক্ষণ চালানো বার। মূল কার্যবস্তুর যে কোন স্থানে ত্রুটি থাকার ব্যাপারে কোন সন্দেহ দেখা দিলে সে স্থানেই পরীক্ষা চালানো যায়। কিছু কিছু স্থানে ওয়েল্ডিংকৃত ধাতুর পরীক্ষা অংসাত্মক পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমেই করতে হবে। কারণ সেখানে অন্য কোন পদ্ধতি খাটে না- যেমন মাটির নিচে বসানো পানির লাইন, গ্যাস লাইন। ওরেল্ডিংকৃত ধাতুর উপর অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ধাতু অক্ষত থাকে, উৎপাদন বাড়ে, সময় বাঁচে ও প্রতিষ্ঠানিক আয় বাড়ে। ওয়েন্ড জোড়ের এক্স-রে পরীক্ষা এক্স-রে টেস্ট ওয়েন্ডিং জোড়ের অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম। ভরেন্ড জোড়ের অভ্যন্তরের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিখুঁতভাবে শনাক্ত করার জন্য এটি সর্বোত্তম। বর্তমানে উৎপাদনশীল সকল শিল্প কারখানায় এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। যে স্থানে বিদ্যুতের সুবিধা রয়েছে সেখানেই এক্স-রে টেস্ট করা খাবে। মানুষের শরীরের যেমন এক্স-রে করে শরীরে রোগ শনাক্ত করা হয় অরুপ ওয়েল্ড জোড়ের ক্ষেত্রেও এক্স-রে করে ওয়েন্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা হয়। মানুষের এক্স-রে করার জন্য যেমন এক্স-রে ফিল্ম ব্যবহার  করা হয় অনুরুপ ভাবে ওয়েল্ডিং এর এক্স-রে করার জন্যও এক্স-রে ফিল্ম ব্যবহার করা। এক্স-রে তে শট নেওয়ার জন্য সময় নির্ধারিত থাকে, এর অতিরিক্ত সময় নেয়া যায় না, কারণ এক্স-রে হলো তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। এ তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর এছাড়াও এটি ছবির উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url